যেভাবে এলো 'ইটস কামিং হোম'
ইংলিশ সংবাদমাধ্যম, সমর্থকদের টুইট, রাশিয়ার গ্যালারিতে বসা ইংল্যান্ডের দর্শকের ব্যানার কিংবা স্লোগানে; কোথায় নেই লাইনটা? শুরু থেকেই ‘ইটস কামিং হোম’ হ্যাশট্যাগে মুখর ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ মিশন। কিন্তু এই লাইনের মানেটা কি? কোথা থেকেই বা এলো এই লাইনটি?
মূলত এটি একটি গানের অংশ। ১৯৯৬ সালের ইউরোর আসর বসেছিল ইংল্যান্ডে। সেবার ইংল্যান্ড দলকে শুভকামনা জানাতেই রচনা করা হয় ‘থ্রি লায়নস’ নামের গানটি। ব্যাডিল ও স্কিনার নামের দুইজন গায়কের রচিত গানটি সেবার দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। ওই গানের একটি লাইন তো হয়ে উঠেছিল ইংলিশ ভক্তদের সবচেয়ে প্রিয় স্লোগান। ‘ফুটবল কামিং হোম’ দিয়ে সবাই বুঝাতে চেয়েছিলেন, ফুটবলের আঁতুড়ঘর ইংল্যান্ডেই যেন ফেরে শিরোপা।
১৯৯৬ সালে দারুণ পারফর্ম করলেও সেমিফাইনালে বাদ পড়ে ইংল্যান্ড। এরপর ইউরো কিংবা বিশ্বকাপ, কোথাও খুব বড় সাফল্য আসেনি। এবারের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে হ্যারি কেইনদের দলকে দিয়ে প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। এখন পর্যন্ত ইংলিশদের পারফরম্যান্স সেই আশা বাড়িয়ে দিয়েছে আরও কয়েকগুণ।
ইংলিশ সমর্থকরা তাই ৫২ বছর পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। একই সাথে ফিরে এসেছে ১৯৯৬ সালের সেই থ্রি লায়ন গানের আরেকটি লাইন। ‘ইটস কামিং হোম’, সমর্থকদের স্লোগানে কিংবা টুইটে থাকছে হ্যাসট্যাগটি। ১৮৬৩ সালে ফুটবলকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল যে ইংল্যান্ড, সেই দেশেই ফিরে আসবে বিশ্বকাপ ট্রফি, এই লাইনে সেটাই ইঙ্গিত করছেন ইংল্যান্ডের সবাই।
শুধু কি সমর্থক বা সাংবাদিক; ‘ইটস কামিং হোম’ স্লোগানে মজেছেন ইংলিশ ফুটবলাররাও। সুইডেনের বিপক্ষে জয়ের পরে লিনগার্ড-র্যাশফোর্ডদের কণ্ঠেও শোনা গেছে এই লাইনটি। কেইনরা কি সত্যি পারবে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি ঘরে ফিরিয়ে আনতে?