যে কারণে দিবারাত্রির টেস্টে বাংলাদেশের 'অনীহা'...
মাত্র চতুর্থবার তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেই সিরিজটা এক দিক দিয়ে বাংলাদেশের জন্য বড় একটা সুযোগই। তবে আরেকটা সুযোগ পেয়েও নেয়নি বিসিবি, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার একটা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটেই তারা বিষয়টি জানিয়েছে। আজ বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনও নিশ্চিত করেছেন, তারা এই প্রস্তাবটি পেয়েছিলেন। তবে ‘যথেষ্ট প্রস্তুতি’ না থাকায় তারা এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।
২০১৫ সালে অ্যাডিলেডে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। গোলাপী বলে এরপর আরও ১৯টি টেস্ট খেলা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়া আটটি টেস্ট খেলুড়ে দেশই এর মধ্যে কৃত্রিম আলোর নিচে সাদা পোশাকে খেলেছে (আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে বাদ দিয়ে)। ভারতে ঘরোয়া পর্যায়ে বেশ কিছু দিবারাত্রির প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা হয়েছে। বাংলাদেশে সাদা পোশাকে ফ্লাডলাইটে খেলা হয়েছে একটা ম্যাচই। ২০১৩ সালে বিসিএলের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ও বিসিবি নর্থ জোন। কিন্তু এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে আর কোনো ম্যাচ রাতে হয়নি। নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও বললেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রস্তুতি না থাকায় তারা এই মুহূর্তে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে চাইছেন না।
‘হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ড বোর্ড থেকে একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।, এটা ঠিক। আমরা এটা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। কিন্তু আমাদের যেহেতু নিউজিল্যান্ডের আগ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো খেলার সুযোগ নেই। বা ঘরোয়া লম্বা সংস্করণেও দিবারাত্রির খেলার সুযোগ নেই, তাই আমরা মনে করছি এই টেস্ট খেলার মতো অবস্থায় আমরা নেই।’
'আমরা ঘরোয়া লিগে এটা পরখ করে দেখব, এরপর আমরা এটা খেলা যায় কি না ভাবব। আমরা আসলে ঘরোয়ায় নিজেদের বাজিয়ে নিতে চাই। এখন আমাদের ঠিক করতে হবে, আমরা ঘরোয়া লিগে কখন এটা প্রয়োগ করব। ’
এর আগে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফরে গোলাপী বলে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই সময়েও বিসিবি তাতে সায় দেয়নি। সেটিও স্বীকার করলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী, ‘২০১৬ তে আমাদের একই পরিস্থিতি ছিল। দলের মধ্যে একটা খেলা নিয়ে দুই ধরনের মতই আছে, যে শুরু তো করতেই হবে কোনো এক সময়।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী অবশ্য বললেন, টেস্টে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের মাঠে যেভাবে ভুগছে, তাতে এখনই গোলাপী বলে খেলাটা বেশি ঝুঁকি হয়ে যেতে পারে। তার আগে তারা নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটি প্রয়োগ করতে চান। সেটা বোর্ডের নীতিনির্ধাকেরাই ঠিক করবে। কিন্তু সেই সময়টা কবে আসবে? বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরও অনেক প্রশ্নের মতো এই উত্তরটাও আপাতত অজানাই।