বাবার রেকর্ড ভেঙেও খুশি নন স্মাইকেল
স্মাইকেল পরিবারের গোলকিপিং রেকর্ড তো আর কম নেই! সে কারণেই কিনা, এই রেকর্ডটা তারা বুঝতেই পারেননি প্রথমে! বাবা পিটার বা ছেলে ক্যাসপার, কেউই জানতেন না পেরুর সঙ্গে ডেনমার্কের প্রথম ম্যাচে আরেকটা রেকর্ডের মালিক হয়ে গেছে স্মাইকেল পরিবার।
বিশ্বকাপ অভিষেকেই ক্লিন-শিট রেখেছেন ক্যাসপার। সেটা দিয়েই তিনি ছাড়িয়ে গেছেন তার বাবাকে, ডেনমার্কের হয়ে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় গোল না খাওয়ার রেকর্ড এখন ক্যাসপারেরই। পেরুর সঙ্গে ১-০ গোলে জেতা ম্যাচে ম্যাচসেরাও হয়েছেন স্মাইকেল। তবে এই রেকর্ডটাও ঠিক টানছে না তাকে, মূল লক্ষ্য তার জয়। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পরের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ, স্মাইকেল জিততে চান সেটাই।
“আমি ম্যাচের পর বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলাম; দুইজনের কেউই জানতাম না এটা”, বলেছেন তিনি, “ক্লিন-শিট আসলে একটা ধোঁয়াশাপূর্ণ পরিসংখ্যান। জয়ের ভিত এটা গড়ে দেয় ঠিকই, তবে আপনি তো ৫-০তে এগিয়ে থাকার পর একটি গোল খেতেই পারেন! এটা ব্যক্তিগত অর্জন, যেটা ভাল একটা ব্যাপার। তবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আপনি কয়টি ম্যাচ জিতলেন।”
পেরুর সঙ্গে কোনোমতে জেতা ম্যাচে স্মাইকেল করেছেন ছয়টি সেভ, প্রশংসাও পেয়েছেন কোচ আগা হারিডার কাছে। তবে স্মাইকেল ছাড়া বাকিরা যেন ছিলেন নিস্প্রভই, “ভাল একজন গোলরক্ষক পাওয়া দারুণ ব্যাপার”, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সামারার ম্যাচে ডেনমার্ককে অনেক জায়গাতেই উন্নতি করতে হবে বলে মানছেন কোচ।
ডেনমার্কের অন্যতম বড় শক্তি অবশ্যই ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। অস্ট্রেলিয়াও খেয়াল রাখবে তার দিকেই। স্মাইকেল বলছেন, “ক্রিশ্চিয়ান যে বিশ্বমানের খেলোয়াড়, এটা তো না বললেও হয়। আমরা ভাগ্যবান, সে ডেনিশ। অবশ্যই এ ব্যাপারটা আমার জন্য খুশির।”
“বাছাইপর্বে সে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিল, এখনও আছে। তবে সে খুবই বিনয়ী একজন, এতো বড় মাপের ফুটবলার, এটা বুঝাই যায় না!”
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা মাঠে যেমনই হোক, গ্যালারিতে অবশ্য ডেনিশরা হেরে যাচ্ছে আগেই। ৯০০ এর মতো ডেনিশ এ খেলা দেখবেন, আর বিশ্বকাপ দেখতে এসেছেন ১২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান। তবে দেশের সমর্থন তাদের সঙ্গেই আছে বলে মনে করেন স্মাইকেল, “দেশে মানুষের উদযাপনের ভিডিও আমরা দেখেছি। আমাদের সঙ্গে সবাই আছে।”
“আমাদের কিছু পরিবার আসতে চেয়েছিল রাশিয়ায়, তবে ভিসার মতো ঝামেলার কারণে সেটা হয়নি।”