একদিকে বিয়ে, অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনাল, উপায়?
গ্রীষ্ম মানেই উষ্ণ আবহাওয়া, উষ্ণ আবহাওয়া মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই অনুষ্ঠান, পরিবার-পরিজনকে নিয়ে। আর আছে ছবি তোলার হিড়িক। উজ্জ্বল ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবি তোলার জন্য কড়া রোদে ঘেমেনেয়ে একাকার বর, আর গাউনের ভেতর উত্তপ্ত কন্যারা। বিয়ের জন্য গ্রীষ্মকে তো এজন্যই বেছে নেওয়া!
শনিবার, ৭ জুলাই বিয়ের জন্য বেশ উপযুক্ত একটা দিন ছিল ইংল্যান্ডে। বাগড়া বাঁধালো শুধু একটা ব্যাপার- বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল।
ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের কারণেই হয়তো এদিনকে বিয়ের জন্য বেছে নেওয়া যুগলরা ভেবেছিলেন, এতদিনে বিদায়ঘন্টা বেজে যাবে ইংল্যান্ডের! সেটা হয়নি। শনিবার পতি-পত্নীদের একে অপরের প্রতি ভালবাসা, বন্ধু, পরিবারদের সঙ্গে ভালবাসার অনুষ্ঠানে মিশেছিল থ্রি লায়ন্সের প্রতি ভালবাসা।
শনিবার এমনিতেই বিয়ের জন্য ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় এক দিন। হাজার হাজার ইংলিশদের তাই বেশ অভিনব পন্থা বেছে নিতে হলো। এমনিতে কোনো খেলা চলছে, সঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে হচ্ছে- সেটা স্বাভাবিকই। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান তো একটু ভিন্ন, যেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়! আবার ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যাওয়ার হাতছানিও তো অন্য কিছু! সুইডেনের সঙ্গে ম্যাচটা তো তাই বাকি সবকিছুর চেয়ে আলাদাই। একদিকে প্রিয়জনের অন্যতম স্মরণীয় দিন, আরেকদিকে ইংল্যান্ডের ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ দিন। দুইয়ের সমন্বয় করতে তাই নানা পন্থা বেরিয়ে এল।
কেউ স্কোর আপডেট জানাতে থাকলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা কাউকে, কেউ মোবাইল ফোনের দারুণ সার্ভিসের সুবিধা নিলেন। কেউ গীর্জায় বসেই স্ট্রিমিং করলেন ম্যাচ, কোনও কন্যা আবার অনুমতি দিলেন বিয়েতে প্রজেক্টরে খেলা দেখানোর। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেল একদল, গীর্জায় ব্যবস্থা করা হলো লাইভস্কোরের আপডেটের।
দিনশেষে সবাই খুশিমনে বাড়ি ফিরলেন, ইংল্যান্ড যে চলে গেল সেমিফাইনালে।
আর হ্যাঁ, বিয়ে হলো অনেকের। তারা তাদের বিবাহবার্ষিকীটা মনে রাখবেন এভাবে- যেদিন ২৮ বছর পর সেমিফাইনালে গিয়েছিল ইংল্যান্ড! আর সেই অনুষ্ঠানে থাকা বাকিরাও ভুলবেন না, এমন একটা বিয়েতে জীবনে কবারই বা যাওয়া হয়, বলুন!