• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    যেভাবে ক্রোয়েশিয়া হয়ে উঠল ক্রোয়েশিয়া

    যেভাবে ক্রোয়েশিয়া হয়ে উঠল ক্রোয়েশিয়া    

    “এই র‍্যাকেটটা আমার বন্দুক”।

    ১৯৯১ সালের ইউএস ওপেনে চলার সময় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার টেনিস খেলোয়াড় গোরান ইভানিসেভিচ। ক্রোয়েশিয়া তখন স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে মাত্র। দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টের মতে, যুদ্ধের পর খেলাই হচ্ছে জাতীয়তাবোধের সবচেয়ে বড় পরিচায়ক। যুগোস্লাভিয়ার জাতিগত বিদ্বেষ থেকে বাঁচতে ক্রোয়েশিয়া তখন আলাদা দেশ হওয়ার পথে এগুচ্ছে। নিজ দেশে কী হচ্ছে সেটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন ইভানিসেভিচ, টেনিস খেলতে গিয়ে।

     

     

    খেলাধুলার সঙ্গে ক্রোয়াটদের সম্পর্ক পুরনো। বিশেষ করে ফুটবলে তাদের সংস্কৃতি নিয়ে চাইলেই বড়াই করতে পারে তারা। সেটার শুরুটাও অবশ্য যুগোস্লাভিয়ার হাত ধরেই। ১৯৮৭ যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন যুগোস্লাভিয়া। সেই দলে ছিলেন ডেভর সুকার, বোবান, ইয়ার্নিরা। ৪০ লক্ষ  মানুষের দেশ নিয়েও তাই স্বাধীনতার কয়েক বছরের মাথায় বিশ্বকাপ খেলতে অসুবিধা হয়নি ক্রোয়েশিয়ার। ফ্রান্স বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে এসেই সেমিফাইনালে যাওয়াটা চমক ছিল, কিন্তু ক্রোয়াটরা  ফুটবলে যে ভিত গড়ে রেখেছিল তাতে সাফল্য ছিল অবশ্যম্ভাবী। প্রেসিডেন্টের ওই কথায় তো রক্তে নাচন লাগে, এমন সমর্থন পেলে তো অনেককিছুই করে দেখাতে পারেন খেলোয়াড়েরা। ক্রোয়েশিয়া নামে যে একটা দেশ আছে, ফুটবল না থাকলে সেটা তো অনেকেরই থেকে যেত অজানা।
    ***
    ২০ বছর পর সেই ক্রোয়েশিয়া এখন বিশ্বকাপের ফাইনালে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে হয়ত ক্রোয়াটরাও নিজেদের কল্পনা করতে পারেনি এই জায়গায়। অস্ত্রের যুদ্ধে অনেক আগেই জিতে গেছে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু খেলার যুদ্ধে জিতে নিজেদেরকে চেনানোর যে পণ ক্রোয়াটরা করেছিল, সেটা সাফল্যের মুখ দেখেছে এই বিশ্বকাপে। সুকারদের সাফল্যগাঁথাও ছাড়িয়ে গেছে তাতে। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে ফল যাই হোক, এই ক্রোয়েশিয়া দল ঢুকে গেছে ইতিহাসে। আক্ষরিক অর্থেই একটা হেরে যাওয়া যুদ্ধ জিতেই লুঝনিকির ফাইনাল ধরতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার।

    প্রথমবার বিশ্বকাপে এসেই সাফল্য। সেটাই কি কাল হয়ে ছিল এতোদিন? প্রত্যাশার চাপ? ২০০২ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব পেরুতে না পারা। পরেরবারও একই অবস্থা। ’৯৮ বিশ্বকাপের আরেক নায়ক স্লাভেন বিলিচের হাত ধরে আবারও জেগে ওঠা। ২০০৮ সালে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া, লুকা মদ্রিচ, ইভান রাকিটিচদের শুরু ওখান থেকেই। স্বপ্ন দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া, স্বপ্ন দেখেছিলও তারা। কিন্তু দুই বছর পর বিশ্বকাপে আবারও ব্যর্থ, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে নেই ক্রোয়েশিয়া। শূন্যে ফিরে যেতে হলো। যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার সোনালী প্রজন্ম, সেটা শুরুতেই খেল বড় এক ধাক্কা।

    ৪ বছর পর ব্রাজিল বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ হেরে আরও একবার গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়। সেই দলের কোচ নিকো কোভাচ, মেক্সিকোর কাছে ৩-১ গোলে হারের পর বলেছিলেন, “চমকটা আমরা দেখাতে পারলাম না!” গ্রুপপর্ব পার না হওয়াই তখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলে। ব্রাজিল থেকে রাশিয়া- সময় ৪ বছর। এই মাঝের সময়টা অলৌকিক কিছু ঘটেনি। ক্রোয়াটরা বিপ্লব ঘটিয়ে উন্নতি করেছে সে কথাও কেউ বলতে পারবে না। এই ৮ সংখ্যাটার সঙ্গে একটা সখ্যতা আছে বোধ হয় ক্রোয়েশিয়ার। ২০ বছর আগে সেমিফাইনাল, ২০০৮ এ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল, এবার ফাইনাল! এই ৪ বছরে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল যতখানি দুঃসময় পার করতে পারত তার সবটুকুই করেছে। ফাইনালের ওঠার আগের দিনও যুদ্ধে জিততে হয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন একজন, যার এখানে থাকারই কথা ছিল না।




    ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর রীতিমত ঝড় গেছে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলের ওপর দিয়ে। ইউরোর বাছাইপর্বে দুইবার জরিমানা গুণতে হয়েছে। ইতালিতে খেলতে গিয়ে মাঠের ভেতর পটকা ছুড়ে মেরে ক্রোয়াট সমর্থকেরা প্রায় ভেস্তেই দিয়েছিলেন  খেলা। পরের লেগে আরও বড় ঘটনার জন্ম, মাঠে নাজি প্রতীক সোয়াস্তিকার চিহ্ন এঁকে দিয়েছিল কেউ একজন। সেই মাঠেই  হলো ক্রোয়েশিয়া-ইতালির ম্যাচ। আবার জরিমানা, সেই ঘটনা হয়ে গেল ক্রোয়েশিয়ার কলঙ্কিত অধ্যায়। এলোমেলো সাংগঠনিক অবস্থার প্রভাব পড়েছিল খেলাতেও। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আইসল্যান্ডের কাছে হেরে খেলতে হয়েছিল প্লে-অফ। সেটাও অবশ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

     

     

    প্লে-অফ নিশ্চিত করতেই ছাঁটাই কোচ, আন্তে চাচিচকে করা হলো বরখাস্ত। ইউক্রেনের সঙ্গে বাছাইপর্বের ঠিক ৪৮ ঘন্টা আগে নিয়োগ পেলেন ডালিচ। নতুন কোচ দল নিয়ে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সময়টাও পাননি। যদিও ইউক্রেনকে হারিয়ে নিদেনপক্ষে প্লে-অফের জায়গাটা নিশ্চিত হলো ক্রোয়াটদের। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল প্রধান ডেভর সুকারের নতুন কোচের কাছে প্রাথমিক চাওয়াও ছিল সেটাই।

    সেই ডালিচের হাত ধরেই প্লে-অফে গ্রিসকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে এসেছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ডালিচের সামনে তখন নতুন চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক আর দলের সেরা খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচকে সাক্ষ্য দিতে হলো দুর্নীতির মামলায়। সেই সাক্ষ্য আবার মিথ্যা দিয়েছিলেন, তাই মদ্রিচ নিমিষেই হয়ে গেলেন দেশের সবচেয়ে বড় ভিলেন। গ্রুপপর্ব পার করতে পারলেই হবে, ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ সাফল্যের মাপকাঠি ছিল ওটাই।



    মদ্রিচ, রাকিটিচ, পেরিসিচ, মাঞ্জুকিচের মতো খেলোয়াড় যে দলের আছে, তাদের ফাইনাল খেলাটা চমক নয়। দল হিসেবে খেলতে না পারাটাই ছিল চমক। সঙ্গী ছিল ২০ বছরের হতাশাও। সেই দলে ক্রোয়েশিয়ার কোচ ডালিচ আসলে সঞ্চার করেছেন নতুন উদ্দীপনা। তার জীবনাচরণের সবটুকুর প্রতিফলন আছে এই দলে, সেটাই ক্রোয়াট স্বপ্নযাত্রার মূল গল্পও।

    ফুটবল কোচিংয়ে ডালিচের হাতেখড়ি মিরোস্লাভ ব্লাজেভিচের হাত ধরে। আর ১৯৯৮ বিশ্বকাপে তার হাত ধরে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল ক্রোয়েশিয়া। ডালিচ অবশ্য নামকরা কোনো ফুটবলার ছিলেন না। ক্রোয়েশিয়ার তার কোচিং ক্যারিয়ারও খুব বেশিদিনের নয়। মূলত নিচের দিকের দলগুলোর ম্যানেজারিয়াল দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ২০১০ সালে একটা সাহসী সিদ্ধান্তই নিলেন। ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরব। ক্রোয়েশিয়ার কোচ হওয়ার আগে ৭ বছর তার কোচিং ক্যারিয়ার কেটেছে মধ্যপ্রাচ্যে। সেখানের দুই ক্লাব থেকে ছাঁটাইও হয়েছেন ডালিচ। সবশেষ আল আইনের কোচ থাকা অবস্থায় দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন এফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। কিন্তু পরের মৌসুমের শুরুতে দলের বাজে ফর্মের কারণে সেই ডালিচই সমর্থকদের রোষানলে পড়ে গিয়েছিলেন। দলের খেলোয়াড় আর নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া মানতে পারেননি, আল আইনকে এই শতাব্দীর সেরা সাফল্য এনে দিয়েও তাই ক্লাব ছেড়েছিলেন। যাওয়ার সময় টুইট করেছিলেন, “তার খেলোয়াড়দের সম্মানহানি হতে দেখা মোটেই সহ্য হয়নি তার। কিন্তু কারও প্রতি তার কোনো ক্ষোভ নেই।“ সবাইকে ভালোবাসা জানিয়েই বিদায় নিয়েছিলেন ডালিচ। ওই ঘটনার ৭ মাসের মাথায় হুট করেই পেয়ে যান ক্রোয়েশিয়ার দায়িত্ব।

    ফুটবলে ম্যান ম্যানেজমেন্ট, ট্যাকটিকসের জ্ঞান তো আছেই- এসব কিছু ছাপিয়ে ডালিচের সবচেয়ে বড় গুণ তার সাহস আর সততা। দল হয়ে খেলতে না পারার যে বদনাম ক্রোয়েশিয়ার ছিল সেটা ঘুচিয়েছেন তিনিই। তবে একদিনে নয়, ডালিচ আর দর্শন দলের মধ্যে ঢুকিয়েছেন একটু একটু করে। প্রতিদিন। সেটা এই বিশ্বকাপেই।  বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামাতে চেয়েছিলেন স্ট্রাইকার নিকোলা কালিনিচকে। এসি মিলান স্ট্রাইকার অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। দায়িত্ব পালনে অবহেলা পছন্দ হয়নি ডালিচের। প্রথম ম্যাচের পরই কালিনিচকে ফেরত পাঠালেন। সেটার জন্য যে দল ২২ জনে পরিণত হবে তাও জানা ছিল। কিন্তু সাহস দেখাতে পিছপা হননি ডালিচ। দলে যে একতা ফিরিয়ে এনেছিলেন, সেটাও ভেঙে যেতে পারে একেবারে শুরুতেই। সেই আশঙ্কাও ছিল। তবে ডালিচ সবকিছু সামলে নিয়েছেন নিজ হাতেই।

    পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। ম্যাচের আগে আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে একটা জার্সিও উপহার দিয়েছিলেন ডালিচ। ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ ম্যানেজারের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে কখনও ফেরেন না তিনি। কিন্তু ওইদিন পারলেন না, সাম্পাওলিকে খুঁজেই পেলেন না। কষ্ট পেয়েছিলেন, সেটা ম্যাচ শেষেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের আবেগ লুকানোও পছন্দ করেননা তিনি। ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় রাউন্ড আর কোয়ার্টার ফাইনাল নির্ধারণ হয়েছে টাইব্রেকারে। একবারও নিজ চোখে সেটা দেখার সাহস করতে পারেননি। ডাগ আউটে একাই বসেছিলেন, মাথা নিচু করে। জিতে যাওয়ার উঠে দাঁড়িয়েছেন, কেঁদেছেন, খেলোয়াড়দের জড়িয়ে ধরেছেন নিজের সন্তানের মতো করে।

    এর আগে গ্রুপপর্বে ক্রোয়েশিয়ার শেষ ম্যাচে তিনি দলে পরিবর্তন এনেছিলেন ৯টি! ডালিচের সেই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই মনে হয়েছিল অফুটবলীয়। আর্জেন্টাইন আর নাইজেরিয়ানরা তো রীতিমত নিজেদের ক্ষোভই প্রকাশ করেছিল। ডালিচের সেই দূরদর্শী সিদ্ধান্ত যে কতোখানি গুরুত্বপুর্ণ ছিল তার প্রমাণ মিলেছে পরে। নক আউট পর্বে ক্রোয়াটরা প্রতি ম্যাচ খেলেছে ১২০ মিনিট করে! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটার কথাই ধরুন, কাউকে দেখে কি ক্লান্ত মনে হয়েছিল? শারীরিকভাবে হয়ত ক্লান্তই ছিলেন অনেকে, কিন্তু দলের ভেতর যে মানসিক শক্তি আর সাহসের সঞ্চার করেছিলেন ডালিচ সেটাই হেরে যাওয়ার আগে হারতে দেয়নি ক্রোয়াটদের।

    ট্যাকটিকালিও নিজেকে এই বিশ্বকাপে প্রমাণ করেছেন ডালিচ। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার মতো দল দেওয়া হলে তিনি শিরোপা জিতিয়ে দেখাবেন- এই দাবি অনেক আগেই করেছিলেন ৫১ বছর বয়সী। রিয়াল, বার্সাকে আর দরকার হয়নি, ক্রোয়েশিয়াকে নিয়েই ফুটবলের সবচেয়ে বড় শিরোপার পথে হেঁটেছেন দোর্দন্ড প্রতাপে। যে ম্যাচে প্রতিপক্ষ যেমন, তার ওপর নির্ভর করে দলের ট্রাম্পকার্ড লুকা মদ্রিচের দায়িত্ব ঠিক করে দিয়েছেন। সময়মতো মার্সেলো ব্রোজোভিচকে দলের মাঝমাঠের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। আনতে রেবিচের মতো ফরোয়ার্ড তো বিশ্বকাপে নিজের নাম কামিয়ে নিয়েছেন ডালিচের হাত ধরেই।

     

     

    সবকিছু যখন ঠিকঠাক ছিল তখনও একটা ধাক্কা খেয়েছিল এই ক্রোয়েশিয়া। সেমিফাইনালের আগে দলের সহকারী কোচকে বহিষ্কার করতে হলো। রাশিয়ায় বসেই রাশিয়া বিরোধী স্লোগান দিয়েছিলেন তিনি, রাশিয়াকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারানোর পর। কী আর করা! নিয়তিটাও মেনে নিতে হয়েছিল ডালিচকে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া আর ডালিচ মাঠের বাইরের কোনো ঘটনার কাছে হারতে চায়নি। মাঠেই যাদের হারানো যায় না, তাদেরকে মাঠের বাইরের ঘটনা নিয়ে আটকাবেন কী করে? গোরান ইভানিসেভিচদের অস্ত্র মনে করে র‍্যাকেট নিয়ে টেনিস কোর্টে নামতে হয়েছিল। আর এই ক্রোয়েশিয়ার অস্ত্র ছিল মানসিক শক্তি। 

     

    বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে যে কোনো দলকে পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু ক্রোয়াটরা শুধু পরিশ্রমই করেনি, করেছে যুদ্ধ। সবকিছুর বিরুদ্ধে। মাঠে আর মাঠের বাইরের প্রতিপক্ষকে হারিয়েই রবিবারের ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। ফল যেটাই হোক, এই ক্রোয়েশিয়া ঢুকে গেছে ইতিহাসে, এই কোচও ঢুকে গেছেন রেকর্ডবুকে। সবকিছু ছাপিয়ে, সবাইকে হারিয়ে...