ঘাসের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত সাকিবরা
প্রায় ছয় মাস পর টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। অ্যান্টিগা টেস্টটা অবশ্য সাকিব আল হাসানের কাছে একরকমের দ্বিতীয় ইনিংসই। নয় বছর আগে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই পাকেচক্রে প্রথমবার পেয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়কত্ব। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই এবার শুরু হচ্ছে সাকিবের অধিনায়কত্বের নতুন ইনিংস। তবে তার আগে প্রশ্নচিহ্ন উঠে যাচ্ছে, বাংলাদেশ পেস আর বাউন্সের উইকেটে বাংলাদেশ গ্যাব্রিয়েলদের সামলাতে পারবে তো?
এমনিতে অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামের আগের ইতিহাস বলছে, এখানে ব্যাটসম্যানদের রান পাওয়ারই কথা। প্রথম ইনিংসের গড় স্কোরই ৪৫০। প্রস্ততি ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা রান পেয়েছিলেন, তামিম-মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরিই করেছেন। তবে আজকের ম্যাচের উইকেট অলৌকিক কিছু না হলে অমন হচ্ছে না। সাকিব ও নতুন কোচ স্টিভ রোডস, দুজনেই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন, এই ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে পেস আর বাউন্সের বড় পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।
সাকিব কাল ম্যাচের আগে বললেন, গড়পড়তা ক্যারিবিয়ান উইকেটের চেয়ে এখানে ঘাস বেশি থাকবে, ‘আশা করি, আবহাওয়া একই রকম থাকবে। আর সাধারণ ক্যারিবিয়ান উইকেটের চেয়ে ঘাস বেশি থাকবে। আমার মনে হয় সবাই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। এই উইকেটে পেস এবং ক্যারি ভালো থাকবে, আশা করি আমরা মানিয়ে নিতে পারব। ’
ঘাসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সর্বশেষ এক টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এর আগে এই কীর্তি ছিল মাত্র দুজনের। এক সিরিজে নিয়েছেন ২০ উইকেট। উস্টারশায়ারের কোচ থাকার সময় গ্যাব্রিয়েলকে কোচ হিসেবে পেয়েছেন স্টিভ রোডস, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কোচের কাছ থেকে হয়তো কিছু টিপস পাবেন।
তবে আসল তো মাঠে, সাকিব বললেন সবাই সেটা নিতে প্রস্তুত, ‘এখানে এসেছি এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। আবহাওয়ার সঙ্গেও অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কেমন করেছে, সেটা আমরা টিভিতে দেখেছি। ওদের বেশ কিছু দারুণ বোলার আছে, আমাদের খুব ভালো ব্যাটিং করতে হবে। গত দুই তিন মাসে আমরা খুব বেশি ক্রিকেট খেলিনি, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে। আমার মনে হয় আমরা সবাই চ্যালেঞ্জটা নিতে তৈরি।’
রোডসও বলছেন, এই উইকেট বাংলাদেশের চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের দিকেই বেশি সাহায্যের হাত বাড়াবে, ‘সম্ভবত বাংলাদেশের জন্য এই উইকেট একটু অনভ্যস্ত, তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজেই আমরা এমন দেখেছি। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে ঝুঁকে আছে। আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজটা ভিডিও দেখেছি, হাইলাইটস দেখেছি। এখন ইন্টারনেটে সবকিছু দেখা যায়। আমাদের ব্যাটসম্যানরা জানে কী করতে হবে। তারা যে সবাই অভিজ্ঞ তা নয়। তবে জানে কীভাবে খেলতে হয়। আমার কাজ ওদের সাপোর্ট দেওয়া। ’