• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ফাইনাল আপডেট: ফ্রান্স ৪-২ ক্রোয়েশিয়া

    ফাইনাল আপডেট: ফ্রান্স ৪-২ ক্রোয়েশিয়া    

    ৯০ মিনিট, ফুলটাইম:  হলো না। দুই গোলে পিছিয়েও আর গোল করতে পারল না ক্রোয়েশিয়া। শেষ দিকে বরং ফ্রান্সই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল, ক্রোয়েশিয়া সেভাবে কিছুই করতে পারল না। ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফ্রান্সই নতুন চ্যাম্পিয়ন।


     

    ৬৯ মিনিটঃ  গোওওল, মানজুকিচ।  ওহ! এসব কী হচ্ছে! উমতিতির ব্যাক পাস্টা ছিল একেবারেই নিরীহ লরিস কী মনে করে যেন কাটাতে গিয়েছিলেন মানজুকিচকে। কিন্তু মানজুকিচ পা লাগিয়েই বল জড়িয়ে দিলেন জালে। ৪-২। এরকম কিছু খুব খুব দরকার ছিল ক্রোয়েশিয়ার।


    ৬৫ মিনিটঃ এমবাপ্পে!! গোওল।  ক্রোয়েশিয়া স্তম্ভিত। এবারও রক্ষণ আর সুবাসিচের ভুল। লুকাস হার্নান্দেজের পাস থেকে বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে গিয়েছিলেন এমবাপ্পে। ডান পায়ের শটটা জড়িয়ে গেল জালে। পেলের পর প্রথম টিন এজার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করলেন এমবাপ্পে।


    ৫৫ মিনিটঃ গোওওল! পল পগবা!! পগবায় শুরু, পগবায় শেষ। দুর্দান্ত একটা থ্রু দিয়েছিলেন এমবাপ্পেকে। সেটা গ্রিজমানের কাছে ঘুরে এলো পগবার কাছে। প্রথম শট ঠেকালেন মদ্রিচ, কিন্তু পরেরটা আর ঠেকাতে পারলেন না।  বাঁ পায়ের শটে রঙ ফুটেড সুবাসিচ কিছুই করতে পারলেন না। ফ্রান্স এগিয়ে ৩-১ গোলে।


    ৫১ মিনিট:  পগবার পাস থেকে এমবাপ্পের সেই ট্রেডমার্ক দৌড়। ভিদাকে ছিটকে ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে। কিন্তু সুবাসিচ দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন সেটি। খানিক পরেই মাঠে ঢুকে পড়লেন অনাহূত চার দর্শক। বিশ্বকাপ ফাইনালে সম্ভবত এমন কিছু দেখেনি কখনো।


    ৪৮ মিনিটঃ আরও একটি দুর্দান্ত সুযোগ ক্রোয়েশিয়ার। এবার রাকিটিচের থ্রু থেকে বল পেয়ে দারুণ শট করেছিলেন রেবিচ, কিন্তু তার চেয়েও দারুণভাবে সেটি ঠেকিয়ে দিয়েছেন লরিস। ক্রোয়েশিয়া, গোল কি আসছে?


    প্রথমার্ধ শেষে: সেরা বিশ্বকাপ ফাইনাল? গত তিন ফাইনাল মিলেও ততগুলো গোল হয়নি, আজ প্রথমার্ধে যতগুলো হয়েছে। শুরুতে এগিয়ে ফ্রান্স , সমতা ফেরাল ক্রোয়েশিয়া। আবার এগিয়ে গেল ফ্রান্স। ২-১ গোলের লিড প্রথমার্ধ শেষে থাকবে? ফ্রান্সের রক্ষণ অবশ্য একদমই ভঙ্গুর মনে হচ্ছে। অন্যদিকে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারে ফ্রান্স। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে যে তর্কটা অনেক দিন চলবে। পেরিসিচ ইচ্ছে করে হাত লাগিয়েছিলেন কি না, এ নিয়ে বিতর্ক উঠবেই।


     

    ৪৬ মিনিট: প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে সুযোগ পেয়েছিল সমতা ফেরানোর, কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।

    ৩৫ মিনিট: গোওওল!! আবারও সেট পিস ফ্রান্সের। গ্রিজমানের কর্নার থেকে বল উড়ে এলো বক্সে, সেটা পেরিসিচের হাতে লাগল। রেফারি তা দিলেন না, কিন্তু ভিআরের পরামর্শে নেস্তর পিতানা সিদ্ধান্তটা বদল করলেন। পেনাল্টি পেল ফ্রান্স। গোল দিলেন গ্রিজমান, বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে এই প্রথম ভিআর থেকে গোল হলো।  


    ২৯ মিনিট: আহ, পেরিসিচ। অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়! বিশ্বকাপ ফাইনালের সম্ভবত সেরা গোল? ফ্রিকিকে বল ভেসে এসেছিল বক্সে, ভিদা হেড করে এগিয়ে দিলেন পেরিসিচের দিকে। সামনে ছিলেন কান্তে, পেরিসিচের সরাসরি ডান পায়ে শটের উপায় ছিল না। বাঁয়ে সরে গেলেন, বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট লরিসকে ফাঁকি দিয়ে জড়িয়ে গেল জালে। বিশ্বকাপে এটা পেরিসিচের তৃতীয় গোল। আরও একবার পিছিয়ে পড়েও ফিরে আসল ক্রোয়েশিয়া। 


    ২৮ মিনিট: ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখলেন কান্তে। পেরিসিচকে গেলে দেওয়ার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হলো


    ২৪ মিনিট:  মানজুকিচের ক্রস থেকে বক্সে ভলি করার সুযোগ পেয়েছিলেন রাকিতিচ, কিন্তু অনেক কঠিন সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। বল চলে গেছে পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে।


    ১৯ মিনিট: 

     গোওওল!!! অবিশ্বাস্য, বিশ্বকাপ ফাইনালে আত্মঘাতী গোল। বিশ্বকাপ ফাইনালে এটা প্রথম আত্মঘাতী গোল।   গ্রিজমানের ফ্রিকিক থেকে হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেই বল জালে জড়িয়ে দিলেন মানজুকিচ। ক্রোয়েশিয়া পিছিয়ে ১-০ গোলে।


    ১৭ মিনিটঃ এমবাপ্পে প্রথম ঝলক দেখালেন। বাঁ প্রান্তে স্ট্রিনিচ তাঁকে আটকাতে হিমশিম খেয়েছেন, এমবাপ্পে ঢুকে পড়েছিলেন ভেতরে, যদিও তাঁর পাস শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি ফ্রান্সের কাউকে।


    ১১ মিনিট: রাকিতিচের দারুণ একটা ওভারহেড পাস থেকে বল পেয়েছিলেন পেরিসিচ, কিন্তু নিয়ন্ত্রপণে নিতে পারেননি। ফ্রান্স প্রথম ১০ মিনিটে অনেকটা কোণঠাসা, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কান্তে-পগবাকে।


    ৮ মিনিটঃ রাকিতিচের পাস থেকে বক্স পেয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন স্ট্রিনিচ, কিন্তু ক্রস করতে পারেননি। প্রথম ৮ মিনিট ক্রোয়েশিয়ার দখলে। 


    ৩ মিনিট: প্রথম আক্রমণের সম্ভাবনা জাগাল ক্রোয়েশিয়া। বাঁ প্রান্তে পার্ভাডের ভুলে বল পেয়ে গেলেন পেরিসিচ। কিন্তু সেটা রাখতে পারেননি। খানিক পরেই ডান প্রান্ত থেকে ভাসালকোর ক্রস, বিপদমুক্ত করলেন ভারান।


    সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে চমক ছিল একটা, রোনালদিনহো ঢোল বাজিয়ে মাতিয়ে তুললেন সবাইকে। সঙ্গে নিক জ্যাম আর উইল স্মিথ, কিন্তু রোনালদিনহো যেন সব আলো কেড়ে নিলেন। খানিক পরে ট্রফি নিয়ে ঢুকলেন আগের বারের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক ফিলিপ লাম। সেই বহুল কাঙ্খিত, পরম আরাধ্য ট্রফি, যেটার জন্য তৃষিত অপেক্ষা থাকে প্রতিটি দলের। এই ট্রফির জন্যই আয়োজন গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। আজকের ফাইনালে রেফারি আর্জেন্টিনার নেস্তর পিতানা। আজকের ফাইনাল বিশ্বকাপের ইতিহাসের ৯০০তম ম্যাচ।  

     


     

    প্রস্তুত লুঝনিকি। প্রস্তুত রাশিয়া। আর টিভি সেটের সামনে প্রস্তুত কোটি কোটি মানুষ। শেষের শুরুটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার, বিশ্বকাপের পর্দা নামার এক ম্যাচ বাকি। ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া, আজকের পর এক দল আগামী চার বছরের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ফ্রান্সের জন্য ২০ বছর পর বিশ্বকাপ জেতার পর দ্বিতীয় সুযোগ, গত ২০ বছরে একমাত্র দল হিসেবে তারা খেলেছে তিনটি ফাইনাল। আর ৪০ লাখ লোকের দেশ ক্রোয়েশিয়া এই প্রথম খেলছে বিশ্বকাপে, সোনালী প্রজন্মের এটা সেরা সুযোগ। খেলা শুরুর আগে ঢুঁ মারতে পারেন এসব থেকে। 

    শেষ হয়েছে সমাপনী অনুষ্ঠানও! 

     

    বিশ্বকাপ ফাইনালের 'পঞ্চতন্ত্র' 

    কিক অফের আগে: ফরাসী সৌরভ না ক্রোয়েশিয়ার প্রথম?

    ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল: যে তিন প্রশ্নের উত্তর চাই

    'নির্বাসিত' কালিনিচের ভাগ্য মদ্রিচদের হাতে

     


     

    একাদশটা অনুমান করাই যাচ্ছিল। সেমিফাইনালে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া কোনো কোচই উইনিং কম্বিনেশন ভাঙলেন না। ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রিনিচসহ কয়েকজনকে নিয়ে একটু চোট-সংশয় ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবাইকেই পাচ্ছেন কোচ দালিচ। ফাইনালে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া নামছে পুরো শক্তির দল নিয়ে।

     

    ফ্রান্স (৪-৩-৩): লরিস; পাভার্ড, ভারান, উমতিতি, হার্নান্দেজ; কান্তে, মাতুইদি, পগবা; গ্রিযমান, জিরু, এমবাপ্পে

    ক্রোয়েশিয়া (৪-২-৩-১): সুবাসিচ; ভ্রাসালকো, ভিদা, লভ্রেন, স্ট্রিনিচ; রাকিটিচ, ব্রোজোভিচ; রেবিচ, মদ্রিচ, পেরিসিচ; ,মাঞ্জুকিচ