পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ...
পোস্টটি ৬১৯৪ বার পঠিত হয়েছে
শেষ ৮ ইনিংসে করেছেন মোটে ১৮৮ রান। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্টেই প্রথম শতরানের দেখা পাওয়া মাহমুদুল্লাহ পরের ২৯ টেস্টে করতে পারেন নি কোন সেঞ্চুরি। সৌম্যর ফর্ম আর ইমরুলের অন্তর্ভুক্তিতে শেষমেশ বাদই পড়লেন কলম্বো টেস্টে।
শর্টার ভার্সনে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পুনর্জন্ম ২০১৫ ওডিআই বিশ্বকাপে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করে ইতিহাসে নাম লেখান রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে টাইগার স্কোয়াডে অটোমেটিক চয়েস রিয়াদ। কিন্তু টেস্টের ভাষা ৮ বছরেও শিখতে পারলেন না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
২০১০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে ১৮তম সেঞ্চুরিটি তুলে নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এরপর কেটেছে ৭ বছরের বেশি সময়। পরের ৪০ টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তুলে নিয়েছেন আরও ২৮ টি সেঞ্চুরি। সবচেয়ে বেশি ৭টি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম, সাকিব ৩টি আর মুশফিক করেছেন ৪টি সেঞ্চুরি। এমনকি ২০১৩তে অভিষিক্ত মুমিনুলও হাঁকিয়েছেন ৪ সেঞ্চুরি।কিন্তু তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের দেখা আর পান নি এই ডানহাতি।
সেঞ্চুরির পর ৫৩ ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৭৬ রান, ১১টি ফিফটি পেলেও ৫টিই দুর্বল জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। শেষ ৮ ইনিংসে দুই বোল্ড, তিন কট বিহাইন্ড আর দুই লেগ বিফোরে প্রশ্ন তুলছিল রিয়াদের টেকনিক আর টেম্পারমেন্ট নিয়ে। নিউজিল্যান্ডে ৪ ইনিংসে তিনবার বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন। আর একবার বল টেনে এনেছেন স্ট্যাম্পে।হায়দরাবাদে টেস্টে ফিফটি পেলেও প্রথম ইনিংসের আউট চোখে লেগেছে, ফিফটি ইনিংসেরও সমাপ্তি হয়েছে বাজে শটে।গল টেস্টে প্রথম ইনিংসে ফুটওয়ার্কের গড়মিলে লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড, আর দ্বিতীয় ইনিংসে বলের লাইন না বুঝে লেগ বিফোর।
তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফর্মটা খারাপ যাচ্ছে না। কলম্বো টেস্টে বাদ পড়লেও সীমিত ওভারে সুযোগ পেলে সেই ফর্মটাই টেস্টে টেনে আনার চ্যালেঞ্জ থাকবে মাহমুদুল্লাহর।
- 0 মন্তব্য