• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ১১ জনের সাথে খেলবে ৪৫ লাখ ক্রোয়েশিয়ানও: রাকিটিচ

    ১১ জনের সাথে খেলবে ৪৫ লাখ ক্রোয়েশিয়ানও: রাকিটিচ    

     

    মস্কোর লুজনিকিতে যখন জাতীয় সঙ্গীত বাজবে, মাঠে নামা ক্রোয়েশিয়ার ১১ জনের সাথে গাইবে স্টেডিয়ামে থাকা হাজারো সমর্থক, গাইবেন দেশে থাকা সাড়ে ৪৫ লাখ ক্রোয়েশিয়ানও। শুধু কি জাতীয় সঙ্গীত? ইভান রাকিটিচ বলছেন, ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে তাদের ১১ জনের সাথে ‘খেলবে’ পুরো ক্রোয়েশিয়াই!

    ১৯৯৮ সালে অল্পের জন্য হয়নি। দিদিয়ের দেশমদের এই ফ্রান্সের কাছে হেরেই সেমিফাইনালে বিদায় নিতে হয়েছিল  ডেভর সুকারের ক্রোয়েশিয়াকে। ২০ বছর পর নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ফাইনালে সেই দেশমদেরই পাচ্ছে ক্রোয়াটরা।

    ক্রোয়েশিয়ার ১১ জনের সাথে মাঠে থাকবে দেশের সবাই, জানালেন রাকিটিচ, ‘এটা আমাদের জন্য ঐতিহাসিক একটা ম্যাচ। শুধু আমরা ১৩-১৪ জন খেলব না, আমাদের সাথে খেলবে পুরো ক্রোয়েশিয়া। মাঠে থাকবে ৪৫ লাখ মানুষও!  গত এক মাসে ক্রোয়েশিয়ার মানুষ যে আনন্দে কাটিয়েছে, সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার যাবে না। একসাথে তারা হেসেছে, কেঁদেছে, আনন্দ উল্লাস করেছে, এটা এক কথায় অসাধারণ। যদি ৪৫ লাখ মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম থাকত, তাহলে তো তারা সবাই খেলা দেখতে চলে আসত।’

     

     

    ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বের তিন ম্যাচেই পিছিয়ে থেকে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। টানা তিন ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে খেলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্লান্ত ক্রোয়াটরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তো জ্বর নিয়েই খেলেছিলেন রাকিটিচ। ক্লান্ত থাকলেও নিজেদের সব শক্তি এই ম্যাচে কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘ক্লান্ত থাকলেও শক্তি ও গতির কোনো কমতি হবে না। আমরা একে অন্যের পাশে থাকব। ম্যাচ শেষে আমরা আফসোস করতে চাই না যে একটু বেশি চেষ্টা করলে অন্য কিছু হতে পারত। আর বিশ্বকাপ জিততে হলে একটু ভাগ্যেরও দরকার। আশা করি সেটা আমদের পক্ষেই থাকবে।’

     

    আগামীকাল ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া। ফ্রান্সের সামনে সুযোগ দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতার। অন্যদিকে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন হাতছানি দিচ্ছে ক্রোয়েশিয়াকে।