কৃতিত্বটা নিতে চাইলেন না দেশম
ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়রা তাকে ঘিরেই উল্লাস করেছেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনেও ঢুকে পড়েছিলেন, শ্যাম্পেইন বৃষ্টিতে ভিজিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও কোচ দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে আরেক দফা উদযাপন সেরেছেন ফ্রান্স খেলোয়াড়েরা।
দেশম প্রথম বিশ্বকাপটা জিতেছিলেন অধিয়নায়ক হিসেবে পরেরটা জিতলেন কোচ হয়ে। মারিও জাগালো, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পর খেলোয়াড় আর কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতে রেকর্ডই করেছেন তিনি। দেশমের রক্ষণাত্মক খেলা নিয়ে অনেকদিন ধরেই সমালোচনা চলছিল ফ্রান্সে। কিন্তু তিনি আর তার দল ছিল একতাবদ্ধ। নিজেদের পরিকল্পনা সফল করেই দেখিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল দল। বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্বটা তাও খেলোয়াড়দেরকেই দিচ্ছেন ফ্রেঞ্চ কোচ।
“এটা একটা তরুণ দল, তারাই এখন বিশ্বসেরা। এই দলে এমনও অনেকে আছে যাদের বয়স মাত্র ১৯। এই জয়টা আমার জন্য নয়, এটা খেলোয়াড়দেরই এনে দেওয়া। তারাই ম্যাচটা জিতিয়েছে।”
ফ্রান্সের প্রথম গোলটা ছিল আত্মঘাতী, পরেরটা রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে। দলের খেলা আহামরি কিছু ছিল না বলে স্বীকার করলেও দেশমের মতে যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে ফ্রান্স, “আমরা খুব ভালো খেলেনি, কিন্তু আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছি। শেষ ৫৫ দিন আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি, আমরা ফ্রেঞ্চ হতে পেরে গর্বিত, আমরা লা ব্লুজ হতে পেরে গর্বিত।”
ঘরের মাঠে মাত্র দুই বছর আগে ইউরোর ফাইনালে পর্তুগালের কাছে হেরেছিল ফ্রান্স। ওই হার এখনও পোড়ায় ফ্রেঞ্চদের। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর অবশ্য সেসব ভুলে যাওয়ারই কথা তাদের। কিন্তু তার একটা প্রভাব যে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনালেও ছিল, সেটাই জানালেন দেশম। “দুই বছর আগে ইউরোর ফাইনালের হারটা এখনও কষ্ট দেয়। কিন্তু সেখান থেকে আমরা শিক্ষাও নিয়েছি।“