নেইমারের আত্মপক্ষ সমর্থন
রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমারের খেলা নিয়ে যত না আলোচনা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি কথা হয়েছে তার অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ নিয়ে। বিশ্বকাপ শেষেও নেইমারের সেই পড়ে যাওয়ার অঙ্গভঙ্গি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রল থামছে না। সেসব মিম অনেকের হাসির খোরাক হলেও, নেইমারের ব্রাজিল ও পিএসজি সতীর্থ দানি আলভেজের এসব একদমই পছন্দ হচ্ছে না।
"নাহ এই ব্যাপারটা আমাকে একদমই আনন্দ দিতে পারছে না। না এটা কোনো কৌতুক হচ্ছে না। শুরুতে ঠিক ছিল, কিন্তু পরে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এটা আর কৌতুক নেই এখন, বরং একজনকে ঘায়েল করা হচ্ছে।" নেইমারের জন্য দানি আলভেজের পরামর্শ হচ্ছে এসব কিছু গায়ে না মাখানো, "বুদ্ধিমান কাজ হবে এসব গায়ে না মাখানো। যারা আমরা ওর পাশে থাকি, আমরা ব্যাপারটা নিশ্চিত করছি যাতে এর কোনো প্রভাব ওর ওপর না পড়ে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আপনি নিজেকে কি ভাবেন। অন্য কেউ কী ভাবল তাতে কিছু যায় আসে না।"
আলভেজ দাঁড়িয়েছেন নেইমারের পাশে। যদিও নেইমার ব্যাপারটাকে মজা হিসেবেই দেখছেন। নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বৃহস্পতিবার একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন নেইমার। গ্যারেজে তার পেছনে একদল শিশু, নেইমার তাদের নির্দেশ দিচ্ছেন। এক, দুই, তিন বলতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন সবাই, নেইমার হেসেই গড়িয়ে পড়ছেন- আর শেষে আবার রেফারি সেজে বলছে এটা ফ্রি কিক হবে। ক্যাপশনে চ্যালেঞ্জ দাফালতা হ্যাশট্যাগ দিয়ে নেইমার বোঝাতে চেয়েছেন ফ্রি কিক চ্যালেঞ্জ।
নিজেকে নিয়ে নিজেই কৌতুক করলেও, নিজেকে সমর্থন করেও কথা বলেছেন নেইমার। সাংবাদিককদের সামনে বলেছেন, সবসময় তিনি ইচ্ছা করেই পড়ে যান না। বরং প্রতিপক্ষের ট্যাকলে আসলেই তিনি আহত হন। "বেশিরভাগ সময়ই আমি আমার প্রতিপক্ষের চেয়ে গতিশীল আর ওজনেও কিছুটা হালকাও থাকি। আর তারা আমাকে ফাউল করে বসে। এসব দেখতে রেফারি থাকে। আপনার কি মনে হয় আমি ইচ্ছা করি ফাউলের শিকার হই? না। কারণ এটা অনেক বেশি ব্যাথাদায়ক, আমি আসলেই আহত হই। খেলার পর আমাকে চার-পাঁচ ঘন্টা ধরে বরফ লাগাতে হয় শরীরে। যাদের সঙ্গে এরকম হয়নি, তারা আসলে কখনোই এটা বুঝবে না।"