• বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর
  • " />

     

    যেখানে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ

    যেখানে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ    

    একটা একটা করে অনেকগুলো পালকই যোগ হয়েছিল মুকুটে। তবু মাশরাফি বিন মুর্তজার একটা অতৃপ্তি ছিল। দেশের বাইরে কখনো ওয়ানডে সিরিজ জেতা হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়কের। সেই অতৃপ্তিও ঘুঁচল এবার, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে নয় বছর পর  দেশের বাইরে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডে বাংলাদেশের যে দিনবদল, তাতে একটা বাংলাদেশ পেয়েছে অনেক কিছুই। একটা বড় পাওয়া, এই তিন বছরে বাংলাদেশ পেছনে ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের মতো দলকেও।

     

    ২০১৫ বিশ্বকাপের পর দেশের মাটিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে শুরু বাংলাদেশের ওয়ানডে স্বপ্নযাত্রার। এরপর এর পর পরেই ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ জয়ে ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত সেরা বছরটি কাটিয়েছে মাশরাফিরা। যেটি শেষ হয়েছে ওই বছর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ দিয়ে। ২০১৬ সালে ওয়ানডে সিরিজই খেলার সুযোগ পেয়েছে তিনটি। আফগানিস্তানের সঙ্গে জিতলেও ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায়।

    গত বছরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের চেয়ে টুর্নামেন্টই বেশি খেলেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে, এরপর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ চলে যায় সেমিফাইনাল পর্যন্ত।

    তবে এরপর ওয়ানডেতে আবার উলটো পথে হাঁটা শুরু। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হেরে যায় সবকটি ম্যাচেই, আর দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয় ফাইনালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা ছিল এই বছর বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে জয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে এশিয়া কাপের ভালো করার টনিক।

    অন্যদিকে ২০১৫ বিশ্বকাপ জেতার পর ওয়ানডেতে হোঁচটই বেশি খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই তিন বছরে বাংলাদেশের শতকরা জয় ৫৫ শতাংশ, আর অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে ৪৭.৩৬ শতাংশ। এমনকি পাকিস্তানের শতকরা জয়ও বাংলাদেশের চেয়ে কম (৫২)। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা অনুমিতভাবেই অনেকটা পেছনে।

    এই তিন বছরেই প্রথমবারের মতো ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ, গত বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরেই। এই মুহূর্তে আছে সাতে, তবে ছয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সাথে ব্যবধান ঘোঁচানোর সুযোগ সামনের এশিয়া কাপেই।