• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ফাইনালে ওঠার পথে ক্রোয়েশিয়ার যত রেকর্ড

    ফাইনালে ওঠার পথে ক্রোয়েশিয়ার যত রেকর্ড    

    টানা তৃতীয়বার ট্রাইবেকারে পেনাল্টি ঠেকানোর প্রস্তুতিটা হয়ত শুরুই করে দিয়েছিলেন দানিয়েল সুবাসিচ। আর ১১ মিনিট গেলেই যে শুটআউটের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। কিন্তু মারিও মানজুকিচের ছিল অন্য পরিকল্পনা, ১০৯ মিনিটে দারুণ এক গোল করে প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়াকে নিয়ে গেলেন বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পথে ক্রোয়াটরা ছুঁয়েছে বেশ কিছু রেকর্ড।

    ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে নকআউট পর্ব প্রচলনের পর ক্রোয়েশিয়াই প্রথম দল যারা টানা তিন ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জয় পেয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্ক, কোয়ার্টারে রাশিয়া ও সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতে গোল হজম করেও শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্রোয়েশিয়া। এই প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবেন মদ্রিচ-রাকিতিচরা।

    নকআউট পর্বে টানা তিন ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে খেলা দ্বিতীয় দল ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল খেলেছিল অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত। তবে সেমিতে গিয়ে ইংল্যান্ড হারলেও ক্রোয়েশিয়া এবার ফাইনালে উঠেছে।

    গত ৪০ বছরে তৃতীয় নতুন দল হিসেবে ফাইনালে পৌছালো ক্রোয়েশিয়া। এর আগে ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স ও ২০১০ সালে স্পেন নতুন দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছিল। দুইবারই জয়ী হয়েছে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা দলটিই।

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিতে গোল পেয়েছেন ইভান পেরিসিচ ও মারিও মানজুকিচ। দুজনেরই এটি বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের চতুর্থ গোল। তাদের চেয়ে গোলের দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন শুধু ডেভর সুকার, বিশ্বকাপে তার মোট গোলসংখ্যা ৬।

     

     

     

    সেমিফাইনালে শুরুতে পিছিয়ে থেকেও ফাইনালে ওঠা ৭ম দল হলো ক্রোয়েশিয়া। ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে, ১৯৩৮ সালে হাঙ্গেরি, ১৯৫৮ সালে সুইডেন, ১৯৭০ সালে ইতালি ও ব্রাজিল ও সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স সেমিতে পিছিয়ে পড়ে ফাইনালে উঠেছিল।

    ১১

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল লুকা মদ্রিচের ১১তম বিশ্বকাপ ম্যাচ। এই ম্যাচে মাঠে নামার মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে  সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা দারিও সিমিকের রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি। ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপ মিলে ১১টি ম্যাচ খেলেছিলেন সিমিক। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালেই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার হবেন মদ্রিচ। এর আগে ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলেছেন মদ্রিচ। 

    ২০

    ১৯৯৮ সালের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জিতেছিল ফ্রান্স। গত ৪ বিশ্বকাপে সেমিতে পিছিয়ে পড়ে আর কেউই জিততে পারেনি। কাল ২০ বছর পর প্রথম দল হিসেবে সেমিতে পিছিয়ে পড়েও ফাইনালে উঠল ক্রোয়েশিয়া।