১৮২ রানেই থামলেন মুমিনুল
হতে হতেও শেষ পর্যন্ত হলো না। লিস্ট এ ক্রিকেটে এতোদিন ডাবল সেঞ্চুরি ছিল না কোনো বাংলাদেশী ক্রিকেটারের, গত বছর মোহামেডানের হয়ে রকিবুল হাসানের ১৯০ রান ছিল সর্বোচ্চ। সেই রেকর্ডটা ভাঙার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮২ রানে আউট হয়ে গেলেন, তাও আবার রান আউট। নিজের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ফেলেছেন আগেই, তবে পাওয়া হলো না ডাবল সেঞ্চুরি। আয়ারল্যান্ড এ দলের সঙ্গে রান পাহাড়ে উঠতে সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের।
মাত্র ৪ রানে মিজানুর রহমান আউট হওয়ার পরেই ক্রিজে এসেছিলেন মুমিনুল হক। জাকির হাসানের সঙ্গে জুটিটা জমে উঠেছিল শুরু থেকেই, মাত্র ৩৯ বলেই ফিফটি পেয়ে যান মুমিনুল। নিজের প্রথম ছ্যও পেয়ে যান এর মধ্যেই। সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন ৮১ বলেই, এর মধ্যে বেশির ভাগ রানই ছয় ও চারে। এর মধ্যে অবশ্য জাকির আউট হয়ে গেছেন ৭৯ রানে, কাছাকাছি গিয়েও পাওয়া হয়নি সেঞ্চুরি। তবে মুমিনুলের সেঞ্চুরিটা রঙিন পোশাকে অনেক দিন পর বড় একটা আনন্দের উপলক্ষ হয়ে এসেছে। লিস্ট এ ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি মুমিনুলের, দেশের বাইরে প্রথম। এর আগের তিনটি সেঞ্চুরিই করেছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, গত বছর খেলেছিলেন ১৫২ রানের ইনিংস।
সেই কীর্তিও ছাড়িয়ে গেলেন এরপর। মনে হচ্ছিল ডাবলটা পেয়েই যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮২ রান করে আউট হয়ে রান আউট হয়ে গেলেন। ১৩৩ বলের ইনিংসে ২৭টি চারের সঙ্গে মেরেছেন তিনটি ছয়। দেশের বাইরে বাংলাদেশের কারও সর্বোচ্চ রানের ইনিংস, লিস্ট এ তে বাংলাদেশের কারও এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার রেকর্ডও। রঙিন পোশাকে এই বছর প্রিমিয়ার লিগ ভালো যায়নি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্টেও রানের দেখা পাননি। মুমিনুল হকের জন্য এই ইনিংস তাই অনেক স্বস্তির উপলক্ষ হয়েই আসবে।
৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ এ তুলেছে ৩৮৫ রান। মোহাম্মদ মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ৫১ বলে ৮৬ রান করে। ১৩ বলে ১৯ রান করেছেন আল আমিন।