• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    শেষটা মাথা উঁচু করেই হলো গেরেরোর পেরুর

    শেষটা মাথা উঁচু করেই হলো গেরেরোর পেরুর    

     

                                              ছবিঃ এএফপি 

     

    পেরুর জন্য ম্যাচটা ছিল শুধু নিয়মরক্ষার। তবে অস্ট্রেলিয়ার পাওয়ার ছিল অনেক। সেজন্য নিজেরা শুধু জিতলেই হতো না, তাকিয়ে থাকতে হতো অন্য ম্যাচের দিকেও। নিজেদের কাজটাই করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া, পেরুর কাছে হেরে গেল ২-০ গোলে। পেরু জয় নিয়েই শেষ করল বিশ্বকাপ, তিন পয়েন্টও পেল। তবে পাওলো গেরেরো শুধু গোলই পেলেন না, পেলেন আরও অনেক কিছুই।

    এই বিশ্বকাপে তো খেলারই কথা ছিল না তাঁর। ডোপ পাপে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বিশ্বকাপের আগেই, ২৩ জনের দলেও তাঁর জায়গা ছিল না। শেষ মুহূর্তে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়, গেরেরো চড়ে বসেন রাশিয়ার বিমানে। প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন না, বদলি নেমে গোল পাননি একটুর জন্য। পরের ম্যাচেও তা আর পাওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত শেষ ম্যাচে এসে গোল পেলেন।

    তার আগে অবশ্য হয়ে গেছে অনেক কিছু। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের শুরু থেকেই দাপিয়ে খেলছিল, বলও তাদের দখলে ছিল বেশি। গোলের পরিষ্কার সুযোগও ছিল তাদের বেশি। কিন্তু ১৮ মিনিটে অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতেই এগিয়ে যায় পেরু। পাওলো গেরেরোর পাসটা বক্সের মাথায় পেয়েছিলেন পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ করা পেরু রাইটব্যাক আন্দ্রে কারিয়ো। তাঁর ডান পায়ের দুর্দান্ত ভলিটা জড়িয়ে যায় জালে, পেরু পেল বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোল। এরপর প্রথমার্ধে অন্তত দুবার সমতা ফেরাতে পারত অস্ট্রেলিয়া।  একবার ম্যাথু লেকি বলটা জালে জড়িয়ে দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সেটা ক্লিয়ার করেছেন অ্যান্ডারসন সান্তামারিয়া। তার আগে টম রজিচ পেরুর বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়েই বক্সে ঢুকে শট করেছিলেন। কিন্তু সেটা সরাসরি চলে যায় পেরু গোলরক্ষকের হাতে।

    ৫০ মিনিটে পেরু পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোলের দেখা। এবার ক্রিস্টিয়ান কুয়েভার শট দিকবদল করে চলে যায় পাওলো গেরেরোর কাছে। গেরেরো ছিলেন জায়গামতো, জাত স্ট্রাইকারের মতো শটও নিলেন। একটু সৌভাগ্যও ছিল অবশ্য, তাঁর শটও অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে আরেকটু দিক বদলে চলে যায় জালে।  ৩৪ বছর বয়সে এসে বিশ্বকাপে প্রথম গোলের দেখা পেল, দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসেই তার চেয়ে বেশি বয়সে গোল পাননি কেউ।

    অস্ট্রেলিয়া অবশ্য এরপরও সমতা ফেরানোর চেষ্টা করে গেছে প্রাণপণে।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাভ হয়নি। ১ পয়েন্ট পেয়েই শেষ করতে হয়েছে বিশ্বকাপ। আর পেরুর জন্য জয়টা ছিল সান্ত্বনার চেয়েও বেশি কিছু। নেচেগেয়ে তাদের সমর্থকেরা জয় উদযাপন করেছে সোচিতে। কে জানে, প্রথম ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তারা নকআউটেও হয়তো চলে যেত!