'পড়ে যাওয়াটাই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় অস্ত্র'
রাদামেল ফ্যালকাও সরাসরিই বলেছেন, আমেরিকান রেফারি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। কোচ হোসে পেকারম্যান অবশ্য কিছুটা রাখঢাক করেই বলেছেন। তবে ইংল্যান্ডের কাছে টাইব্রেকারে হারের পর কলম্বিয়ার দুজনের বক্তব্যের সুরটা কাছাকাছি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা ন্যায্য আচরণ পাননি।
ফ্যালকাও সরাসরি রেফারিকেই দাঁড় করিয়েছেন কাঠগড়ায়। কালকের ম্যাচের রেফারি ছিলেন আমেরিকার মার্ক গেইগার, ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাঁকে। মোট ৩৬ বার ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছেন, এর মধ্যে ২৩ বারই গেছে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। তবে হ্যারি কেইনকে ফেলে দেওয়ার জন্য যে পেনাল্টি দিয়েছেন, সেটা নিয়েই তোলপাড় হচ্ছে বেশি।
ম্যাচের সময়ই সেই পেনাল্টিসহ বিভিন্ন কারণে রেফারির কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছিল কলম্বিয়ার খেলোয়াড়েরা। লাভ হয়নি। ফ্যালকাও এমন একটা ম্যাচে আমেরিকান রেফারি নিয়োগ দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না এমন একটা ম্যাচে কেন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হলো যে শুধু ইংরেজি বলতে পারে। এই রেফারি শুধু ইংরেজিতে কথা বলতে পারে, এখানে ঘাপলা কিছু তো হবেই। আমার কাছে পুরো প্রক্রিয়াটাই বেশ ঘোরালো মনে হচ্ছে। কিছু কিছু সময় আমাদের নিজেদের অর্ধে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, ব্যাপারটা সন্দেহজনক।’
ফ্যালকাও বলেছেন, কাছাকাছি সিদ্ধান্তগুলো একটাও কলম্বিয়ার পক্ষে যায়নি, ‘যখনই ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা ইংল্যান্ডের পক্ষে গেছে। আমরা যখন আক্রমণ করতে গেছি, সেখানে রেফারি অনেক বার বিঘ্ন ঘটিয়েছেন। অথচ ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তা হয়নি। নকআউট পর্যায়ে এসে এরকম কিছু দেখা সত্যিই লজ্জার ব্যাপার।’
পেকারম্যান অবশ্য সরাসরি রেফারির দিকে আঙুল তোলেননি, তবে ইংলিশ খেলোয়াড়দের উস্কানি দেওয়ার পরোক্ষ অভিযোগ তুলেছেন, ‘যখন রেফারি পেনাল্টি দিল তখন বিপক্ষের কেউ চেষ্টা করছিল যেন তিনি অন্য কাউকেও কার্ড দেখান। এরকম হলে সেটা খেলার জন্য খারাপ। আর বার বার খেলা থামালেও খেলার সৌন্দর্যটা থাকে না। দুই দলই যাতে ঠিক ভারসাম্য থেকে খেলা চালিয়ে নিতে পারে সেজন্য রেফারিদের কিছু একটা করা উচিত।’
বরং অভিনয়ের জন্য ইংলিশ খেলোয়াড়দের খোঁচা দিলেন কলম্বিয়া, ‘আমার মনে হয় ইংল্যান্ড বাতাসে খুবই দক্ষ। বক্সে পড়ে যাওয়া তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কিছু হলেই ওরা বক্সে পড়ে যায়। এটা খুবই আহত করার মতো একটা ব্যাপার। এরকম কিছু যাতে না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এখনকার ফুটবলে এমন কোনো পরিস্থিতি থাকা উচিত নয়।’