সংখ্যায় সংখ্যায় লুঝনিকির ফাইনাল
রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে ফ্রান্সের ডাগআউট থেকে ছুটে এলেন সবাই। ২০ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের বাঁধভাঙ্গা আনন্দটা ছুঁয়ে গেল দিদিয়ের দেশমের দলকে। লুঝনিকিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার সাথে ৪-২ ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো সোনালি ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরলেন কোনো ফরাসি অধিনায়ক।
০
এই টুর্নামেন্টের ৭ ম্যাচে ফ্রান্স স্ট্রাইকার অলিভিয়ার জিরুর শটস অন টার্গেট শূন্য। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে শেষবার গোলপোস্টের দিকে শট নিয়েছিলেন।
১
প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে আত্মঘাতী গোল করয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকিচ। সব মিলিয়ে এটি রাশিয়া বিশ্বকাপের ১২তম আত্মঘাতী গোল।
২
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের পর দ্বিতীয় তরুণ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল পেলেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে। মাত্র ১৯ বছর ২০৭ দিন বয়সে কাল গোল করেছেন তিনি। এর আগে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে গোল করেছিলেন পেলে।
৩
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তৃতীয় ব্যক্তি হলেন ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম। ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জার্মানির ফ্রাঙ্ক বেকেনবাওয়ারের পাশে বসলেন দেশম। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৭০ সালে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন জাগালো। ১৯৭৪ সালে ফুটবলার হিসেবে ও ১৯৯০ সালে জার্মানির কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতেন বেকেনবাওয়ার। দেশম ১৯৯৮ সালে জিতেছিলেন ফুটবলার হিসেবে, এবার জিতলেন ফ্রান্সের কোচ হয়ে।
৪
এই বিশ্বকাপে নকআউট পর্ব থেকে টানা ৪ ম্যাচেই পিছিয়ে পড়েছিল ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে ঘুরে দাঁড়ালেও ফাইনালে অবশ্য সেটা হয়নি।
৫
বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ৫ম গোলের দেখা পেয়েছেন ইভান পেরিসিচ ও মারিও মানজুকিচ। তাদের চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু ডেভর সুকারই, বিশ্বকাপে তার মোট গোল ৬।
২০
১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। ২০ বছর আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলও তারা।
৫২
কালকের ফাইনালে হয়েছে মত ৬ গোল, বিশ্বকাপের ফাইনালে এমন ঘটনা ঘটল ৫২ বছর পর। ১৯৫৮ সালের ব্রাজিল-সুইডেন ফাইনালে হয়েছিল মোট ৭ গোল।
৬০
এই বিশ্বকাপে গোল পেয়েছেন মোট ৬০ জন ফুটবলার।