এটাই পগবার শেষ বিশ্বকাপ?
চার বছর আগে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে জিতেছিলেন সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার। রাশিয়াতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পল পগবার গোলেই জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। শেষ ষোল নিশ্চিত হয়েছে এরই মাঝে, বিশ্বকাপের অন্যতম ‘ফেভারিট’-ও ধরা হচ্ছে ফ্রান্সকে। সব যখন কক্ষপথেই, তখনই আগামীকাল ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে রীতিমত এক বোমাই ফাটালেন পগবা। এবারের আসরই হতে পারে তার বিশ্বকাপ- এমনটা নিজেই বলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার।
কাতার বিশ্বকাপের সময় বয়স হবে ২৯। যেখানে ত্রিশোর্ধ্ব রোনালদো, মেসি, ইনিয়েস্তারা খেলে যাচ্ছেন দিব্যি, সেখানে পগবার এমন কথা কিছুটা অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছে সমর্থকদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পগবাকে নিয়েই ছুটছে আলোচনার ফুলঝুড়ি। নিশ্চিতভাবে কিছু না জানালেও এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ‘বাস্তববাদী’ পগবা, “চার বছর পর আমি ফর্মে না-ও থাকতে পারি, হয়ত পড়তে পারি ইনজুরিতেও। অথবা তখনকার কোচও আমাকে দলে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। বা আরও অনেক তরুণ ফুটবলার আসবে যারা আমার চেয়ে ভাল খেলবে। ভবিষ্যতে কী হবে তা আমরা কেউই জানি না। সব দিক বিবেচনা করেই বলছি, এই বিশ্বকাপই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। অনেক ফুটবলারেরই বিশ্বকাপ খেলার সৌভাগ্য হয় না, সেখানে আমি খেলেছি দু’বার। এজন্য সৃষ্টিকর্তা এবং ফ্রান্সের কাছে এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ।”
রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচ জিতলেও সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি ফ্রান্স। গোল করে ম্যাচ জেতালেও সমালোচনার ঝড়টা বেশি পগবার দিকেই। তবে এসবে থোড়াই কেয়ার তার, “বিশ্বকাপ একজন ফুটবলারের জন্য সর্বোচ্চ সম্মানের টুর্নামেন্ট। অবশ্যই আমি ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চাই। তবে তারা (সমালোচক) কী বলল, সেসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। আমরা খুবই উপভোগ করছি এই সময়টা। ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। বিশ্বকাপ জয়ের সামর্থ্য আমাদের আছে- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। ফ্রান্সবাসী দুই দশক ধরে অপেক্ষা করছে শিরোপা পুনরুদ্ধারের। আশা করছি তাদের এই অপেক্ষার অবসান এবারই ঘটাবো আমরা।”