ম্যারাডোনাকে "তীব্র ভর্ৎসনা" ফিফার
ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া ম্যাচের রেফারি মার্ক গেইগারকে নিয়ে করা ডিয়েগো ম্যারাডোনার মন্তব্যকে “তীব্র ভর্ৎসনা” করেছে ফিফা। ম্যারাডোনা অবশ্য ফিফার দূত, ভিআইপি দর্শক হিসেবে দেখছেন বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনা কিংবদন্তিকে নিয়ে এটি তৃতীয় বিতর্ক এই বিশ্বকাপে।
ভেনিজুয়েলান ব্রডকাস্টার “টেলেসার”কে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া ম্যাচের ফলটা “বিশাল এক ডাকাতি”, ফিফা জবাব দিয়েছে সে মন্তব্যরেই। ম্যাচের আগে কলম্বিয়ার হলুদ জার্সি পরে নিজের ছবি প্রকাশ করেছিলেন ম্যারাডোনা, তবে টাইব্রেকারে তাদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে ইংল্যান্ড।
ফিফা বলেছে, ম্যারাডোনা যেদিকে “ইঙ্গিত” করেছেন, সেটা “সম্পূর্ণ অনপুযুক্ত এবং এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
“আমাদের এই খেলার ইতিহাস তৈরি করেছেন, এমন একজনের কাছ থেকে এরকম ঘোষণা শোনার পর ফিফা খুবই মর্মাহত”, এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ফিফা।
কলম্বিয়া সেই ম্যাচে ৩৬টি ফাউলের মধ্যে ২৩টিই করেছিল, আটটি হলুদ কার্ডের ছয়টিই দেখানো হয়েছে তাদের। তবে ম্যারাডোনা কলম্বিয়ান অধিনায়ক রাদামেল ফ্যালকাওয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়েই বলেছিলেন, গেইগার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্যারেথ সাউথগেটের দলের পক্ষে দিয়েছেন।
হ্যারি কেনকে জাপটে ধরে ডি-বক্সের ভেতরে ফেলে দেওয়ার অপরাধে কার্লোস সানচেজকে হলুদ কার্ড দেখানোর আগে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি গেইগের। ম্যারাডোনা বলেছিলেন, সেটা পেনাল্টি ছিল না, উলটো কেইনই ফাউলটা করেছিলেন।
এর আগে পর্তুগালের বিপক্ষে মরক্কোর ম্যাচের পর তাদের ফুটবলার নরদিন আমরাবাত অভিযোগ করেছিলেন, গেইগার পর্তুগাল প্লেয়ারের জার্সি চেয়েছিলেন। তবে ফিফা পরে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সঙ্গে ম্যাচে হেরে নাইজেরিয়া কোচ স্টিফেন কেশিও বেশ কিছু ভুলের অভিযোগ করেছিলেন গেইগারের বিরুদ্ধে।
ম্যারাডোনা অবশ্য ফিফার এই ভর্ৎসনার পর এখনও তার মন্তব্যের ব্যাপারে কিছু বলেননি। তবে এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ান সমর্থকদের প্রতি আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গী ও আর্জেন্টিনার শেষ মুহুর্তের গোলে নাইজেরিয়াকে হারানোর পর তার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী নিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন।