ফ্রান্স-বেলজিয়াম ম্যাচের আগে তিন প্রশ্ন
দুই দলই কাগজে কলমে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলোর একটি। ফ্রান্স তো টুর্নামেন্ট ফেবারিট, বেলজিয়ামও দেখিয়েছে তারা বড় দল হয়ে ওঠার পথে। দুর্দান্ত একটা সেমিফাইনালই দেখার কথা আজ। তা কোথায় কোথায় পার্থক্য হতে পারে ফ্রান্স বেলজিয়ামের? একটু দেখে নেওয়া যাক
ম্যুনিয়ারের অভাবে ফর্মেশন বদল?
আজকের ম্যাচের আগে বেলজিয়ামের সবচেয়ে বড় ধাক্কা, রাইটব্যাক টমাস ম্যুনিয়ারকে হারিয়ে ফেলেছে তারা। হলুদ কার্ডের জন্য আজ খেলতে পারবেন না ম্যুনিয়ার। এমনিতে বেলজিয়াম ৩-৪-৩ ফর্মেশনে খেলে এলেও আগের ম্যাচে কিছুটা রক্ষণাত্মক ৪-৩-৩এ খেলেছিল। সমস্যা হচ্ছে, ম্যুনিয়ারের তেমন কোনো বিকল্পও নেই দলে। শাদলি বা কারাসকোকে তুলনামূলক আক্রমণাত্মক উইংব্যাক হিসেবে ৩-৪-৩ এ নামানো যায়, কিন্তু ফ্রান্সের সঙ্গে ম্যাচের আগে মার্তিনেজ অমন ঝুঁকি নেবেন বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে ৪-৩-৩ ফর্মেশনেই খেলতে পারে বেলজিয়াম, আর রাইট ব্যাকে চলে আসতে পারেন অলডারউইরেল্ড। আগের দিনের মতো বাঁয়ে খেলবেন ভেত্রোনহেন, তখন মাঝে কোম্পানির সঙ্গে নামতে পারেন বোয়াটা বা ভার্মেলেন। মাঝমাঠে ফেলাইনি-শাদলির নিজেদের জায়গা ধরে রাখার কথা। তবে মার্তিনেজ যে চমকে দেবেন না , সেটা হলফ করে বলা যায় না ।
আরও পড়ুন- কিক অফের আগে: দুই সোনালী প্রজন্মের ফাইনালে ওঠার লড়াই
জিরু জায়গা করে নিতে পারবেন তো?
অলিভিয়ের জিরুকে কেন একাদশে রাখা হচ্ছে, এই প্রশ্নটা আপনি খেলা না দেখলে তুলতেই পারেন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে কোনো গোল নেই একজন স্ট্রাইকারের। তবে জিরু যেভাবে খেলছেন, সেটার জন্য তাঁর কাছ থেকে গোল খুব একটা চাইবেন না দিদিয়ের দেশম। বক্সে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের শারীরিক উপস্থিতি দিয়ে ভোগানোই তাঁর কাজ। সেটার জন্য জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন এমবাপ্পে ও গ্রিজমান, সেই সুযোগ দুজন নিয়েছেন দুই হাতেই। আজ জিরুকে যারা পাহারা দেবেন, প্রিমিয়ার লিগে সেই কাজটা নিয়মিতই করে আসছেন। কারও জন্যই কাজটা সহজ হবে না খুব একটা।
মধ্যমাঠ কার দখলে?
বেলজিয়াম যদি শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের ফর্মেশনেই খেলে, তাহলে দুই দলই খেলছে একই ফর্মেশনে। আগের ম্যাচে ডি ব্রুইন খেলেছিলেন ফলস নাইনে, এবারও কি সেটা করবেন? নাকি মাঝমাঠে আরেকটু কতৃত্ব ধরে রাখতে নিচে নেমে আসবেন? ফ্রান্সের এনগোলো কান্তে এখন পর্যন্ত প্রতি ম্যাচেই ছিলেন ধারাবাহিক, নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন মেশিনের মতো। ডি ব্রুইনের সৃষ্টিশীলতা নষ্ট করে দেওয়ার জন্য দেশম অনেকটা তাঁর ওপর নির্ভর করবেন। অন্যদিকে উইটজেলের কাজ থাকবে পগবা যেন সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে না পারেন। মধ্যমাঠে কে কীভাবে খেলবে, সেটাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে আজকের ম্যাচে।