বর্ণবাদী আচরণের শিকার সেই সুইডিশ উইঙ্গার
৯৫তম মিনিটে টনি ক্রুসের ফ্রি-কিক থেকে দেওয়া গোলে হেরেছে সুইডেন, ফাউলটা করেছিলেন জিমি ডুরমাজ। এরপর থেকেই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হচ্ছেন তিনি, যেটাকে তিনি বলছেন, “সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য”।
ম্যাচ শেষের পর থেকেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে হুমকি পেয়েছেন এই সুইডিশ উইঙ্গার। সুইডেন ফুটবল ফেডারেশন পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেছে এটি, পুরো স্কোয়াডকে সঙ্গে নিয়ে একটা বিবৃতিও দিয়েছেন ডুরমাজ।
“আমি সমালোচনা নিতে প্রস্তুত, তবে সেটা সীমা ছাড়িয়ে গেছে”, বলেছেন ফ্রান্সের টুলুসেতে খেলা ডুমরাজ। তুরস্ক থেকে আসা অ্যাসিরিয়ান বাবা-মার ঘরে জন্ম তার।
রবিবার গেলেন্ডঝিকে অনুশীলনের আগে এই বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। বিবৃতি পড়ার সময় পুরো স্কোয়াড ও কোচিং স্টাফ দাঁড়িয়েছিলেন পেছনে। ভিডিও করছিল সুইডেনের ফুটবল ফেডারেশন।
“আমাকে যদি হুমকি দেওয়া হয়, সন্ত্রাসী বলা হয়, তাহলে অবশ্যই সীমা ছাড়িয়ে অনেকদূর গেছে ব্যাপারটা”, তিনি বলেছেন, “এর চেয়ে বাজে ব্যাপার হলো, আমার পরিবার, সন্তানদের হুমকি দেওয়া- এমন কাজটা করে কে? এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”
“আমি সুইডেন জাতীয় দলে খেলতে পেরে গর্বিত। এবং কোনও বর্ণবাদীকে আমি এটা নষ্ট করতে দিব না। আমাদের অবশ্যই সব রকমের বর্ণবাদী আচরণ পরিহার করা উচিৎ।”
বর্ণবাদীদের সমালোচনার সঙ্গে তাকে সমর্থন দেওয়া মানুষগুলোকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি, “যারা সমর্থন ও ভালবাসা দিয়েছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সুইডেনকে সমর্থন দিয়ে যান। আপনাদের দরকার আমাদের।”
কোচ ইয়ান অ্যানডারসন বলেছেন, “সুইডেন জাতীয় দলে আমরা যারা আছি- খেলোয়াড় ও নেতৃত্বে, সবাই এই বিবৃতিকে শতভাগ সমর্থন জানাই।”
জার্মানির সঙ্গে ৭৪ মিনিটের সময় বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ডুরমাজ, যোগ করা সময়ে পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করেছিলেন টিমো ওয়েরনারকে।
ডুরমাজের সতীর্থ জন গিডেট্টি বলেছেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল। তবে এর জন্য তাকে ঘৃণা করাটা সম্পূর্ণ নির্বোধের মতো কাজ।”
সেই ম্যাচটা ড্র হলেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার খুব কাছাকাছি চলে যেতে পারতো জার্মানি। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট এখন সুইডেনের সমান, তাদের শেষ ম্যাচ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বুধবার। শেষ ম্যাচে সুইডেনের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো।