রোনালদোর চেয়ে জোরে দৌড়াতে পারেননি কেউই
বয়স হয়ে গেছে ৩৩। অনেকেই এই বয়সে বুটও তুলে রাখেন। অথচ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে একটা জায়গায় পেছনে ফেলতে পারেননি কেউই, ধরতে পেরেছেন শুধু ক্রোয়েশিয়ার আন্তন রেবিচ। এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জোরে দৌড়েছেন রোনালদো আর রেবিচই।
স্পেনের সঙ্গে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই ঘণ্টায় ৩৪ কিলোমিটার বেগে দৌড়েছিলেন রোনালদো। রেবিচ সেটা ছুঁয়েছেন ডেনমার্কের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে এসে। তার আগেও নাইজেরিয়ার সঙ্গে ম্যাচে ৩৩.৩ কিলো বেগে দৌড়েছিলেন রেবিচ। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, দুজনের বয়সের পার্থক্যটা ১০ বছরের।
যারা বুঝতে পারছেন না, রোনালদো কতটা দৌড়েছেন, তাদের একটা উদাহরণ দিলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। ২০০৯ সালে উসাইন বোল্টের বিশ্বরেকর্ডের সময় তাঁর গতি ঘণ্টায় ৪৪.৭ কিলো।
রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলার কাছাকাছি গেছেন আরও কয়েকজন। পেরুর ফুলব্যাক লুইস আদভিনকুলা দৌড়েছেন ৩৩.৮ কিলোমিটার বেগে। উত্তাপ ছড়ানো কলম্বয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচেও বেশ কয়েকজন গিয়েছিলেন কাছাকাছি। কলম্বিয়ার রাইট ব্যাক সান্তিয়াগো আরিয়াস দৌড়েছেন ৩৩.৬ কিলো বেগে। কাছাকাছি গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের কাইল ওয়াকার ও জেসে লিনগার্ড (দুজনেই ৩৩.৫)। ব্রাজিলের মারকিনিয়স, মেক্সিকোর লোজানো, পোল্যান্ডের রাইবাস, রাশিয়ার গলোভিন, দক্ষিণ কোরিয়ার মিং হুয়াংরাও ছিলেন কাছাকাছি।
ইংল্যান্ডের চারজন খেলোয়াড় দৌড়েছেন ৩৩ কিলোর ওপর। ওয়াকার, লিনগার্ডের সঙ্গে রাশফোর্ড আর স্টার্লিংও। স্লথ সুইডেনের সঙ্গে এই গতি দিয়েই বাজিমাত করতে পারে ইংল্যান্ড।