• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সংশয় কাটিয়ে জয়েই শুরু স্পার্সের

    সংশয় কাটিয়ে জয়েই শুরু স্পার্সের    

    গ্রীষ্মের দলবদলে নতুন কাউকেই দলে ভেড়ায়নি টটেনহাম হটস্পার। বাকিরা যখন শক্তি বাড়িয়ে নিতে ব্যস্ত ছিল, টটেনহাম তখন মন দিয়েছে পুরনোদের ধরে রাখতেই। সেই পুরনো বেশিরভাগ খেলোয়াড় আবার বিশ্বকাপ শেষে ফিরেছিল ক্লাবে। প্রাক-মৌসুমেও তাদেরকে আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ হয়নি মারুসিও পচেত্তিনোর। লিগের প্রথম ম্যাচটাও সহজ ছিল না, নিউক্যাসেলের মাঠে জেতাটা সহজও না। এসব সংশয় পেছনে ফেলে, টটেনহাম অবশ্য জয় দিয়েই শুরু করেছে লিগের নতুন মৌসুমটা। নিউক্যাসেলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।

    ম্যাচের ভাগ্যটা আসলে নির্ধারণ হয়েছে শুরুর ১৭ মিনিটের মধ্যে। সবগুলো গোল হয়েছে এই সময়ের মাঝে। টটেনহামের দুই গোলের মাঝে একটা শোধ দিয়েছিল নিউক্যাসেল। আক্রমণত্মক শুরুর পর ৮ মিনিটেই টটেনহাম এগিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য নিউক্যাসেলের দ্রুত ফিরে আসাটা চমকই ছিল। চমক ছিল ৮ মিনিটে টটেনহামের করা ওই গোলেও। কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে হেড করেছিলেন ডেভিনসন সানচেজ। সেটা অবশ্য লক্ষ্যে ছিল না, তবে সেই হেডটাই খুঁজে পেল ইয়ান ভের্টোনহেনকে। বেলজিয়ান ডিফেন্ডার করলেন আরেক হেড, সেটা বারপোস্টে লেগে ফেরত আসলো, গোলরক্ষক দিলেন ঠেকিয়ে। ভের্টোনহেন নিজেও সেভাবে আবেদন করেননি গোলের। তবে, রেফারির গোললাইন টেকনোলজি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই জানিয়ে দিল বলটা গোললাইন অতিক্রম করেছিল। আরও পরে জানা গেল, বলটা গোললাইন অতিক্রম করেছিল মাত্র ৯ মিমি দূরত্বে।  



    ভের্টোনেহেনের গোলের পর নিউক্যাসেল সেটা শোধ করতে সময় নিল ২ মিনিট। ম্যাট রিচির ডানদিক থেকে করা নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন হোসেলু। সেন্ট জেমস পার্কে ওই গোলই মৌসুম শুরুর উত্তেজনাটা বাড়িয়ে দিল আরও।
    কিন্তু নিউক্যাসেল সমর্থকদের উল্লাসটা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। ১৭ মিনিটে সার্জ অরিয়ের করলেন আরেকটা বুদ্ধিদীপ্ত ক্রস। সেখান থেকে আরেকবার হেড, গোল! টটেনহামকে এগিয়ে দিলেন ড্যালে অ্যালি।

    শুরুর এই উত্তেজনাটা অবশ্য প্রথমার্ধ না ফুরোতেই মিলিয়ে এসেছিল। তবে  দ্বিতীয়ার্ধে নিউক্যাসেল লড়াই করে জানান দিয়েছে এবার মৌসুমে ভালো কিছু করতে চায় তারা। খালি হাতে ফেরায় রাফায়েল বেনিটেজের দল নিজেদের অভাগাও ভাবতে পারে। দুইবার বারপোস্টে বল লেগে ফেরত এসেছে, আরেকবার কেনেডি গোলের সামনে নিয়ন্ত্রণ না হারালে সেখান থেকেও ভালো কিছু হতে পারত নিউক্যাসেলের। টটেনহামের বারপোস্ট প্রথমে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ডিয়ামে, ডান কোণায় লেগে ফেরত আসে তার শট। নতুন আসা স্ট্রাইকার জ্যাক রন্ডন শুরু থেকে ছিলেন না দলে। বদলি নেমে তিনিও ভাগ্যটা বদলে দিতে পারতে দলের। নতুন জার্সিতে স্বপ্নের অভিষেকটা তার হয়নি সেই বারপোস্টের জন্যই। ৮৪ মিনিটে ডান পায়ে একটা শট নিয়েছিলেন, গোলরক্ষক হুগো লরিস তাতে বোকাই বনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই শটও ফেরত আসল বারে লেগে। তার আগে অবশ্য ভের্টোনহেনের একটা টাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নাহলে গোলেই পরিণত হত রন্ডনের শট।  

    দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহাম তেমন সুবিধা করতে পারেনি। প্রতিপক্ষের গোলের সামনে নিশ্চিত তেমন সুযোগও  তৈরি করা হয়নি। তবে শুরুর ম্যাচে জয়টা কতো গুরুত্বপূর্ণ সেটা ভেবেই আপাতত তৃপ্তি খুঁজতে পারেন পচেত্তিনো।