পেসারদের উন্নতি ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটেই আটকা : কামরুল
পেসারদের উন্নতিটা ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটেই আটকে যাচ্ছে বলে মনে করেন কামরুল ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজের পেস বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের দুর্দশার সঙ্গে ফুটে উঠেছে পেসারদের বেহাল অবস্থাটাও। দুই টেস্ট মিলিয়ে তারা নিয়েছেন মাত্র পাঁচটি উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পিনারদের দাপটে পেসাররা বোলিংয়ের তেমন সুযোগই পান না বলে আক্ষেপ করেছেন কামরুল।
“আমরা জাতীয় লিগ, বিসিএলে (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ) খেলার সময় খুব বেশি বল করার সুযোগ পাই না”, বলছেন ৭টি টেস্ট খেলা পেসার, “দেখা যায় যে নতুন বলে পেসাররা বল করার পর স্পিনাররা আসে। দিনশেষে দেখা যায় একজন পেসার খুব বেশি হলে ১২-১৩ ওভার বল করে আর সারাদিন ফিল্ডিং করে, আর স্পিনাররা দেখা যায় বল করছে ৩৫-৩৬ ওভার।”
“এমন করে হিসাব করলে দেখা যায় তিন জন স্পিনার মিলে ৯০ ওভারের মধ্যে ৭০ ওভার বল করে, আর দুইজন পেসার মিলে বল করে ২০ ওভার। আমাদের এমন উইকেট ও আবহাওয়াতেই আমরা এত কম বল করি। এতে আসলে আমার শেখার জায়গাটা কমে যায়।”
অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে চিত্রটা বদলাচ্ছে বলে ধারণা তার, “তবে গত দুই বছর ধরে উইকেটে অনেক তফাৎ দেখা গেছে। প্রিমিয়ার লিগ, এনসিএলে আমরা ভালো ভালো উইকেট পাই, তখন কিন্তু আমরা বোলিং করার সুযোগ পাই।”
“শীতের সময় জাতীয় লিগ বা বিসিএল খেলা হলে তখন পেসাররা অনেক বল করে। এছাড়া স্পিনাররাই বেশীরভাগ সময় বল করে থাকে। এই জন্যই আগে থেকে আমাদের উন্নতিটা কম হয়ে আসছে। এখন আমরা ভালো উইকেট পাচ্ছি, আশা করি আগামী কয়েকবছরে দেখবেন ভালো কয়েকজন বোলার পাব।
“শেষ কয়েক বছর ধরে আমরা ভালো উইকেট পাচ্ছি। খুলনায় ভালো উইকেট পাই, সিলেট-কক্সবাজার তো আগে ছিল না। এখন আস্তে আস্তে মাঠ বাড়ছে। এখন আমরা অনেকক্ষণ বোলিং করতে পারি, যা আগে হতো না। ওই জন্যই আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। তবে এখন অনেক উন্নতি হবে আশা করি।”
তবে উন্নতির জন্য নিজেদের স্কিলের উন্নতি করতে হবে বলেও মানছেন কামরুল, “আমার মনে হয় আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে। আরও বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হবে। আমরা জাতীয় লিগের খেলাগুলো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে খেলি, এখানে উইকেট ভিন্ন থাকে.. যা আমাদের অনেক সাহায্য করছে।”
নিজেদের জিনগত কারণেই লম্বা আকৃতির পেসার পাওয়া সম্ভব নয়, তবে নিজেদের যা শক্তিমত্তা আছে, সেদিকেই আরও বেশি নজর দেওয়ার তাগিদ তার, “আমরা যেই গতিতে বল করি, এই গতিতে যদি আমরা ভালো সুইং করাতে পারি তাহলে আমরা ভালো করতে পারব। আপনি দেখবেন ভুবনেশ্বর কুমার ও ভারতের (বাকি) বোলাররা ভালো সুইং করাতে পারে। আমরা গতির দিকে নজর না দিয়ে যদি যদি সুইংয়ে নজর দেই তাহলে উন্নতি করতে পারব। আমাদের গতি ১৩০-৩৫ এর মধ্যে, এর সাথে সুইং যোগ করলেই ভালো করা সম্ভব।”