• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ক্রোয়েশিয়াকে "খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা" দেখাতে বলছে নাইজেরিয়া

    ক্রোয়েশিয়াকে "খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা" দেখাতে বলছে নাইজেরিয়া    

    গ্রুপ ডি-তে আর্জেন্টিনার হিসাবটা বেশ জটিলই, তবে সব হিসাবের পূর্বশর্ত হচ্ছে- হারাতে হবে নাইজেরিয়াকে। ঠিক উলটো ব্যাপারটা নাইজেরিয়ার, দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারাতে পারলে পরের রাউন্ডে যাবে তারা। অবশ্য ড্র করলেও সুযোগ আছে নাইজেরিয়ার, তবে সেক্ষেত্রে চেয়ে থাকতে হবে ক্রোয়েশিয়া-আইসল্যান্ড ম্যাচের দিকে। সেখানে আইসল্যান্ডের কাছে দুই বা বেশি গোলের ব্যবধানে ক্রোয়েশিয়া না হারলেই পরের রাউন্ডে তাদের সঙ্গী হবে সুপার ইগলরা। 

    ক্রোয়েশিয়ার অবশ্য হিসাব-নিকাশের বালাই নেই, নক-আউট পর্বে তারা চলে গেছে আগেই। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাই কয়েকজন মূল খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্রোয়াট কোচ ডালিচ। এটাতেই আপত্তি জানিয়েছেন নাইজেরিয়ার অধিনায়ক জন অবি মিকেল। ক্রোয়েশিয়াকে “খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা” দেখাতে বলেছেন তিনি। 

    “আমার মনে হয় না, এটা ভাল কিছু হবে। অনেক বড় টুর্নামেন্ট এটা, অন্যদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ করে দিতে আপনি খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে পারেন না।” 

    মিকেলের কথার জবাবে কিছু বলেননি এখনও ডালিচ, তবে মুখ খুলেছেন সাবেক স্পেন কোচ হাভিয়ের ক্লিমেন্তে। মিকেলকে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে স্পেনের সঙ্গে ঠিক এই কাজটাই করেছিল নাইজেরিয়া। আগে থেকেই পরের রাউন্ডে চলে গিয়েছিল নাইজেরিয়া, শেষ ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে তারা নামিয়েছিল বেঞ্চে থাকা একাদশকে। ৩-১ গোলে হেরেছিল তারা, বুলগেরিয়াকে ৬-১ গোলে হারানোর পরও তাই নাইজেরিয়ার চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল স্পেন। 

    “যা যায়, সেটাই ফিরে আসে”, বলেছেন ফ্রান্স বিশ্বকাপে স্পেনের কোচ ক্লিমেন্তে, “অবি মিকেল ক্রোয়েশিয়াকে ‘খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা’ দেখাতে বলেছে, প্রথম একাদশ নামিয়ে। ১৯৯৮ সালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে নাইজেরিয়া তাদের দ্বিতীয় একাদশকে নামিয়ে হেরেছিল, বিদায় নিয়েছিল স্পেন। মনে হচ্ছে, সেদিন ‘খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা’ গুরুত্বপূর্ণ ছিল না!”