• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    জাতীয় সংগীতের সময় কান্না দুর্বলতার লক্ষণ: রিভালদো

    জাতীয় সংগীতের সময় কান্না দুর্বলতার লক্ষণ: রিভালদো    

    মারাকানাজোর সেই দুঃস্বপ্নের পর পার হয়ে গেছে চার বছর। আরও একবার বিশ্বকাপ মিশনে মাঠে নামছে ব্রাজিল, তার আগে আশীর্বাদ যদি নিতেই হয় রিভালদোর চেয়ে ভালো আর কে হতে পারেন? সর্বশেষ ২০০২ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার মূল কুশীলবদের একজন ছিলেন। ব্রাজিলের নতুন মিশনের কাছে রিভালদো মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আর যাই হোক, আবেগটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

     

     

    সর্বশেষ সেই জার্মানির ম্যাচে অতি আবেগ ব্রাজিলের সর্বনাশ করেছে, এমন একটা ধারণা আছে। নেইমার খেলতে পারেননি সেবার, তাঁর জন্য ছবি নিয়ে জাতীয় সংগীতের সময়ই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন লুইজরা। দিন শেষে সেটাই কাল হয়ে এসেছে বলে রিভালদোর মত, ‘বিশ্বকাপ জেতার জন্য আপনাকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। এটা ক্লাবের হয়ে খেলার মতো কিছু নয়, আরও কঠিন। এখানে সবাই দুর্দান্ত খেলোয়াড়, কিন্তু সমর্থকদের চাপে তাদের ভয় পেলে বা চিন্তিত হয়ে পড়লে চলবে না। তাদের ভুলে যেতে হবে, ২০০ মিলিয়ন লোক দেশে এই খেলা দেখছে।’

     

     

    আবেগটা থাকলেও সেটার লাগাম রাখার কথা মনে করিয়ে দিলেন, ‘আপনাকে শান্ত থাকতে হবে, আনন্দের সঙ্গে খেলতে হবে। জাতীয় সংগীতের সময় কাঁদলে আর চলবে না। আবেগটা নিয়ে সেটা ভেতরে চেপে ধরতে হবে, কিন্তু কোনো কান্না নয়। আমি এটার বিপক্ষে। এটা  দুর্বলতার লক্ষণ, কোনো কাজেই আসে না। আপনার হৃদয়ে ইচ্ছা থাকতে হবে, কিন্তু রক্তচক্ষু নিয়ে খেলতে হবে।’

    রিভালদো জানেন, বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি কেমন। এবারের দলটার ওপর তাই আশায় বুক বাঁধছেন, ‘বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি আসলেও দারুণ। আপনি কতটা খুশি হবেন সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আমি মাঠে নামার সময় মায়ের কথা ভাবতাম, জিতলে তিনি কত খুশিই না হতেন। আমি নিজের সবকিছু দিয়েছিলাম, আশা করব এবার ওরা তাই দেবে। ’

    এই ব্রাজিল দল শক্তিশালী বলেই মনে করছেন রিভালদো। তবে তাঁর মতে, সেরা নেইমারকে দেখা যাবে নকআউট পর্বে, ‘আমার মনে হয় গ্রুপ পর্বের পরেই আসল নেইমারকে দেখা যাবে। এরপরেই ও দেখাবে, কেন দশ নম্বর, এই দলের নেতা।’