'জার্মানিতে ওজিলের সেরা সময় শেষ'
অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়ে যায়। মেসুত ওজিলের অবস্থা এখন অনেকটা সেরকম। বর্ণবাদের অভিযোগ এনে জাতীয় দলে খেলবেন না বলে জানিয়েছেন। বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট উলি হোয়েনেস কাল একরকম ব্যক্তি আক্রমণই করেছেন ওজিলকে, বলেছেন নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এসব করছেন ওজিল। তবে জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউস অতটা সমালোচনা না করলেও বলছেন, ওজিলকে এই জার্মানি খুব একটা মিস করবে না।
জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ম্যাথাউস অবশ্য ওজিলের বর্ণবাদ বা তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি তোলা নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তবে অনেকটা হোয়েনেসের সুরে সুর মিলিয়েই বলেছেন, জাতীয় দলে ওজিল তাঁর সেরা সময়টা পার করে এসেছেন। জার্মানিতে তাঁর অভাবও খুব একটা টের পাওয়া যাবে না, ‘আমাদের অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। কেউ যখন আগের মতো পারফর্ম করতে পারে না নতুনদের তো সুযোগ দিতেই হবে।’
ম্যাথাউস বলছেন, ওজিলের পারফরম্যান্স আর আগের মতো নেই, ‘আমার মনে হয় ফুটবল হচ্ছে ফুটবল, রাজনীতি হচ্ছে রাজনীতি। মেসুত জার্মানির হয়ে অনেকটা সময় ভালো খেলেছে। কিন্তু চার বছর আগে আমরা বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে ওর খেলা আগের মতো নেই। আমার মনে হয় জাতীয় দলে ওজিলের সময়টা শেষ হয়ে গেছে। এটা কোনো ছবি বা কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়। এসব নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি দেখছি, ফুটবলার ওজিল আর আগের মতো পারফর্ম করতে পারছে না।’
বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট হোয়েনেসের আক্রমণের কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হলো ম্যাথাউসকে। সাবেক এই বায়ার্ন মিডফিল্ডারের ধারণা, জার্মানির বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার জন্য ওজিলকেই দায়ী করছেন হোয়েনেস। ব্যক্তিগত আক্রমণও সে কারণেই। তবে ম্যাথাউস মনে করেন, ওজিল খারাপ খেললেও বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার দায়টা তাঁর একার নয়। বরং দলের সবাইকেই তা ভাগ করে নিতে হবে।
কিন্তু জার্মান ফেডারেশনে কি আসলেই বর্ণবাদ সমস্যা আছে? ম্যাথাউস তা মানতে চাইলেন না, ‘না, আমি মনে করি না এরকম কিছু আছে। ওজিল, খেদিরা, নাব্রি এওরকম অনেক খেলোয়াড়ই আছে যাদের ওপর বাইরের একটা প্রভাব আছে। আমার মনে হয় না এটা কোনো সমস্যা। ’