ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য নিজেদেরই দুষলেন তামিম
প্রথম টেস্টের সেই দুঃস্বপ্নের মতো ব্যাটিংয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ছিল সবার কণ্ঠে। তবে দ্বিতীয় টেস্টেও দেখা গেছে সেই পুরনো বাংলাদেশকেই। জ্যামাইকা টেস্টে দুই ইনিংসেই ৫০ ওভারের কম সময়ে অলআউট হয়ে ১৬৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ধবলধোলাই হওয়ার পর তামিম ইকবাল বলছেন, ব্যাটসম্যানদের নিজেদের দোষেই দুই টেস্টে এমন ব্যাটিং বিপর্যয়।
প্রথম ইনিংসে ৪৬, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২; দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলতে পারেনি পুরো ১০০ ওভারও। কখনোই থিতু হতে না পারা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের জন্য নিজেদের উইকেট বিলিয়ে আসাকেই দায়ী করছেন তামিম। ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মাঠে যা হয়েছে, সেটার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এটার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। যেমন ব্যাটিং করা উচিত ছিল, তার ধারেকাছেও আমরা যেতে পারিনি। পিচ কঠিন ছিল, কিন্তু এতোটাও না। এত ভয়ঙ্কর বোলিং হয়নি যে আমরা কোনো ইনিংসেই ২০০ পেরোতে পারব না। দ্বিতীয় ইনিংসের কথাই বলি, ব্যাটিং করার জন্য ভালো পিচ ছিল। লড়াই করতে পারলে হয়ত ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতো।’
দুই ম্যাচের চার ইনিংস মিলিয়ে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানই ১০০ রান করতে পারেননি। দলের ব্যাটিং গড় মাত্র ১২.৬০। ফিফটি পেয়েছেন শুধু সাকিব আর সোহান। এই দুই টেস্টে খেলা হয়েছে ডিউক বল দিয়ে, সাধারণত বাংলাদেশ খেলে থাকে কোকাবুরা বলে। কোকাবুরার চেয়ে ডিউকে সুইং হয় একটু বেশি।
তবে হারের জন্য বলকে দায়ী করছেন না তামিম, ‘চার বছর পর আমরা ডিউক বলে খেলছি। এটা হয়ত একটু সুইং বেশি করে, কিন্তু এমন বাজে ব্যাটিংয়ের কারণ হতে পারে না। পুরো ব্যাপারটাই মানসিক। টপ অর্ডারের ছয়জনই একইভাবে আউট হয়েছে। আমরা সুইং ও বাউন্সের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু সবসময় এটা কাজে আসবে না।’
চার ইনিংস মিলিয়ে তামিমের রান মাত্র ৬৪। দলের অন্যদের মতো নিজের পারফরম্যান্সেও হতাশ তামিম, ‘২০১৪ সালের কোন সিরিজে এরকম ব্যর্থ হইনি। আমাকে আরও বেশি সময় ক্রিজে থাকতে হতো। তবে আমার ৪ আউটের মাঝে তিনটাই খুব ভালো বলে হয়েছে। তাও একজন সিনিয়র সদস্য হিসেবে আরও ভালোভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া উচিত ছিল। ওয়ানডের আগে কিছুদিন সময় পাচ্ছে সবাই। এই ফরম্যাট আমদের জন্য একটু সুবিধাজনক, তযদিও আমাদের সময়টা খুব একটা ভালো যাছে না। টেস্টের কথা মাথায় রেখেই ওয়ানডের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’
২২ জুলাই গায়ানাতে হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।