"ওজিল মরা ব্যাঙের মত নির্বিকার"
মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। আক্রমণভাগে তাকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি, রক্ষণেও নিচে নেমে সাহায্য করেননি হামেলস-বোয়াটেংদের। ১৯৮২ বিশ্বকাপের পর গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচ হারায় জার্মানদের পারফরম্যান্সে স্বভাবতই অসন্তুষ্ট জার্মান কিংবদন্তীরা। তবে অন্যান্যদের চেয়ে ওজিলের ওপরই বইছে সমালোচনার ঝড়। অসন্তোষটা খুব সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সাবেক জার্মান ফুটবলার এবং কিংবদন্তী মারিও বাসলারের। মাঠের ওজিলকে বলেছেন ‘মরা ব্যাঙের মত নির্বিকার’।
ওজিলের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই ক্ষান্ত হননি বাসলার, আজ সুইডেনের বিপক্ষে তাকে মূল একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলে একসময়ের সতীর্থের সাথে গলা মিলিয়েছেন আরেক জার্মান কিংবদন্তী স্টেফান এফেনবার্গ। তার মতে, তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এর্দোয়ানের সাথে দেখা করার কারণে স্কোয়াডেই জায়গা দেওয়া উচিত হয়নি ওজিল এবং ইলকে গুন্ডোয়ানকে, “এমন ব্যবহার একেবারেই মেনে নেওয়ার মত নয়। ফেডারেশনের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা তেমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমাদেরই এখন ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে।”
ওজিলের পারফরম্যান্সে হতাশ ১৯৯০-এ পশ্চিম জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউসও, “ওজিলকে মাঠে দেখলে আমার প্রায়ই মনে হয় সে নিজেকে প্রকাশ করতে পারছে না। তাকে দেখে তো মাঝেমধ্যে মনে হয়, সে খেলতেই ইচ্ছুক নয়।”
তবে ওজিলের সমর্থনেও আছেন অনেকেই। লিভারপুল কিংবদন্তী ডিডি হামানের মতে; ওজিলের এত সমালোচনা হচ্ছে অকারণেই, “এই বিশ্বকাপে সে খুব সম্ভবত আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। যখন আমরা ভাল খেলি, জিতি; তখন কেউ কোনো প্রশ্ন তোলে না। কিন্তু আমরা খারাপ খেললে বা হারলে সবসময়ই দোষ হয় মেসুতেরই। ওজিল একজন দুর্দান্ত ফুটবলার যে জার্মানির হয়ে অর্জন করেছে অনেক কিছুই। একজন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে এভাবে অপবাদ দেওয়া উচিত নয় একেবারেই।”