জয়ের সুবাস পাচ্ছে ইংল্যান্ড
২০০৫ সালের এজবাস্টনের সেই মহাকাব্যিক টেস্ট ক্রিকেট-পুরাণের অংশ হয়েই থাকবে। এবারের এজবাস্টন টেস্ট সেরকম হতে হলে অস্ট্রেলিয়াকে কাল অলৌকিক কিছুই করতে হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ১৬৮ রানেই হারিয়ে ফেলেছে ৭ উইকেট, লিড নিয়েছে মাত্র ২৩ রানের। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শুধু উইকেটকীপার পিটার নেভিলই ৩৭ রানে উইকেটে আছেন। ম্যাচের মাত্র দুই দিন শেষেই ইংল্যান্ডের জয়টা এখন সময়ের ব্যাপার বললে ভুল হবে না।
অথচ সকালের সেশনটা কী দারুণ শুরুই না করেছিল অস্ট্রেলিয়া। নিজের প্রথম ওভারেই বেয়ারস্টো ও স্টোকসকে ফিরিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডকে বড় একটা ধাক্কা দিয়েছিলেন জনসন। ছুঁয়ে ফেলেছেন টেস্টে ৩০০ উইকেটের মাইলফলকও। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে এরপর হতাশ করে গেছেন মঈন আলী ও স্টুয়ার্ট ব্রড। ৫৯ রান করে অ্যাশেজে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে একই সিরিজে দুইবার আট নম্বরে নেমে ফিফটি করেছেন মঈন। দুজন মিলে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন ১৪৫ রানের লিড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত কিছু করতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার ছাড়া সেই ইচ্ছাটা আর কারও মধ্যেই তেমন দেখা যায়নি। শুরু থেকেই দারুণ আক্রমণাত্মক ছিলেন ওয়ার্নার, একটা সময় মনে হচ্ছিল চার্লস ব্যানারম্যানের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে পুরনো রেকর্ডটাও ভেঙে দেবেন (দলের মোট রানের শতকরা সবচেয়ে বেশি রান)। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি, ওয়ার্নার যখন ৬২ বলে ৭৭ রান করে আউট হয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার রান তখন মাত্র ১১১! তার আগে উইকেট পড়ে গেছে আরও পাঁচটি! একটা সময় মনে হচ্ছিল কালই হয়তো খেলা শেষ হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত পিটার নেভিল আর মিচেল জনসনের প্রতিরোধে ম্যাচটা তৃতীয় দিনে নিয়ে যেতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন নেভিল, জনসন আউট ১৪ রানেই। অস্ট্রেলিয়ার মেরুদন্ড একাই ভেঙে দিয়েছেন স্টিভেন ফিন। দুই বছর পর টেস্ট দলে ফিরে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।