পিকফোর্ড যখন ইংল্যান্ডকে জেতাচ্ছিলেন, হার্ট তখন ক্রিকেট খেলছিলেন
জর্ডান পিকফোর্ডের জায়গায় থাকতে পারতেন জো হার্টও। শেষ তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের ইংল্যান্ডের এক নম্বর গোলরক্ষক ছিলেন হার্টই। অথচ গ্যারেথ সাউথগেটের স্কোয়াডে জায়গা হলো না তার। পিকফোর্ড বিশ্বকাপে গেলেন, হয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের নায়ক।
সেই পিকফোর্ড যখন সুইডেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখাচ্ছিলেন ম্যাচসেরার পারফরম্যান্স, তখন হার্ট ক্রিকেট খেলছিলেন তার ঘরের দল শ্রসব্রি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে।
'সিরিয়াস' ক্রিকেট খেলার দিনগুলিতে হার্ট/ম্যানচেস্টারইভিনিংনিউজ
বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পেয়ে হার্ট বলেছিলেন, “এটা মেনে নেওয়া কষ্ট”। অবশ্য দলের প্রতি সমর্থন ঠিকই জানাবেন বলেই জানিয়েছিলেন। তবে সময়-সুযোগ যখন মিলেছে, তখন ছোটবেলার প্রেমটা মাথাচাড়া দিল। ছেলেবেলার দল শ্রসব্রির হয়ে ক্রিকেটই খেলতে নেমে গেলেন, সুইডেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যেদিন খেলতে নামল। ২০০৭ সালে শেষ এই দলের হয়ে খেলেছিলেন হার্ট।
বার্মিংহাম প্রিমিয়ার ডিভিশনের সেই ম্যাচটা জিতেছে হার্টের দল। নোউল অ্যান্ড ডরিজের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৫০ রান করেছিল শ্রিসব্রি। জবাবে ৯ উইকেটে ২০৩ রান করেই থেমেছে নোউল।
ছবি- এক্সপ্রেসডাইজেস্ট
নয় নম্বরে নেমে ছয় রান করেছেন হার্ট, পরে ক্যাচ নিয়েছেন একটি।
“জো তার নিজের জন্য, তার ক্রিকেট ক্লাব ও সম্প্রদায়ের জন্য গর্ব,” টুইট করেছেন নোউল বোলার ক্রিস চেসলিন, “বন্ধু আর পরিবারের সামনে সে ক্রিকেট উপভোগ করেছে মাঠে ফিরে- এটা দারুণ একটা দৃশ্য।”
হার্ট অবশ্য চাইলে পেশাদার ক্রিকেটারও হতে পারতেন। উরস্টারশায়ারের যুব দলে খেলতেন, সাবেক ইংল্যান্ড উইকেটকিপার স্টিভেন ডেভিসের সঙ্গে। তবে ১৬ বছর বয়সে শ্রসব্রি টাউনের হয়ে ফুটবল ক্যারিয়ারটাই বেছে নিয়েছিলেন পরে।
গত মৌসুমটা ধারে ওয়েস্ট হামের হয়ে খেলেছিলেন হার্ট, এবার আবারও ফিরেছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। তবে তার আগেই ফিরেছিলেন ক্রিকেট মাঠে।