'লোয়ের প্রিন্সিপাল-সুলভ মানসিকতা বদলাতে হবে'
নিজেদের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ থেকে বাদ। এমন ‘লজ্জার’ পরও চাকরি যাচ্ছে না জার্মান কোচ জোয়াকিম লোয়ের। জার্মান ফেডারেশন আস্থা রাখছেন তাঁর ওপরেই। তবে বিশ্বকাপে যাঁর অভাবটা টের পাওয়া গেছে, সেই ফিলিপ লাম বলছেন জার্মানিতে ভালো করতে হলে নিজের ধরন বদলাতে হবে লোয়ের, নতুন প্রজন্মের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
জার্মানির গত এক দশকের সব সাফল্যজুড়ে ছিলেন লাম। কিংবদন্তি এই ডিফেন্ডারকেই এখন বাইরে থেকে দেখতে হয়েছে দলের ভরাডুবি। লাম অবশ্য লোয়ের সরাসরি সমালোচনা করলেন না, তবে ভুলটা ঠিকই আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। তরুণদের ঠিকমতো সামলাতে না পারার কথাই বললেন লাম, ‘এখনকার তরুণরা সবাই কিন্তু পুরোপুরি পারফরম্যান্স সেন্টার থেকে আসে। তরুণরা পারফরম্যান্স সেটারে খেলে, অনুশীলন করে। কী করতে পারবে সেটাও একদম পরিষ্কারঃ তারা পেশাদার হতে চায়।’
২০১৭ কনফেডারেশনস কাপে গোরেতজকার, নাব্রি, ব্রান্ডটদের মতো একঝাঁক তরুণদের নিয়ে জিতেচিলেন লো। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ম্যাচে ভরসা করলেন অভিজ্ঞদের ওপর। লাম বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত তরুণদের আঁতে ঘাঁ দিতে পারে, ‘এখনকার তরুণদের ইগো কিন্তু একটু বেশি। এটা সমস্যা মনে করলে হবে না, ঠিকমতো সামাল দিতে হবে। আগের চেয়ে এখনকার তরুণদের আরেকটু বেশি সময় নিয়ে দেখভাল দরকার। আমার মনে হয় লোয়ের কলেজ প্রিন্সিপাল-সুলভ শাসনটা পরিবর্তন করে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আরও বেশি করে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
‘এটা আসলে কোনো দুর্বলতার লক্ষণ নয়, বরং আরও উন্নতির। লোয়ের সবাইকে বোঝাতে হবে দলের দায়িত্ব কারও একার নয়। আগের চেয়ে নিজের সিদ্ধান্তটা আরও পরিষ্কার করে, ভালোভাবে জানান দিতে হবে। এটা করতে পারলে আমি এই দল নিয়ে আশাবাদী।’
বিশ্বকাপের ঠিক আগে ওজিল ও গুন্ডোগান তুর্কি প্রেসিডেন্টের সাথে ছবি তোলা নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে, সেটাও দলের ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন লাম। তাঁর মতে, লো ব্যাপারটা আরও ভালোভাবে সামাল দিতে পারতেন।