সুইসদের গোলটা ফাউল ছিল, দাবি নেইমারের
কর্নার থেকে গোল হওয়ার পরেই সমস্বরে আবেদন করেছিলেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা। স্টিভেন জুবেরের গোলের আগে মিরান্ডাকে ফাউল করেছিলেন, তাদের দাবি ছিল এটাই। ম্যাচ শেষে নেইমারও বলেছেন, এভাবে ড্র করাটা তাদের দুর্ভাগ্যই। ওটা ফাউল ছিল বলেই তাদের মনে হয়েছে।
ম্যাচের শুরুতে কৌতিনহোর দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জুবেরের গোলেই ব্রাজিলকে স্তব্ধ করে দেয় সুইজারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ফিরতে হয়েছে এক পয়েন্ট নিয়েই। নেইমার নিজে অবশ্য ওই গোলটা মেনে নিতে পারছেন না, ‘আমার মনে হয় ওটা ফাউল ছিল। আপনি যখন রিপ্লেতে মুহূর্তটা দেখবেন, মানুষজন ওই গোলটা উদযাপন করছে... আমি নিজেও তা দেখেছি তবে সেটা নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাই না। চার জন পেশাদার লোক এটা নিয়ে কাজ করছে। তাদেরকে তো তাদের কাজ করতে হবে।’
এবার থেকেই বিশ্বকাপে চালু হয়েছে ভিডিও সহকারী রেফারি। এর মধ্যে ফ্রান্স ও পেরুর দুইটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পক্ষে গেছে তাদের। কিন্তু কাল সুইজারল্যান্ডের গোলটা বাতিল করেননি রেফারি। পরে গ্যাব্রিয়েল হেসুসকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেও মনে হয়েছিল। সেটাও ভিডিও রিপ্লেতে ব্রাজিলের পক্ষে যায়নি।
নেইমার বলছেন, ড্র করাটা তাদের প্রাপ্য ছিল না, ‘ড্র করাটা আমাদের প্রাপ্য ছিল না। তবে আমরা উন্নতি করতে পারি, আরও ভালো করতে পারি। এই ম্যাচটা দেখিয়েছে, কাজটা অতটা সহজ হবে না।’
ফেব্রুয়ারির পর কালই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। তবে পুরো ম্যাচে তাঁকে ফাউল করা হয়েছে ১০ বার, ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর যা এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি। কয়েক বার পায়ে চোটটা গুরুতর বলেই মনে হয়েছে। তবে নেইমার আশ্বস্ত করেছেন, তিনি ঠিকই আছেন, ‘আমাকে ফাউল করা হয়েছে, ব্যথাও পেয়েছি। তবে চিন্তার কিছু নেই। ম্যাচের পর ব্যথাটা একটু বেড়েছে, তবে সবকিছুই ঠিক আছে। ’
এসব ভুলে বরং রেফারির কাজটা তাঁদের ঠিকমতো করতে বললেন, ‘আমার আসলে বলার কিছু নেই। আমাকে শুধু খেলতে হবে, বা খেলার চেষ্টা করতে হবে। আর রেফারিকে তার কাজ করতে হবে। আর ফুটবলে ফাউল হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে খেয়াল রাখার কাজটা রেফারির।