• ক্রিকেট

শচীনের সঙ্গে বেড়ে ওঠা

পোস্টটি ১৭৪৭৪ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

শচীন টেন্ডুলকার তখন অবসর নিচ্ছেন। বিদায় বলছেন ক্রিকেটকে।

 

এক বছর বসে থাকার পর আপনি নতুন করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। নতুন জায়গা, নতুন বন্ধুদের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাথমেটিক্স ডিপার্টমেন্টের নতুন ভবনটা তখন হচ্ছে। তার নীচে, এক কোণের এক চায়ের দোকানে আপনাদের নিত্যকার আড্ডা তখন। পড়াশুনার জটিল বিষয়ে আলোচনা করতে আপনার অস্বস্তি হয়। ক্রিকেট আপনাকে 'কমফোর্ট-জোন'-এ নিয়ে আসে। শচীনকে প্রথম দেখা, শচীনের বিদায় নিয়ে আলোচনায় আপনি কথা বলে চলেন। ফেসবুক আইডিটা তখনও নতুন, ইন্টারনেটের সংস্পর্শে এলেও এই মাধ্যমের সাথে আপনার পরিচিতি ছিল না তেমন। এক বন্ধু আপনাকে ফেসবুকের একটা ক্রিকেট গ্রুপে যোগ করে নেন। অভ্রতে আপনি বসে যান কয়েক ছত্র লিখতে। ফেসবুকে আপনার প্রথম লেখা। কোনও মাধ্যমেই আপনার প্রথম লেখা।

 

ফিরে যান প্রায় ১৭-১৮ বছর আগে। আপনাদের এলাকায় তখন স্যাটেলাইটের রাজত্ব নেই। এমনকি আপনাদের বাসায় টেলিভিশনই নেই। এক রাতে আপনার ক্রিকেট-পাগল ভাই আপনাকে নিয়ে যান পাশের বাসায়। সেই ভাই, যিনি স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই আপনাকে আম্পায়ারিংয়ের মৌলিক সংকেতগুলো শিখিয়েছিলেন। দুই হাত তুলে ওয়াইড, এক হাত তুলে নো, এক আঙ্গুল তুলে আউট। আপনার সেসব স্মৃতি আবছায়া। কিছুটা অস্পষ্ট প্রথম সেই দিবা-রাত্রির ক্রিকেট দেখার স্মৃতিও। শুধু আপনি মনে করতে পারেন একটা নাম, শচীন।

 

আপনি টেন্ডুলকার উচ্চারণ করতে পারেন না তখন। আপনি নিউজিল্যান্ড উচ্চারণ করতে পারেন না। বাবা জিজ্ঞাসা করলেন তাই অবলীলায় বলে বসেন, ‘ভারত-ইন্ডিয়ার’ খেলা দেখে আসলাম।

 

আপনার ভাই তখন আপনাকে বিস্কুটের কার্টনের হার্ডবোর্ড ধরনের কাঠ দিয়ে ক্রিকেট ব্যাট বানিয়ে দেন। যে ব্যাট কদিন পরপরই টেনিস বল দিয়ে খেলতে গিয়ে ভেঙ্গে যায়। একটা স্টিকার পান। ব্যাটের ওপরে লাগিয়ে নেন। স্টিকারটা শচীন টেন্ডুলকারের।

 

আপনার তখন ক্রিকেট দর্শনের ভরসা বিটিভি ও ডিডি ন্যাশনাল। আপনি শারজাহ কাপ দেখেন। গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন উচ্চারণ করার বয়স হয়ে গেছে। আপনি শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের পুরো নামটাও জানেন। ম্যাকগ্রা-ওয়ার্নকে ছাতুপেটা করতে দেখেন আপনি। আর কঠিন কঠিন ইংরেজিতে একজনকে বলতে শোনেন। টনি গ্রেগকে আপনি তখনও চেনেন না।

 

আগের বিশ্বকাপের স্মৃতি আপনার নেই। আপনি শুধু শ্রীলঙ্কাকে তখনকার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জানেন। আপনি ভারতীয় সমর্থকদের ক্ষোভে ফেটে পড়ার কথা জানেন। বিনোদ কাম্বলির কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্যটা আপনি দেখবেন আরও অনেক পরে। তবে তাঁর সঙ্গে টেন্ডুলকারের বন্ধুত্বের কথাটা জানেন। স্কুল ক্রিকেটের রেকর্ডটাও আপনি শুনেছেন।

 

আপনি আপনার দেখা প্রথম বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের অবাক জয় দেখেছেন। গেভিন হ্যামিল্টনের রান-আউটে উল্লাসে মেতেছেন। বোল্ড হয়ে ওয়াকার ইউনুসের ব্যাট দিয়ে বেল হিট করার দৃশ্যটা দেখেছেন। তার আগে পরে উল্লাসে মাততে দেখেছেন গোটা এলাকাকে। আপনি এর মাঝেই খবর পান, শচীনের বাবার মৃত্যুর। শচীন আবার বিশ্বকাপে ফিরে আসেন।

 

কাকাকে আপনি তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পর মাথা মুন্ডন করতে দেখেছিলেন। আপনি তখনও ধর্মের কঠিন সব জটিলতা বুঝে ওঠেননি। শিশু মনে ভেবেছিলেন, শচীনকেও কি সেভাবেই দেখা যাবে? না। শচীনকে আপনি আগের মতোই দেখেন। সেই ব্যাট, ব্যাটের গ্রিপারের সেই রঙ। সেই প্যাড। কেনিয়ার সঙ্গে সেঞ্চুরির পর আকাশপানে ব্যাট তোলেন। আপনি শচীনকে এরপর থেকে আকাশপানে ব্যাট তুলতে দেখেছেন অসংখ্যবার।

 

শোয়েব আখতারের অবাক অভিষেক আপনার জানা। যে বিশ্বকাপে তিনি গতির ঝড় তুলবেন, সে বিশ্বকাপেই আপনি দেখবেন, তাঁকে আপার কাট করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছয় মারতে। আপনি জানবেন, ওই ভারী ব্যাটে শোয়েবের গোলাও ধ্বসে যায়। আপনি তখন শিক্ষা-জীবনের প্রথম ‘বড়’ পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে। আপনার প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা। আপনার স্যারও ক্রিকেট ভালবাসেন। ফাইনালের দিন তাই তিনি পড়ান না, ছুটি দিয়ে দেন।

 

এক চাচার মুদিখানার দোকানে বসে আপনি বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখেন। রিকি পন্টিংয়ের সেই ইনিংসটা আপনার এখনও চোখে লেগে থাকে। আরেকটা বিশ্বকাপ। আরেকটা ফাইনাল। আরেকটা একপেশে ম্যাচ। শচীন টেন্ডুলকারকে নিয়ে শুধু ওই ওয়াসিম-ওয়াকার-শোয়েব তুলোধুনো করার পরের কোনো গল্প মনে থাকেনা আপনার।

 

আপনি টেনিস এলবো নামের একটা ইনজুরির কথা জানেন এরপর। আপনার আরেক কাকা আপনাকে বুঝিয়ে বলেন, টেনিস খেলোয়াড়দের এ ইনজুরি হয় বলেই এমন নাম। আপনি ততোদিনে টেনিসের পয়েন্টের হিসাব সেই কাকার কাছে শিখেছেন। পিট সাম্প্রাস, আন্দ্রে আগাসি, রজার ফেদেরারকে চেনেন। আপনি পড়েন, শচীন টেন্ডুলকার ছিলেন বিয়ন বোর্গের ভক্ত।

 

টেনিস এলবো যায়, শচীনের হাতে একটা ব্যান্ড দিয়ে যায়। আপনি এর মাঝে বাসা ছেড়েছেন। চলে গেছেন দূর হোস্টেলে। সেখানে খেলা দেখার সব নতুন নতুন ফন্দি আঁটছেন। কখনও হোস্টেলের পাশের চায়ের দোকানে, কখনও কনফেকশনারির দোকানে। সেলুনে, রাস্তার মোড়ে বড় পর্দায়। কোনও অফিসে। আপনি ভারত-পাকিস্তান সিরিজ দেখেন এভাবেই। অনেক দিন পর।

 

আপনার মনে পড়ে যায়, সেই ডিডি ন্যাশনাল সময়ের কথা। যখন লোডশেডিংয়ে আপনাদের জীবন অতিষ্ঠ। সতর্কতা হিসেবে ‘ব্যাটারি’ ভাড়া করে আনা হয়। দুই টাকা করে চাঁদা। আপনার চাঁদাটা আপনার ভাই দিয়ে দেন স্বাভাবিকভাবেই। আপনার কোনও এক ভাইয়ের কৌতুক মনে পড়ে যায়, ‘এক চোখ বন্ধ করে দেখলে কি এক টাকা?’ আপনার মনে পড়ে সেই ‘মিথ’, শচীন সাইটস্ক্রিন ঠিক করলেই আউট হয়ে যান। আপনি তখনও শচীনকে দুই পা একটু প্রসার করে গার্ডটা ঠিক করে নেয়া দেখেন।

 

আর হোস্টেলে থেকে আপনার এলাকার বন্ধুদের আপনি মিস করেন। একজন ছিলেন, ব্যাটিংয়ের ধরনে যাঁকে শচীন টেন্ডুলকার ডাকা হতো। সেই কিন্ডার গার্টেনে পড়তেই যিনি বড়দের সাথে খেলতেন। আপনার দেখা সেরা ব্যাটসম্যান আপনার সেই বন্ধু। আপনার শচীন টেন্ডুলকার।

 

আপনি ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষার জন্য একাই হোস্টেলে থেকে যান। এক চাচার বাড়িতে ওঠেন। ভারতকে প্রথমবার হারায় বাংলাদেশ। সেই চাচার এক প্রতিবেশীর বাসায় আপনি দেখেন সে সিরিজ। যে সিরিজে শচীন টেন্ডুলকার নিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা খেলেন। আপনার পেপার কাটিংয়ের ডায়েরিতে পরে একটা ছবি থাকে। সুনীল গাভাস্কার মাঠে নেমে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাঁকে। গাভাস্কারের সমান সেঞ্চুরি শচীনের। শচীনের খারাপ সময় আসে। আপনার পেপার-কাটিংয়ে ওয়াসিম আকরামের লেখা একটা কলাম জায়গা পায়ঃ 'গালিভারের পেছনে লেগেছে লিলিপুটরা'। 



আপনি হোস্টেলে মোটামুটি সিনিয়র হয়ে গেছেন ততোদিনে। আরেকটা বিশ্বকাপ। একটা সাদা-কালো টেলিভিশন কেনা হয়েছে, নিজেদের টাকায়। ডাইনিংয়ের এক কোণে রাখা হয়েছে তা। ডিশ লাইন নেয়া হয়েছিল, অযাচিত ব্যবহারে হোস্টেল সুপার স্যার তা কেটে দিয়েছেন। আপনি আবার ফিরে এসেছেন বিটিভিতে।

 

আপনার তামিম ইকবালের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আগেই। আন্তর্জাতিকে তামিমের প্রথম তামিমসুলভ ইনিংস দেখলেন আপনি, মধ্যরাতে। মুশফিকের উদযাপনটা মনে আছে আপনার। আপনি ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কয়েকটা বিষণ্ণ মুখ দেখলেন। একটা শচীন টেন্ডুলকারের। আপনার তখন এতো কিছু ভাবার সময় নেই। আপনি পাগলের মতো উদযাপনে মত্ত। আবেগে ভেসে যাচ্ছেন।

 

আপনি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে আগে থেকেই চেনেন। আপনার প্রিয় ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন সেখান থেকেই অবসর নিয়েছেন। তবে শচীন টেন্ডুলকার তা নতুন করে চিনিয়ে দেন। অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে শচীন রাজত্ব করেন, আরেকবার!

 

আপনার স্কুল শেষ। কলেজে আবার জায়গা বদল। তেজকুনিপাড়ার একটা ফ্ল্যাটে থাকেন ভাইয়ের সঙ্গে। আপনি ততোদিনে ক্রিকইনফোর দেখা পেয়ে গেছেন। গোয়ালিয়র এলো এর মাঝেই। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শচীন হয়ে গেলেন ‘ঈশ্বর’। সেই কবে সাঈদ আনোয়ারের ১৯৪ রানের ইনিংস দেখেছিলেন, পাশের বাসার সেই সাদাকালো টেলিভিশনে। চার্লস কভেন্ট্রি নামের চশমা পরা এক জিম্বাবুইয়ানের সেই রান ছোঁয়াও দেখেছেন আপনি। শচীন ছাড়িয়ে গেলেন তাঁদের। ক্রিকইনফো সেদিন ধসে পড়লো। এ গল্প আপনি আরও অনেকবার শুনবেন এক শচীনভক্ত বন্ধুর কাছে। আরও পরে।

 

আপনি পরে শচীনের সেদিনের অনেক কয়টা ছবি ‘সেভ’ করে রাখলেন। ততোদিনে পেপার-কাটিংয়ে ঘাটতি পড়েছে, আপনি ইন্টারনেট থেকে ছবি সংরক্ষণ করে রাখেন। একটা কোলাজ, সেই ইনিংসের পরদিনের ভারতীয় পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার ছবি সব। একটাতে লেখা, ‘গড!’

 

আপনার পরীক্ষা চলে আসে। এইচএসসি। আরেকটা বিশ্বকাপ আসে। আপনি টেন্ডুলকারকে নতুন করে যেন ব্যাটিংয়ে সেই রুপ ফিরিয়ে আনতে দেখেন। পরীক্ষা কড়া নাড়ে। আপনাকে কলেজের হাউসে উঠে যেতে হয়। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফাইনালের তিনদিন পর প্রথম পরীক্ষা। গেমসরুম-কাম-টিভিরুমে আপনি একটা বই হাতে খেলা দেখতে বসে যান। ক্রিকেট-ইংরেজি প্রথম পত্রের সঙ্গে লড়াইয়ে জেতে ক্রিকেট। আপনি বইটা রুমে রেখে আসেন আস্তে করে। মাহেন্দ্র সিং ধোনীর সেই ছয় মেরে ব্যাট ঘুরানোটা আপনি দেখেন। সব ভুলে আপনার ওপর আবেগ ভর করে, যখন বিরাট কোহলিরা কাঁধে করে বয়ে নিয়ে বেড়ান আনন্দাশ্রুতে আপ্লুত শচীনকে। ভারতীয় ক্রিকেটকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে বেড়ানো শচীনকে কোহলিরা কাঁধে নিয়ে বেড়ান একটু। ব্যাখ্যাটা আপনার পছন্দ হয়।

 

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পালা। আপনি ঠিকঠাক হতে পারেন না। আবার ফিরে যান সেই স্কুলের শহরে। বাংলাদেশের রুপকথার এশিয়া কাপ আসে। আসেন শচীন। আর তাঁর শততম শতকের অপেক্ষা। বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচে শচীন তা পেয়ে যান। মাইলফলকে পৌঁছাতে শচীনকে আপনি বেশ কয়েকটা বল ‘অতিরিক্ত’ খেলতে দেখেন। আপনি অনেক কঠিন কথাটা সহজেই আপনার ভাইকে বলে আসেন, ‘শচীন সেঞ্চুরি করছে না, ভারত হারবে’।

 

শচীন ওয়ানডেকে বিদায় বলেন।

 

আপনি বিশ্ববিদ্যালয় বদলান। আপনি মোকাররম ভবনে ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস করেন। আর নতুন হওয়া ম্যাথমেটিক্স বিল্ডিংয়ে পাশের চায়ের দোকানে আড্ডা দেন। শচীন টেস্টকে বিদায় বলেন। আপনি শচীন টেন্ডুলকারকে শেষবার টেস্টে ব্যাটিং করতে দেখেন। উঠে যেতে দেখেন মুম্বাইয়ের ঘাসে হাত দিয়ে প্রণাম করে। আপনি শচীনের মিনিট বিশেকের বক্তব্যটা বারবার শোনেন। আপনার কানে বাজে, ‘শচীইইইইন, শচীন!’

 

সেই মোরাট প্যাডজোড়া আপনার স্মৃতিতে থাকে। এমআরএফের বদলে অ্যাডিডাস আসার কথা আপনার মনে পড়ে যায়। সব রেকর্ডে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ে যায়। আর অনেকদিন পর, লর্ডসের প্রদর্শনী ম্যাচে আপনি শচীনকে খেলতে দেখেন। মার্কিন মুলুকে আবার ব্যাটিং করতে দেখেন।

 

আপনি সেই সাদা-কালো বা হোস্টেল-হাউসের সময়টাতে একবার ফিরে যেতে চান। সেই সময়ের একটা গন্ধ আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়। একজন শচীনের ব্যাটিংয়ে ভর করতে চান আপনি। শচীন আপনার ক্রিকেটের একমাত্র হিরো নন। আপনি শচীনের অসম্ভব ভক্ত নন। কাভার ড্রাইভ বা স্ট্রেইট ড্রাইভ না, আপনি সবচেয়ে মিস করেন শচীনের প্যাডল সুইপকে।

 

একজন শচীনের সঙ্গে আপনি বেড়ে উঠেছেন।

 

শচীন রমেশ টেন্ডুলকার আপনার ক্রিকেট-স্মৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

 

(সিদ্ধার্থ ভৈদ্যানাথানের 'গ্রোয়িং আপ উইথ শচীন' অবলম্বনে...)