আরেকটি গোল করবে ইংল্যান্ড, বিশ্বাস ছিল কেইনের
হ্যারি কেইন সেখানেই ছিলেন। গ্যারেথ সাউথগেট এমন পরিস্থিতিতে আর কাউকে চাইতে পারতেন না। কর্নার, ফ্লিক, হেড- ইংল্যান্ডের ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’। তিউনিসিয়ার সঙ্গে ম্যাচে ৯১ মিনিটের গোল ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয়। ১১ মিনিটের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও ইনজুরি টাইম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। তবে অধিনায়ক ও জোড়া গোল করা কেইন বলছেন, তারা লিড হারিয়ে ফেলার পরও পুরোটা সময় জুড়েই বিশ্বাস করেছিলেন, দ্বিতীয় গোলটা আসছে।
“আমরা ভাল খেলেছি, বিশেষ করে শুরুতে”, ম্যাচশেষে বলেছেন কেইন। “অবশ্যই একটু নার্ভাস ছিলাম। কী হতে যাচ্ছে, সেটা তো জানার উপায় নেই। বেশ কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিলাম, একটা গোল করলে হয়তো এরপর আরও করতে পারতাম। তবে বিশ্বাস করেছিলাম, আমরা আবার গোল করবো।”
শেষ সময়ের গোলে ইংল্যান্ডের জয়টা ‘সুবিচার’ বলেই মনে হচ্ছে কেইনের কাছে।
“একাধিক পেনাল্টি পেতে পারতাম আমরা। তাদের পেনাল্টিটার দিকে তাকালে এটাই মনে হবে। ভিএআর এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই আছে। তারা যদি ভাবে, এটা পেনাল্টি না, তবে সেটা মেনে নিতে হবে আমাদের। তবে তিউনিসিয়ার খেলোয়াড়দের আমার কাছ থেকে সরিয়ে দিতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। তারা আমাদের জাপটে ধরছিল, দৌড়াতে দিচ্ছিল না। সেট-পিসেও আমি নড়তে পারছিলাম না। আমার মনে হয়, শেষে গিয়ে গোল হওয়াটা তাই সুবিচারই হয়েছে।”
তবে তিউনিসিয়ার এমন ট্যাকটিকসে বিস্মিত নন তিনি, “নিশ্চিতভাবেই, তিউনিসিয়ার ট্যাকটিকস থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। অন্য ম্যাচগুলো দেখে আমরা জেনেছি, অনেক সিদ্ধান্তই বেশ হালকা ছিল, সেগুলোতে পেনাল্টিও দেওয়া হয়েছে। আমাদের এটা নিয়ে সতর্ক হতে হবে।”
“তবে আমরা যেভাবে এগুচ্ছি, তাতে আমি গর্বিত। যেভাবে লড়াই করছি, দেশের মানুষকে গর্বিত করছি, সেটা ভেবে গর্বিত। দৃঢ়তা লাগে এসব ক্ষেত্রে। এ জয়টা বিশাল। এক হয়ে খেলার ব্যাপারে আমরা অনেক কথা বলেছি। পিচের বাইরে আমাদের বন্ধনটা দারুণ, পিচে যেটা কাজে দিচ্ছে। স্টাফসহ সবাই খুশি। আমরা বিমানে খুশিমনেই উঠব।”
কেইন বলছেন ভলগ্রোগাদ থেকে নিঝনি নভগোরদের বিমানের কথা। সেখানে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ পানামা। সেখানেও তিউনিসিয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে সাউথগেট নিশ্চয়ই সবার আগে কেইনকেই চাইবেন। আর চাইবেন এমন ফিরে আসার আত্মবিশ্বাসটা।
তথ্যসূত্র- দ্য গার্ডিয়ান, ফোরফোরটু