• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ফ্রান্স-ডেনমার্কে প্রথম গোলশূন্য ড্র দেখল রাশিয়া

    ফ্রান্স-ডেনমার্কে প্রথম গোলশূন্য ড্র দেখল রাশিয়া    

    সমীকরণটা সহজই ছিল ডেনমার্কের। হার এড়ালেই শেষ ষোলর টিকেট নিশ্চিত হত, আর জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে। হল প্রথমটাই। আর অস্ট্রেলিয়া, পেরুর কাছে হেরে যাওয়ায় বাকি রইল না কোনো দুশ্চিন্তাও। ৩৭ ম্যাচ শেষে প্রথম গোলশূন্য ড্রয়ের দেখা মিলল রাশিয়া বিশ্বকাপে। আজকের ড্রয়ে গ্রুপ ‘সি’ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে গেল ফ্রান্স। রানার্স-আপ হয়ে তাদের সঙ্গী হয়ে শেষ ষোলতে গেল ডেনমার্ক।

    লুঝনিকিতে প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের চেয়ে মাঝমাঠের লড়াইতেই ব্যস্ত ছিল দু’দল। প্রথম ৪৫ মিনিটে আক্রমণ তেমন না হলেও অন্যান্য ম্যাচের মত ভিডিও রেফারি নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি বিশ্বকাপের। ম্যাচের ৪ মিনিটেই ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার প্রেস্নেল কিম্পেম্বে ডেনিশ ফরওয়ার্ড আন্দ্রেয়াস কর্ণেলিয়াসকে ডিবক্সে ফেলে দিলেও পেনাল্টির বাঁশি দেননি রেফারি। ডেনিশ ফুটবলারদের জোর দাবিতেও ‘ভিএআর’-এর শরণাপন্ন হননি রেফারি। ডেনিশদের মত প্রথমার্ধে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ভুক্তভোগী হওয়ার অভিযোগ করতেই পারে ফ্রান্স। ৪০ মিনিটে লুকাস হার্নান্দেজকে ফাউল করলেও পেনাল্টির বাঁশি দেননি রেফারি। আগেরবারের মত এবারও ভিডিও রেফারির সাহায্য নেননি তিনি। মাঠের খেলার বিচারে দু’দলই ছিল সমান। তবে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ডেনিশ মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। ২৯ মিনিটে কর্ণেলিয়াসের দারুণ ক্রসে ডিবক্সে বল পেয়ে যান তিনি। কিন্তু দৌড়ে এসে পেছন থেকে দুর্দান্ত এক ট্যাকেলে এরিকসেনের পা থেকে বল কেড়ে নেন লুকাস।  

    দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের সুযোগ তৈরির চেয়ে মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়েই ব্যস্ত ছিল দু’দল। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন এরিকসেন। কিন্তু ডিবক্সের সামান্য বাইরে থেকেও শট গোলে রাখতে পারেননি স্পার্সের মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের আশায় কিলিয়ান এম্বাপ্পে এবং নাবিল ফেকিরকেও নামিয়ে দিয়েছিলেন দিদিয়ের দেশম। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্সের সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ফেকিরই। কিন্তু ৮১ মিনিটে তার দূরপাল্লার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়েছেন স্মেইকেল। দ্বিতীয়ার্ধের বাকিটা সময়ও দর্শকই হয়ে থাকতে হয়েছে দুই গোলরক্ষককে। রক্ষণাত্মক ফুটবলের এক প্রদর্শনীতে শেষমেশ ড্র ছাড়া অন্য কোনো ফলাফল হওয়াটাই আসলে কঠিন ছিল।

    মূল একাদশ:

    ফ্রান্স (৪-২-৩-১): মাঁদাদা; সিডিবে, কিম্পেম্বে, ভারান, লুকাস; কান্তে, এনজঞ্জি; ডেম্বেলে, গ্রিযমান, লেমার; জিরু

    ডেনমার্ক (৪-২-৩-১): স্মেইকেল; ডালসগার্ড, কিয়ার, ক্রিস্টেনসেন, স্ট্রিগার; ডেলানি, ব্র্যাথওয়েট; ইয়োর্গেনসেন, এরিকসেন, সিস্টো; কর্ণেলিয়াস