মুমিনুলের পর বাকি কাজ সারলেন রাব্বিরা
স্কোর
বাংলাদেশ এ ৫০ ওভারে ৩৮৬/৪ (মুমিনুল ১৮২, মিঠুন ৮৭*, জাকির ৭৯; ম্যাকব্রাইন ১/৪৫ )
আয়ারল্যান্ড এ ৪৬.১ ওভারে ৩০১ (বালবির্নি ১০৬; রাব্বি ৩/৪৫, খালেদ ৩/৭২, সাইফ ২/৩৫, শরিফুল ২/৫৩ )
ফলঃ বাংলাদেশ এ ৮৫ রানে জয়ী
কাজ অর্ধেকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন মুমিনুল হক। লিস্ট এ ক্রিকেটে দেশের বাইরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস, বাংলাদেশ এ দলেরও ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইনিংস- এমন অনেক রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল। তার চেয়ে বড় কথা, পিচ বা মাঠ যেমনই হোক, ৩৮৭ রান তাড়া করে জিততে গেলে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হয়। আয়ারল্যান্ড ‘এ’ একটা সময় আশা জাগিয়েও সেটা আর করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘এ’ দল জয় পেয়েছে ৮৫ রানে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থটি জিতে এগিয়ে আছে ২-১ ব্যবধানে।
৩৮৫ রান করার পর আইরিশরা শুরুতেই হারিয়ে ফেলে শ্যাননকে। শুরুর স্পেলে আজও দুর্দান্ত ছিলেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম, তিনিই তুলে নিয়েছেন শ্যাননকে। এরপর ম্যাককুলম ও বালবির্নির ব্যাটে শুরু আইরিশদের পালটা আক্রমণের। ৩৬ বলে ৪৩ রান করে ম্যাককুলম আউট হলেও থম্পসনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন বালবির্নি। তৃতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ৭৭ রান। ১৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড এল, থম্পসনকে তুলে নিয়েছেন খালেদ আহমেদ।
তবে বালবির্নি আর সিমি সিং আশা দেখাচ্ছিলেন স্বাগতিকদের। ৩০ ওভার শেষে দুজন তুলে ফেলেন ১৭২ রান। সিমি সিং ছিলেন দারুণ আগ্রাসী, বিশেষ করে তাসকিনের অপর ঝালটা ঝেড়েছেন বেশি। এর মধ্যে বালবির্নি পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরিও। দুজনের জুটিটা যখন বাংলাদেশের জন্য হুমমি হয়ে দেখা দিচ্ছে, আবার খালেদের আঘাত। ১০৬ রান করে বালবির্নি আউট হয়ে গেছেন খালেদের বলে, ২৩৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্দ।
সিমি সিং অবশ্য তাসকিন আর আফিফের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন। ৩২ বলে ৫৩ রান করার পর মহা কাঙ্খিত উইকেটটা দেন সাইফ উদ্দিন। সিমিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর আর ফিরে আসতে পারেনি আইরিশরা। ২৫৮ রানে সিমি আউট হওয়ার পর শেষ ৪৩ রানে হারিয়েছে ৬ উইকেট। এর মধ্যে তিন উইকেট নিয়েছেন ফজলে রাব্বি, খালেদও ৭৩ রান দিয়ে পেয়েছেন তিনটি। ৩৫ রান দিয়ে দুইটি পেয়েছেন সাইফ, ৫৩ রান দিয়ে শরিফুলও তিনটি। অন্যদিকে ৫ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য তাসকিন, ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন আফিফ।