• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    রামির গোঁফে সৌভাগ্য ফ্রান্সের!

    রামির গোঁফে সৌভাগ্য ফ্রান্সের!    

    বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে কেবল ড্রেসিংরুমে ফিরেছে ফ্রান্স দল। উৎসব শুরুর সময়টাও পেল না, তার আগেই হাজির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন। সবার সঙ্গে হাত মেলালেন, অভিনন্দন জানালেন। শুভেচ্ছাবার্তায় বললেন, "তোমাদের ধন্যবাদ, তোমরা আমাদের গর্বিত করেছ।" রাশিয়ায় ওই ম্যাচটাই ছিল ফ্রান্স প্রেসিডেন্টের প্রথম, ফাইনালেও থাকবেন তিনি। 

    প্রেসিডেন্ট এসেছেন, তার খাতির-যত্নও তো করতে হয়! বেঞ্জামিন মেন্ডি টুইটারেও যেমন, বাস্তব জীবনেও তেমন, ফ্রান্স দলকে মাতিয়ে রাখেন তিনিই। ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার ধরলেন গান, প্রেসিডেন্টকে নিয়েই! তাতেই হাসির রোল পুরো ড্রেসিংরুমে। 

    ম্যাচের পর তরুণ খেলোয়াড়দের চোখেমুখে অবিশ্বাস। তারা জানালেন উচ্ছ্বাসের কথা। কিন্তু আরেকটু সিনিয়র খেলোয়াড়দের মনে গেঁথে গেছে ২০১৬ ইউরোতে ঘরের মাঠে ফাইনালের হারটা। তাদের কাছে তাই এটা যত না উৎসবের, তার চেয়ে বেশি শাপমোচনের। 

     

     

    এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর ফ্রান্সের চেয়ে বেশিবার ফাইনালেও ওঠেনি কোনো দল। প্রতিবারই অবশ্য কোনো না কোনো কুসংস্কার অনুসরণ করে এসেছে লা ব্লুজরা। ১৯৯৮ সালে প্রতি ম্যাচের আগে ফাবিয়ান বার্থেজের টেকো মাথায় চুমু খেতেন লরা ব্লাঁ। ২০০৬ সালে একটা রণসঙ্গীতই গেয়েছিল ফ্রান্স, "উই লিভ টুগেদার, উই ডাই টুগেদার"। সেই গান কাজেও দিয়েছিল। এবারও আছে এমন একটা কিছু! আদিল রামি হয়ত মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন না, কিন্তু ফ্রান্সের জয়ের পেছনে তার অবদানও কম নয়। তার গোঁফটাই নাকি এবার ফ্রান্সের সৌভাগ্য বয়ে আনছে! প্রতি ম্যাচের আগে আদিল রামির গোঁফ ছুঁয়ে মাঠে নামে ফ্রান্স, সেটাই নাকি জয়ের পথে এগিয়ে দিচ্ছে লা  ব্লুজদের!  আর একটা ম্যাচ এই রীতি কাজে দিলেই, বিশ্বকাপের শিরোপাটা সবার আগে উঁচিয়ে ধরতে পারেন রামিই!