সবাই উদযাপন করছেন, ট্রিপিয়ের কেন দাঁড়িয়ে?
শেষ বাঁশির ঠিক আগে গোল দিলেন হ্যারি কেইন, উদযাপন করতে ছুটলেন সাইডলাইনে। দলের সবাই ততক্ষণে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, দেখতে দেখতে তা হয়ে গেছে ছোটোখাটো একটা মানবপিন্ড। কিন্তু ক্যামেরায় ধরা পড়ল, ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার কাইরন ট্রিপিয়ের দাঁড়িয়ে আছেন নিজের অর্ধে। একা। কেন ট্রিপিয়ের বাকি সবার সঙ্গে উদযাপনের সঙ্গী হলেন না?
তিউনিসিয়ার সঙ্গে ইংল্যান্ডের নাটকীয় জয়ের পর অনেকেই হয়তো খেয়াল করেননি ছবিটা। তবে ট্রিপিয়েরের এই নিঃসঙ্গ শেরপা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে অনেক। না, সতীর্থদের সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য বা অন্য কিছু হয়নি তাঁর। বরং দলকে বাঁচাতেই নিজের অর্ধ ছেড়ে যাননি ট্রিপিয়ের!
কারণটা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে নিজের অর্ধে থাকার জন্যই এমনটা করেছেন এই ডিফেন্ডার। বলা হচ্ছে, ফিফার নিয়মানুযায়ী গোলের পর যদি কোনো খেলোয়াড় মাঠের ভেতর না থাকেন, তাহলে ধরা হবে তিনি নিজেদের অর্ধে নেই। আর নিজেদের অর্ধে যদি একজন ফুটবলারও না থাকেন, তাহলে নিয়মানুযায়ী প্রতিপক্ষ দল কিক অফ থেকে সঙ্গে সঙ্গে খেলা শুরু করে দিতে পারে। তার মানে ট্রিপিয়েরও বাইরে চলে যেতেন, তাহলে রেফারির আবার খেলা শুরুর বাঁশি বাজানোতে টেকনিক্যালি কোনো বাধা থাকত না। কে জানে, তিউনিসিয়া সেটার সুযোগ হয়তো নিত। সেকারণেই দলের নয়জন বাইরে চলে গেলেও মাঠ ছাড়েননি ট্রিপিয়ের।
স্পেনের সঙ্গে পর্তুগালের ম্যাচেও দেখা গেছে কাছাকাছি দৃশ্য। রোনালদোর হ্যাটট্রিক গোলের পর সবাই যখন উদযাপন করতে সাইডলাইনের দিকে ছুটছেন, একজন ঠিক লাইনের ভেতরের দিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সতীর্থেরা তাঁকে বারণ করছিলেন যেন মাঠে না ঢোকেন।
তবে ফিফার আইনে এ নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। একজনকে যে অন্তত মাঠের ভেতর থাকতে হবে, সেটা স্পষ্ট করে লেখা নেই। তবে দুইটি ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে, খেলোয়াড়দের এ নিয়ে হয়তো নির্দেশনা দিয়েছে ফিফা।