• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    অন্য অস্ট্রেলিয়াকে দেখল ডেনমার্ক

    অন্য অস্ট্রেলিয়াকে দেখল ডেনমার্ক    

    এবারের বিশ্বকাপে চমক বা অঘটন যেন নিয়মিতই হয়ে গেছে। ডেনমার্ককে যে অস্ট্রেলিয়া রুখে দেবে, সেটা অবশ্য সেই অর্থে চমক বলা যাবে না। খানিকটা অপ্রত্যাশিত তো অবশ্যই। তবে ম্যাচ যারা দেখেছেন, তারা জানবেন অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা জিততে পারত অনায়াসেই। ১ পয়েন্ট পাওয়ায় ডেনমার্কই খানিকটা সৌভাগ্যবান মনে করতে পারে নিজেকে। ১-১ গোলে ড্র করে বিশ্বকাপের প্রথম পয়েন্ট অবশ্য পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

     

     

    অথচ ডেনমার্ক যেভাবে ম্যাচটা শুরু করেছিল, তাতে আরেকটি জয় মনে হচ্ছিল দৃষ্টিসীমায়। ৬ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন যে গোলটা দিয়েছেন, সেটা দেখতে যতটা সহজ, করা ততটাই কঠিন। জর্গেনসেনের ফ্লিক থেকে বল পেয়েছিলেন বক্সের ভেতর। হাফ ভলিতেই সেই বল গোলার মতো বাঁ পায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। দেশের হয়ে গত ১৫ ম্যাচে ১৩টি গোল করেছেন এরিকসেন, করিয়েছেন ৫টি। ১৯৯৮ সালে মাইকেল লাউড্রপের পর এই প্রথম ডেনমার্কের ১০ নম্বর জার্সি গোল পেলেন। গত ম্যাচেও একটা গোল করিয়েছিলেন পেরুর বিপক্ষে।

     

     

    এরপর দুবার এগিয়ে যেতে পারত ডেনমার্ক। ২১ মিনিটে পিয়েনো সিস্তোর ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া বাঁ পায়ের শট চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে।  ২৪ মিনিটে নিকোলা জার্গেনসনের হেড একটুর জন্য পোস্টে থাকেনি, চলে গেছে পাশ ঘেঁষে।

    তবে ২৫ মিনিটের পরেই অস্ট্রেলিয়া হুমকি ছড়াতে থাকে। ৩৬ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্তটা আসে। ম্যাথু লেকির হেডটা হাতে লেগেছিল ইউসেফ পলসেনের। শুরুতে পেনাল্টি দেননি রেফারি। কিন্তু এবারও দৃশ্যপটে ভিএআর। ভিডিওতে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি। যদিও ডেনমার্ক সিদ্ধান্তটা নিয়ে তর্ক করতেই পারে। ফ্রান্সের সঙ্গে ড্রয়ে পেনাল্টি থেকেই গোল করা অধিনায়ক মাইল জেদিনাকের ওপরেই আবারও গুরুদায়িত্ব, এবারও ঠাণ্ডা মাথায় সেরেছেন কাজটা। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি গোলই তাঁর, তিনটিই পেনাল্টি থেকে। ডেনমার্কের হয়ে সবচেয়ে বেশি সময় গোল না খাওয়ার রেকর্ডটাও থেমেছে স্মাইকেলের ।

    বিরতির পর ৫০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা পেয়েই গিয়েছিল ডেনমার্ক। বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন পলসেন, তাঁর কাছ থেকে বল পেয়ে কয়েক গজ দূর থেকে বাইরে মেরে দেন সিস্তো। ডেনমার্ক অবশ্য পেনাল্টির আবেদন করেছিল, কিন্তু রেফারি তাতে সাড়া দেননি।

    এরপর পরিষ্কার সুযোগ অস্ট্রেলিয়াই পেয়েছে বেশি। ৫৪ মিনিটে লেকি হেড করলেই হতে পারত গোল, কিন্তু লারসেন হেড করে সে যাত্রা বিপদ হতে দেননি ডেনমার্কের। ৬৮ মিনিটে স্মাইকেলের ভুলে এগিয়ে যেতে পারত অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি কেউ। ৭১ মিনিটে অ্যারন মুইয়ের শট একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ৭২ মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিল ডেনমার্ক, কিন্তু সিস্তোর শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে।

    তবে অন্তিম মুহূর্তে আরও দুইটি সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।  ৮৮ মিনিটেই পর পর দুইবার এগিয়ে যেতে পারত, কিন্তু আরজানি আর লেকির দুইটি শটই ঠেকিয়ে দিয়েছেন স্মাইকেল।

    ড্রয়ের পর দুই ম্যাচে ডেনমার্কের পয়েন্ট হলো ৪, আর অস্ট্রেলিয়া পেল এক পয়েন্ট।