ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম, স্পেন-পর্তুগালের ভাগ্য লটারিতে?
হিসেবটা পর্তুগাল ও স্পেনের জন্য সহজই হওয়া উচিত। পর্তুগাল ও স্পেন এক পয়েন্ট করে পেলেই উঠে যাবে পরের পর্বে। বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ ইরান। আর স্পেন খেলবে মরক্কোর সাথে। তবে তারপরও কিছুটা অঙ্কের মারপ্যাঁচ আছে।
- পর্তুগাল যদি ইরানের সঙ্গে এক পয়েন্ট পায় তাহলেই যাবে। হারলেও যাবে যদি স্পেন তার চেয়েও বড় ব্যবধানে হারে
- স্পেন মরক্কোর সঙ্গে ড্র করলেই চলে যাবে। হারলেও যেতে পারে যদি পর্তুগাল এর চেয়ে বড় ব্যবধানে হারে। অথবা ইরান ও পর্তুগালের ম্যাচ লো স্কোরিং ড্র হয় আর স্পেন যদি এক গোলের বেশি ব্যবধানে না হারে
- পর্তুগাল ও স্পেনের যে বেশি ব্যবধানে জয় পাবে সেই হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। তবে এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকায় পর্তুগাল স্পেনের পয়েন্ট, গোল পক্ষে/ বিপক্ষে সবকিছুই সমান। এই মুহূর্তে কম হলুদ কার্ড খাওয়ার জন্য স্পেন এগিয়ে আছে পর্তুগালের চেয়ে (পর্তুগালের দুইটি, স্পেনের একটি)। সেটাও যদি শেষ পর্যন্ত সমান হয় তাহলে হবে লটারি।
- ইরানকে উঠতে হলে পর্তুগালকে হারাতেই হবে, আর স্পেনও হারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। মরক্কো এর মধ্যে বিদায় নিয়েছে।
একই পরিস্থিতি হতে পারে গ্রুপ জি তে। বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ড দুই দলই চলে গেছে পরের রাউন্ডে। কিন্তু দুই দলের পয়েন্ট, গোল ব্যবধান সবকিছুই একই। ইংল্যান্ড বেলজিয়ামের চেয়ে একটি কম হলুদ কার্ড দেখেছে বলে গ্রুপ শীর্ষে আছে। শেষ ম্যাচ যদি ড্র হয়, তাহলে যে শেষ পর্যন্ত কম হলুদ কার্ড দেখবে , সে-ই চলে যাবে। আর সেখানেও যদি সমতা থাকে, তাহলে লটারিতেই নির্ধারিত হবে গ্রুপের শীর্ষ দল।
লটারি অবশ্য বিশ্বকাপে প্রথম নয়। ১৯৯০ বিশ্বকাপে এরকম একটা পরিস্থিতি হয়েছিল। সেবার আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের সব রেকর্ডই ছিল একরকম। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান ঠিক করতে লটারি করতে হয়েছিল। তাতে দুইয়ে থেকে পরের রাউন্ডে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড, তিনে থেকে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস।