• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    নিয়ম মানেননি সুবাসিচ-আকিনফেভরা!

    নিয়ম মানেননি সুবাসিচ-আকিনফেভরা!    

    নায়ক হতে পারতেন ডেভিড ডি গিয়া বা ইগর আকিনফেভ। ডি গিয়া পারলেন না, হলেন আকিনফেভ। হতে পারতেন কাসপার স্মাইকেল বা ড্যানিয়েল সুবাসিচ। স্মাইকেল হতে হতেও পারলেন না, ক্রোয়েশিয়ার সুবাসিচই শেষ পর্যন্ত দলকে নিয়ে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। টাইব্রেকারের রাতে দুই গোলরক্ষকের ওপরেই সব আলো। কিন্তু ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কাল যে ১৯টি স্পটকিক টাইব্রেকারে নেওয়া হয়েছে, তার ১৫টিতেই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন গোলরক্ষকেরা। একমাত্র ডি গিয়া ছাড়া আর কেউ আইন মানেননি।

     

    সেই আইনটা কী? কাল যারা খেলা দেখেছেন তারা খেয়াল করতেও পারেন। দুই ম্যাচে ডি গিয়া বাদে সব গোলরক্ষক লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন। ডি গিয়া শুধু একবার লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। ফিফার নিয়মে পরিষ্কার বলা আছে, লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসা অবৈধ। কিন্তু দুই ম্যাচেই সেটা মানা হয়নি। মদ্রিচ যখন শেষ সময়ে পেনাল্টি পেলেন তখন রেফারি স্মাইকেলকে এক বার সতর্কও করে দিয়েছিলেন। লাভ হয়নি। স্মাইকেল তখনও লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। পরে টাইব্রেকারেও দুই গোলরক্ষকই এটা মানেননি। ভিএআর সহ মাঠে দুই লাইন্সম্যান থাকার পরও কেন রেফারি পেনাল্টিগুলো বাতিল করেননি, সেই প্রশ্ন উঠতেই পারে।

     

    কিছুদিন আগে ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে এই নিয়ম না মানার জন্য লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল এক গোলরক্ষককে। আয়ারল্যান্ডের গোলরক্ষক জিমি করকরান হল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ পেনাল্টিটা ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বার বার লাইন অতিক্রম করার জন্য তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সঙ্গে দেখতে হয়েছে লাল কার্ড।

     

     

    আপনি হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এলে সমস্যা কী? গোলরক্ষক এগিয়ে আসা মানে পেনাল্টি ঠেকানোর জন্য আরেকটু বেশি জায়গা পাওয়া, প্রতিপক্ষের কাজটাও আরেকটু কঠিন হয়ে যায় তাতে।  দুই টাইব্রেকারে দুই নিয়ম ভাঙা হলেও রেফারি হয়তো সেটা দেখেননি বা দেখেও উপেক্ষা করে গেছেন।