ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজঃ ক্রিকেটিয় স্বাদ আস্বাদনের অপেক্ষা
পোস্টটি ১১৬৮৭ বার পঠিত হয়েছেশুরু হচ্ছে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট দ্বৈরথ ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজ, বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি! ২০০৫ থেকে দুই-তিনবার অ্যাশেজ উত্তেজনা ছড়াতে পেরেছে। কিন্তু এই দুই দলের দ্বৈরথের মতো ক্রিকেটিয় তাৎপর্য কোন সিরিজে ছিল কিনা সন্দেহ!
শুরুটা হয়েছিলো সেই ২০০১ এ। সর্বজয়ী স্টিভ ওয়াহ গিয়েছিলেন ভারত জয় করতে! মুম্বাই টেস্ট শুরুর কয়েকদিন আগে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান মারা গেলেন। টার্নিং উইকেটে সম্ভবত সর্বকালের অন্যতম সেরা ইনিংসটা খেললেন গিলক্রিস্ট। সর্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের টানা ১৫ টেস্ট জয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে টানা ১৬ টেস্ট জয় করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া! ও-ই শেষ। পরের টেস্টেই "ইডেন মহাকাব্য" লিখলেন লক্ষণ আর দ্রাবিড়! মাত্র তৃতীয়বারের মতো ফলো-অনে পড়েও টেস্ট জিতলো ভারত! সেই ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার যে জয়রথ শুরু হয়েছিলো তা থামিয়ে, ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম অভাবনীয়তম কাণ্ড ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ ভারতের। বিশ্ব দেখলো সৌরভ গাঙ্গুলী নামে এক নেতার আবির্ভাব। স্টিভ ওয়াহর ভারত জয় হলো না!
এরপর ২০০৩-০৪ এ স্টিভ ওয়াহর বিদায়ী সিরিজ। ৪ টেস্টের সিরিজ শেষে রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, "কেউ যদি সিরিজ শুরুর আগে ভারত ২-০ তে হারবে বলতো তবুও বিশ্বাস করতাম না।" অথচ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারত ১-১ এ সিরিজ ড্র করলো! যাই হোক, সম্ভবত স্টিভ ওয়াহর বিদায়ী সিরিজটাই প্রথম কোন সিরিজ, যে সিরিজে বোর্ডের পক্ষ থেকে কোন ক্রিকেটারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া হয়! পরবর্তীতে গ্রেগ চ্যাপেলের সাথে যাই হোক, চ্যাপেলের পরামর্শ নিয়েই সৌরভ গাঙ্গুলী ব্রিসবেনে খেললেন ১৪৪ রানের এক অধিনায়কোচিত ইনিংস। ভারত যেন পুরো সিরিজেরই অনুপ্রেরণা পেলো! ইমরান খান বললেন, “অধিনায়ককে তার পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে অনুপ্রেরণা যোগাতে হয়। গাঙ্গুলীর প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিই পুরো সিরিজে ভারতের গতিপথ ঠিক করে দিয়েছে!”
অ্যাডিলেড টেস্ট ছিল সম্ভবত আধুনিক ক্রিকেটে দুই গ্রেটের নায়ক হবার মঞ্চ! দ্রাবিড় আর পন্টিং দুইজনের ডাবল সেঞ্চুরির পরেও অ্যাডিলেডে ভারত ম্যাচটা জিতলো! অভাবনীয়ভাবে এগিয়ে গেল ১-০ তে! তৃতীয় টেস্টে আবারও পন্টিং এর ডাবল! এবারে অস্ট্রেলিয়ার জয়। টেস্টে পন্টিং এর অত্যাশ্চর্য ধারাবাহিকতা সম্ভবত এই সিরিজ থেকেই শুরু! ওয়াহর শেষ টেস্টটায় ওয়াহকে জয় উপহার দিতে চেয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। তখন পর্যন্ত সাচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটে খরা! চারদিকে প্রথমবারের মতো সাচীন শেষ রব! ম্যাথু হেইডেন তার কলামে লিখলেন, "আর যাই করো সিডনিতে রানে ফেরো না!" সাচিন কথা শুনলেন না। অফ স্টাম্পের বাইরের একটা বলেও ড্রাইভ না করেই লিখলেন ২৪১ রানের মহাকাব্য! তবে সেটা সম্ভবত স্টিভ ওয়াহর শেষ টেস্টে ওয়াহর চরিত্র বোঝাতে দরকার ছিল! দলের বিপর্যয়ের মুহূর্তে যে স্টিভ ওয়াহ সারাজীবন হাল ধরেছেন, সেই ওয়াহ শেষ টেস্টে পেলেন ম্যাচ বাঁচানোর দায়িত্ব! ওয়াহর ৮০ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ড্র করলো। এখানেই ক্রিকেট ইতিহাসের একটি বিখ্যাত স্লেজিং এর জন্ম। ছোট্ট পার্থিব প্যাটেল ওয়াহকে বারে বারে বলছিলো, "তোমার প্রিয় স্লগ সুইপটা করে দেখাও না!" ওয়াহ উত্তরে বললেন, "আমি যখন টেস্ট খেলা শুরু করি তখন তুমি ন্যাপি পড়তে!" সিরিজ ড্র হলো! বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি দেয়া হয় শেষ দুই সিরিজের মিলিত জয়ে! যেহেতু ভারতের মাটিতে শেষ সিরিজটা ভারত জিতেছে আর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজটা ড্র হয়েছে তাই ট্রফি উঁচিয়ে ধরলো সৌরভ গাঙ্গুলী! স্টিভ ওয়াহ তার শেষ সিরিজটায় ট্রফি নিতে পারলেন না এ দুঃখ আমার অনেকদিন ছিল!
সব জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার দুঃখ ছিল ৩৫ বছরের মধ্যে ভারতের মাটিতে সিরিজ জিততে না পারার! ২০০৪ এ অস্ট্রেলিয়া আবার ভারত আসলো! স্টিভ ওয়াহ পারেননি। এমনকি পন্টিংও না! এই সিরিজে দুটো টেস্ট অস্ট্রেলিয়া জিতেছিলো গিলক্রিস্টের নেতৃত্বে! তবে এই সিরিজেই আবির্ভাব হয় মাইকেল ক্লার্ক নামে এক তরুণের! অভিষেক টেস্টে ভারতের মাটিতে ১৫১ রানের কঠিন ইনিংস! ক্লার্ককে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আবার শেষ টেস্টে পন্টিং ফিরলেন অধিনায়ক হিসেবে। কিন্তু ১০৬ রান চেজ করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া মুখ থুবড়ে পড়লো ৯৩ রানে। পন্টিং এর ভারতে টেস্ট জেতা হলো না! তবে ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জেতা সারা!
তারপর অস্ট্রেলিয়ায় অতি বিখ্যাত/কুখ্যাত ২০০৭-০৮ সিরিজ! সিরিজের বারুদ ছড়িয়ে পড়েছিলো অস্ট্রেলিয়া-ইন্ডিয়ার কুটনৈতিক সম্পর্কেও! সিডনির দ্বিতীয় টেস্টটা বিখ্যাত একের পর ভুল সিদ্ধান্তের জন্য। স্টিভ বাকনার টেন্ডুলকারকে আউট দিলেন, টেন্ডুলকার মাথা নাড়তে নাড়তে ফিরলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীর ক্যাচ বাম্প হবার পরেও পন্টিং মার্ক বেনসনকে বলে আউট দিয়ে দিলো!!! কুম্বলে সংবাদ সম্মেলনে বললো, "এই টেস্টে মাত্র একটা দলই ক্রিকেটের স্পিরিটের সাথে খেলছে।" তবে টেস্টের শেষটা ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সমাপ্তি। টেস্ট ক্রিকেট তার সম্পূর্ণ রঙ নিয়ে হাজির হয়েছিলো ওই টেস্টে! পঞ্চম দিনের খেলার আর ৩ ওভার বাকি। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য আরও ৩ উইকেট দরকার। তখনই পন্টিং ক্লার্ককে দিয়ে একটা জুয়া খেললো। পার্টাটাইমার ক্লার্কের বোলিং এর কী ম্যাজিক!! এক ওভারে টানা ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে ম্যাচ জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া! সে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য! মাঠের উত্তেজনা, মাঠের বাইরের উত্তেজনা সব মিলিয়ে সর্বকালের অন্যতম সেরা টেস্ট এই সিডনি টেস্ট! আবারও অস্ট্রেলিয়ার টানা ১৬ টেস্ট জয়! আগের বিশ্বরেকর্ডকে ছুঁলো তারা। কাকতালীয়ভাবে পরের টেস্টে সেই ভারতের কাছেই হেরে টানা ১৬ জয়, ১৬-তেই আটকে থাকলো! নানা ধরনের বিতর্কের একটা ছিল হরভজন নাকি সাইমন্ডসকে বানর বলে গালি দিয়েছিলো। ম্যাচ রেফারি নিষিদ্ধ করলো ভাজ্জিকে! ওই টেস্টের পর থেকেই সম্ভবত বিসিসিআই এর আজকের ক্ষমতাশালী 'বিসিসিআই' হয়ে ওঠা! মিথ্যে অভিযোগ বলে ভারত নালিশ দিলো আইসিসিকে। ভারতের চাপে মাথা নত করে আইসিসি ভাজ্জির নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দিলো!
এরপর ০৮-০৯ এর সিরিজটা শুধু গাঙ্গুলী আর কুম্বলের বিদায়ের গল্প।
তবে ২০১০-১১ এর দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টে পন্টিং তার ভারত জয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি চলে গিয়েছিলো। প্রথম টেস্টে ভারতকে ২১৬ রানের টার্গেট দিয়ে ১২৪ রানে ৮ উইকেট ফেলে দিয়ে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম নাটকীয় এক সেশনের জন্ম! ১২৪/৮ উইকেট থেকে লক্ষণ টানতে থাকলেন দলকে। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে ইশান্ত শর্মা যখন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেন তখন ভারতের রান ২০৫! পরের ওভারেই মিচেল জনসনের বলে ক্লিয়ার এলবিডাব্লিউ ছিলো শেষ ব্যাটসম্যান প্রজ্ঞান ওঝা। এবার আবার আউট দিলো না বিলি বাউডেন!!! শেষে গিয়ে লক্ষণের চিৎকার আর উত্তেজনা সব মিলিয়ে ভারতের এক অবিশ্বাস্য জয়। সিরিজটা ভারত জিতলো ২-০তে!
এরপর শেষ দুই সিরিজে সেরকম গল্প করার কিছু নেই। একদিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৪-০তে জিতেছে তাদের মাটিতে অন্যদিকে ভারতও একইভাবে জিতেছে তাদের মাটিতে! তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১১-১২ সিরিজটা ছিল ভারতের বিখ্যাত ফ্যাবুলাস ফোরের শেষের ঘণ্টা। দ্রাবিড় এবং লক্ষণের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হয়ে ছিল ওই সিরিজে অ্যাডিলেডের শেষ টেস্টটি! আবার সেই আডিলেড টেস্টই ছিল টেস্ট ক্রিকেটে ভিরাট কোহলি নামের এক তরুণের আবির্ভাবের গল্প। অ্যাডিলেড টেস্টে যখন শেহওয়াগ, দ্রাবিড়, লক্ষণ, টেন্ডুলকাররা সবাই ব্যর্থ তখন বিরূদ্ধে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরিটা কোহলিরই ছিল। আবার ক্লার্কের অত্যাশ্চর্য ৩২৯* থাকা অবস্থায় ডিক্লেয়ার করা, বা সমালোচনার জবাবে পন্টিংয়ের ডাবল সেঞ্চুরিও সেই সিরিজের হাইলাইটস! ২০১৩ তে ভারতের মাটিতে হওয়া সিরিজটি আবার স্পিন ডুয়ো আশ্বিন-জাদেজার ভারতের মাটিতে আধিপত্যের সূচনার গল্প।
শেষ সিরিজটা ছিল ২০১৪ এর নভেম্বর-ডিসেম্বরে! ফিলিপ হিউজ চলে গেলেন প্রথম টেস্টের আগে। সম্মান-শ্রদ্ধা আর স্মরণের চূড়ান্ত নিদর্শন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট পিছিয়ে দিলো। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কেঁদে মাইকেল ক্লার্ক পুরো বিশ্বকে কাঁদালেন। শুরু থেকে যতভাবে পারা যায় অস্ট্রেলীয়রা ফিলিপ হিউজের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে গেছে! যখনি কোন ব্যাটসম্যান ৬৩ রান ছুঁয়েছে তখনই হিউজকে মনে করেছে। ওয়ার্নার সেঞ্চুরি করবার পরে চেয়েছে লাফ দিয়ে হিউজকে ছুঁতে। ক্লার্ক ৩৭ করবার পরে বলেছে, "বন্ধু, তোমার সেঞ্চুরি পূরণ করলাম!" অস্ট্রেলিয়া ৪০৮ করবার সাথে সাথে সারা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়েছে। স্মিথ সেঞ্চুরি করে দৌড়ে গিয়েছে মাঠের ৪০৮ লেখা জায়গাটায়। কাকতালীয়ভাবে তারা ভারতকে ৩'৬৩' রানের টার্গেটই দিয়েছে। জিতেছে '৪৮' রানে!! ম্যাচ শেষ হবার সাথে সাথে সবাই ছুটে গিয়েছে মাঠের সেই '৪০৮' রান লেখা জায়গাটাতে! এমনভাবে ক্রিকেট মাঠে কাউকে শ্রদ্ধা জানাতে কে কবে পেরেছে?
যে অস্ট্রেলিয়া স্লেজিং আর আক্রমণ দিয়ে ক্রিকেটকে নতুন মাত্রা দিয়েছে, সেই অস্ট্রেলিয়া যেন পুরো পালটে গেল। জনসনের বাউন্সার কোহলির হেলমেটে লাগলো। সবাই কোহলিকে দেখতে যে অস্ট্রেলিয়া মাঠে নামে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেবার জন্যে; যে অস্ট্রেলিয়া এক বাউন্সার শেষে বলে উঠে, "Get ready for the fu**ing broken arm", সেই অস্ট্রেলিয়া বাউন্সার দিয়ে অপরাধী হয়ে গেল! মিচেল জনসনকে দেখে মনে হলো বাউন্সার দেয়ায় সে অনুতপ্ত! সারাদিনে আর বাউন্সারই দেখা গেলো না। কোহলি নিজেই দায়িত্ব নিলেন অস্ট্রেলিয়াকে পাল্টে দেবার। ওয়ার্নারের মিষ্টি স্লেজিংটার উত্তর আসলো ভারতীয় খেলোয়ারদের অহেতুক গালাগালি দিয়ে। রোহিত, ভিরাট কেউই নিজেদের সামলালেন না। অস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচের সত্যিকারের তেজ মনে হয় গায়ে লাগলো, প্রথমবারের মতো। তবে ভারতের এই স্লেজিংটার দরকার ছিল। নুয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়া মনে হয় জেগে উঠলো এই স্লেজিং এর কারণে। এই স্লেজিং পর্বটা ক্রিকেটের জন্যই বড় দরকার ছিল। ৯৮ ওভারে ৩৬৩ রানের টার্গেট নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক কোহলি খেললেন জয়ের তাড়ায় থাকা ইনিংস। শেষ সেশনে তার সেঞ্চুরির পরে হওয়া আউটটি দলের জন্য হারের ছিল ঠিকই। কিন্তু কোহলির ভাষ্যমতে, ওই টেস্টে হারি আর জিতি, ‘জয়ের জন্যই খেলবো’; এই মানসিকতাই বর্তমান টিম ইন্ডিয়ার পরিবর্তনের মূল রহস্য ছিল। অধিনায়ক হিসেবে কোহলির টানা সেঞ্চুরি, টেস্ট থেকে ধোনির অবসর, পিঠের ব্যাথায় মাইকেল ক্লার্কের প্রায় অবসর; সবমিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া ২-০ তে সিরিজ জিতলেও সিরিজে উত্তেজনা আর ঘটনার অভাব ছিল না!
এবার আবার টেস্ট সিরিজ শুরু! ভারতে গিয়ে খাবি খাচ্ছে পৃথিবীর সবগুলো দল। এখন অস্ট্রেলিয়াই যদি পারে তাঁদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে। রেকর্ডের অনেক অপেক্ষাই আছে। কোহলির টানা ৫ সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা, ভারতের মাটিতে স্টিভেন স্মিথের নিজেকে প্রমাণ করা; সর্বোপরি বিশ্বের এক আর দুই নাম্বার ব্যাটসম্যানের দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষা! বোর্ডার-গাভাস্কার দিয়ে শুরু, ক্রিকেট পন্টিং-টেন্ডুলকার দেখেছে। এখন স্মিথ-কোহলি দেখছে! টেস্ট র্যাংকিংয়ের প্রথম দুই দলের দ্বৈরথ। এবার খুব অপেক্ষা করে আছি নাথান লায়নের অফস্পিন দেখার জন্য। পার্থক্য গড়ে দিবে আশ্বিন-জাদেজার জুটি!
মাত্রতো ক্রিকেট রস আস্বাদনের শুরু।
- 0 মন্তব্য