ফাইনালে চোট লুকিয়েছিলেন এমবাপ্পে!
একবার ভাবুন তো, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল আর ফাইনালে নেই কিলিয়ান এমবাপ্পে?
সেরকম একটা সম্ভাবনা আসলে ছিলই। বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড জানাচ্ছেন, একটু চোট লুকিয়েই খেলতে নেমেছিলেন শেষ দুই ম্যাচে। সতীর্থ ও স্টাফরা জানলেও সেটা তারা নিজেদের ভেতর গোপন রেখেছিলেন।
চোটটাও হয়েছিল একটু অদ্ভুতভাবে। শাওয়ারে যাওয়ার জন্য নিজের জিনিস নেওয়ার সময় পিঠে ব্যথা পান ফ্রান্সের নতুন সেনসেশন। মেরুদন্ডের তিন জায়গায় একটু আঘাত লাগে, তবে খেলার পথে সেটা বাধা হতে পারেনি। এমবাপ্পে বলছেন, তাঁর শুধু একটাই চিন্তা, প্রতিপক্ষের কেউ যেন সেটা কোনোভাবেই জানতে না পারে, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আমাদের প্রতিপক্ষেরা যেন এটা কোনোভাবেই জানতে না পারে। সেটা হলে তারা এখান থেকে একটা সুবিধা আদায় করতে পারত। এই সংবেদনশীল জায়গাটার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারত। ফাইনাল পর্যন্ত খেলোয়াড় ও স্টাফদের সবাই সেটা গোপন রেখেছিল’
বলাই বাহুল্য, প্রচারমাধ্যমেও এমবাপ্পের এই চোটের খবর সেভাবে আসেনি। বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার তাই জানার প্রশ্নই ওঠে না।
এখন মেসি-রোনালদোর উত্তরসূরি হিসেবে ভাবা হচ্ছে এমবাপ্পেকে। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে সমালোচনা কম হয়নি। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে খুবই আত্মবিশ্বাসী- এমন কথা বলাটা অনেকে ‘ঔদ্ধত্য’ হিসেবে দেখেছিল। তবে এমবাপ্পের ব্যাখ্যাটা এরকম, ‘সত্যি বলতে কী, আমার মাথায় এই ভাবনাটাই ছিল। শুরু থেকেই আমি কেন যেন নিশ্চিত ছিলাম, আমাদের শেষ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য সবকিছুই আছে। বিশ্বকাপের আগে সেটা বলায় অনেকেই হয়তো তা ঔদ্ধত্য হিসেবে দেখেছিল। কিন্তু এটা ছিল স্রেফ আমার চিন্তা। আমি ট্রফিটা নিতে এসেছি, এবং সেটা নিয়েই ফিরেছি।’
এই মুহূর্তে অবসর কাটাচ্ছেন এমবাপ্পে। পিএসজির প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি থেকেও দূরেই আছেন আপাতত।