নেইমারের মতো কেঁদেছিলেন তিতেও
ছবি-ডেইলি এক্সপ্রেস
কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল পেয়েছিলেন নেইমার। শেষ বাঁশি বাজার পর হাত দিয়ে মুখ ঢেকে অঝোরে কেঁদেছেন বেশ কিছুক্ষণ। এই কান্না ছিল আবেগের, নেইমার নিজেই জানিয়েছিলেন ম্যাচশেষে। সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারসহ অনেকেই বলছেন, এরকম কান্না দুর্বলতার লক্ষণ। তবে ব্রাজিল কোচ বলছেন, এমন কান্না কোনো দুর্বলতা না, নেইমারের সাথে তিনিও সেদিন কেঁদেছিলেন।
প্রায় তিন মাস ইনজুরিতে থাকা নেইমার ফিরেছেন বিশ্বকাপের আগেই, প্রস্তুতি ম্যাচেও পেয়েছেন গোল। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে গোল পাওয়ায় খানিকটা আবেগি হয়ে পড়েছিলেন নেইমার। নেইমারের আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল তিতেকেও, ‘কান্না কখনই দুর্বলতার লক্ষণ হতে পারে না। আমিও তো ম্যাচের পর কেঁদেছিলাম! মানুষের আবেগ আসবেই, এটাই স্বাভাবিক। আমি মানছি আবেগ ও বাস্তবতার মাঝে একটা সমতা রাখতে হবে সবাইকে। কখনো আবেগি হতে হবে, কখনো বা বরফ শীতল অনুভূতি ধরে রাখতে হবে মাঠে।’
নেইমারের মতো মাঝে মাঝে তিনিও আবেগি হয়ে পড়েন, জানালেন তিতে, ‘পুরো ব্রাজিলবাসীকে জানাতে চাই, আমিও কিন্তু সেদিন কেঁদেছিলাম, নেইমার একা কাঁদেনি। ম্যাচের পর স্ত্রীকে ফোন দিয়ে আনন্দে কেঁদে দিয়েছিলাম। আমার এই কান্নায় মিশে ছিল গর্ব আর সন্তুষ্টি।’
কোস্টারিকার বিপক্ষে জয়ের পর সাবেক বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান কাকা বলেছিলেন, এবার নেইমার নয়, ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন ফিলিপ কৌতিনহো। তিতের মতে, শুধু নেইমারের ওপরই ভরসা করা চলবে না ব্রাজিলের, ‘সে কিছুদিন আগেই ইনজুরি থেকে ফিরেছে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। এছাড়া আপনি বিশ্বকাপে একজনের ওপর ভরসা করে এগুতে পারেন না। দলের প্রত্যেকের আলাদা দায়িত্ব আছে, সবাইকে সেটা পূরণ করতে হবে। নেইমার কি একা ম্যাচ জেতাতে পারে না? অবশ্যই সে পারে। কিন্তু শুধু তার দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রাত ১২টায় মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও সার্বিয়া।