গোল্ডেন বল মদ্রিচের, বুট কেইনের
গোল্ডেন বল
লুকা মদ্রিচ, ক্রোয়েশিয়া
এ নিয়ে ছয়টি বিশ্বকাপেই গোল্ডেন বল জিতলেন এমন কেউ, যারা জিততে পারেননি বিশ্বকাপ। গতবার নিরস বদনে সোনার গোলকটা হাতে তুলেছিলেন লিওনেল মেসি, রাশিয়ায় সেটা করতে হলো লুকা মদ্রিচকে। টুর্নামেন্ট জুড়েই ক্রোয়েশিয়াকে টেনেছেন, সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন। ফাইনালে একরাশ হতাশা সঙ্গী হলো তার, তবে টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার তিনিই। সিলভার বল পেয়েছেন বেলজিয়ামের এডেন হ্যাজার্ড, আর ব্রোঞ্জ বল গেছে ফ্রান্সের আঁতোয়া গ্রিযমানের কাছে।
গোল্ডেন বুট
হ্যারি কেইন, ইংল্যান্ড
ফাইনালে আসা হয়নি, জিততে পারেননি তৃতীয় স্থানের সান্ত্বনাসূচক ব্রোঞ্জ মেডেলটাও। তবে এক গোল করার পর পিটার ড্রুরি যেমন বলেছিলেন, ‘হিজ বুটস ইজ গোল্ডেন’! শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো সেটাই, ছয় গোল করে রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইংলিশ অধিনায়কই। সিলভার বুট পেয়েছেন ফ্রান্সের আঁতোয়া গ্রিযমান, আর বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু জিতেছেন ব্রোঞ্জ বুট।
গোল্ডেন গ্লাভস
থিবো কোর্তোয়া, বেলজিয়াম
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে পারফরম্যান্সটাই যথেষ্ট, তার হাতজোড়ার মূল্য বুঝাতে। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও কোর্তোয়া হয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক, জিতেছেন গোল্ডেন গ্লাভস।
সেরা উদীয়মান ফুটবলার
কিলিয়ান এমবাপ্পে, ফ্রান্স
ফাইনালে পেলের পর প্রথম টিন-এজার হিসেবে গোল করলেন, পুরো টুর্নামেন্টেই আলাদা করে নিজেকে চিনিয়েছেন ফ্রান্সের ভবিষ্যত। কিলিয়ান এমবাপ্পে- রিমেমবার দ্য নেম! এ নিয়ে টানা দুইবার বিশ্বকাপে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হলেন ফ্রান্সের কেউ। গতবার এ পুরষ্কার জিতেছিলেন এই ফাইনালে গোল করা এমবাপ্পের সতীর্থ- পল পগবা।
ফেয়ার-প্লে পুরষ্কার
স্পেন
দ্বিতীয় রাউন্ডে রাশিয়ার কাছে হেরেই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০১০ চ্যাম্পিয়নদের। অবশ্য একেবারে খালি হাতে ফেরেনি তারা, ফিফার ফেয়ার-প্লে পুরষ্কার জুটেছে তাদের।