নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে জার্মানরা
মেক্সিকোর সঙ্গে ১-০ গোলের হারটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না জার্মানি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে তারা। ২০২৪ ইউরোর আয়োজনের ব্যাপারে সাবেক অধিনায়ক ফিলিপ লামকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, বাতিল করা হয়েছে সেটা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা সোমবার অনুশীলনও করবে বদ্ধ জায়গায়। সেখানে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না মিডিয়ার।
বয়কট করার এই সিদ্ধান্তটা মোটেই ভালভাবে নেয়নি সংবাদমাধ্যমগুলো। রীতিমতো জার্মানির ফুটবল দলকে ধুয়ে দিয়েছে তারা।
বিল্ড
‘ইয়োগি, এটা বিশ্বকাপ বয়কট’
“সাম্প্রতিক সময়ের বাজে ডিফেন্স, অদৃশ্য আক্রমণ, মিডফিল্ড শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল। কী হতাশার ব্যাপার! বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কেউ দেখেছে নাকি? যেভাবেই হোক, তারা মস্কোতে পিচে ছিল না। চার বছর আগে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৭-১ গোলে জেতা দল মেক্সিকোর কাছে হেরেছে ১-০ তে। রাজনৈতিক কারণে বিশ্বকাপ বয়কটের অনেক কথা হয়েছে গত কয়েক মাসে। তবে কেউই আশা করেনি, ইয়োগির (জোয়াকিম লো) ছেলেরা প্রথম ম্যাচেই সেটাকে বাস্তবে পরিণত করবে। কিমিচ শেষ কবে এতো বাজে খেলেছে? মুলারের সেই প্রত্যয় কই? ১-০ এর আগে খেদিরা তার আনন্দভ্রমণ নিয়ে কী ভাবছিল?
“সুইডেনের সঙ্গে ম্যাচের আগেই আমাদের জেগে উঠতে হবে টিকে থাকার জন্য। আর একটা হার, এরপরই আমরা বিশ্বকাপ থেকে বাদ। বাদ! পার্টি শুরু হওয়ার আগেই তো শেষ হয়ে যাবে!”
কিকার
‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা খাদের কিনারায়’
“যে দৃশ্যটা অনেকদিন ধরে কল্পনার বাইরে ছিল, সেটাই এখন বাস্তবে রুপ নিচ্ছে। গত ছয় মাসের বাজে ফলের পরিণতি এটা। শেষ ৭ ম্যাচে মাত্র একটা জয়, তাও সৌদি আরবের সঙ্গে। এতোদিন পর্যন্ত দলের যে কোনো অবস্থা নিয়েই কাজের কাজটা তিনি করে ফেলতে পারতেন।কিন্তু মেক্সিকোর বিপক্ষে তার দলে ৮ জন বিশ্বকাপ জয়ী থাকলেও তাদের সবকিছুতে ঘাটতি ছিল। জয়ের ক্ষুধা, রক্ষণে ভারসাম্য, অনুপ্রেরণার অভাব তো ছিলই, শারীরিক আর মানসিকভাবেও সতেজ মনে হয়নি তাদের। দেখে মনে হয়েছে সেরা সময়টা পেছনে এসেছে তারা। “
সুদেউতশখ যেউইটাং
“দিশেহারা”
“জার্মানির জাতীয় দলকে কখনই এমন দিশেহারা মনে হয়নি। ২০০২ সালের পর সবচেয়ে বয়সী দলটা ৪ বছর আগেই শীর্ষে ছিল। জোয়াকিম লোয়ের চেহারাতেই শঙ্কা ভর করেছিল, যদিও তিনি সেটা স্বীকার করেননি।”
ডি ভেল্ট
"জেগে ওঠো!"
বাজে শুরু! মেক্সিকোর বিপক্ষে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চ্যাপিয়ন হওয়ার মতো সবকিছুরই অভাব ছিল। চিন্তা, জয়ের ইচ্ছা। মস্কোর ১-০ গোলের হারের পর দল এখন পাহাড়সম চাপে পড়েছে।”
বার্লিনার কুরিয়ের
"উৎসবের বদলে বিপর্যয়, ইয়ুগি এটা করলে!"
না গতি, না কোনো প্ল্যান। জার্মান জাতীয় দল প্রথম ম্যাচেই ঘুমিয়ে পড়লো। এই হারের পর অবস্থা কেবল কঠিনই হবে।”
রেইনিশখ পোস্ট
“জার্মানির দলকে মনে হলো বয়সী”
“জার্মান দল দেখে মনে হল বুড়িয়ে গেছে তারা। শ্লথ, অহংকারি। এই হারটা মোটেই দুর্ঘটনা ছিল না। হামেলস সতীর্থদের রক্ষণে মনযোগি না হওয়ায় দোষ চাপিয়েছেন। এটা দলকে বিভক্ত করে দিতে পারে। জার্মানি এখন পাহাড় সমান চাপে পড়ে গেছে।