টি টোয়েন্টি হ্যাটট্রিকের কথকতা
পোস্টটি ৩৩৬০ বার পঠিত হয়েছে
বয়সের হিসাবে প্রায় একশ বছরের তফাত থাকলেও হ্যাটট্রিক সংখ্যায় সমান টেস্ট আর ওয়ানডে। ১৯৭৪ সালে শুরু হয়ে গড়ে প্রতিবছর একটি করে হ্যাটট্রিক দেখেছে একদিবসীয় ক্রিকেট। বিপরীতে ১৪০ বছরে মাত্র ৪৩ হ্যাটট্রিক টেস্টে। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ টি টোয়েন্টি অবশ্য পার করেছে মোটে ১২ বছর। এতেই হ্যাটট্রিকের দেখা মিলেছে ছয়বার। সব সংস্করণ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৬ হ্যাটট্রিক চলতি ২০১৭ সালে।
টি টোয়েন্টির প্রথম বড় আসর ২০০৭ বিশ্বকাপ। সেবার সবাইকে চমকে সুপার এইটে পৌঁছে বাংলাদেশ। সুপার এইট ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিক অজি স্পিড স্টার ব্রেট লীর। উইকেটের পেছনে গিলক্রিস্টের হাতে সাকিবের ধরা পড়া দিয়ে শুরু, পরের বলে মাশরাফির স্ট্যাম্প উপড়ে আর তৃতীয় বলে অলককে ফিরিয়ে বৃত্ত পূরণ।
বছর দুয়েক বাদে শ্রীলংকার বিপক্ষে ব্ল্যাক ক্যাপস অলরাউন্ডার জ্যাকব ওরাম গড়েন ২য় কীর্তি। সেবার শিকার আঞ্জেলো ম্যাথুস, মালিঙ্গা বান্দারা আর নুয়ান কুলাসেকেরা। পরের বছর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক টিম সাউদির। তিন বলে ফেরান ইউনিস খান, মোহাম্মদ হাফিজ ও উমর আকমলকে।
পরের ছয় বছর কেউই হ্যাটট্রিকের দেখা পাননি। ২০১৬ তে ভারত সফরে লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা গড়লেন ৪র্থ কীর্তি। রাচিতে তাঁর শিকার হার্দিক পান্ডিয়া, সুরেশ রায়না আর ইয়ুভরাজ সিং।
চলতি বছর লঙ্কা সফরে আবারও তালিকায় ফিরেছে বাংলাদেশ। এবার মালিঙ্গার বলে উড়ে গেল মুশফিকুর রহিম আর মাশরাফির স্ট্যাম্প, লেগ বিফোরে ফিরলেন মিরাজ। সবশেষ শুক্রবার তিন লঙ্কান উদানা, উদায়াত্তে আর সানাকাকে আউট করে তালিকায় নাম লেখালেন তরুণ ফাহিম আশরাফ।
মজার বিষয় এখন পর্যন্ত সবগুলো হ্যাটট্রিকই এশিয়ার চারটি দেশের বিপক্ষে। কীর্তি গড়া ছয়জনই পেইসার। এদের মধ্যে মালিঙ্গা, পেরেরা আর ব্রেট লী এই কীর্তি গড়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটেও। তবে নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন মালিঙ্গা আর পেরেরা। কেননা তাদের এমন অর্জনের দিয়ে জয়ের হাসি হাসতে পারেনি দল। হ্যাটট্রিকে অবশ্য কোন সংস্করণেই পেইসারদের পেছনে ফেলতে পারেননি স্পিনাররা। ওয়ানডেতে মাত্র পাঁচবার আর টেস্টে তেরোবার এই অর্জন স্পিনারদের।
সর্বোচ্চ দুবার হ্যাটট্রিক হয়েছে টাইগারদের বিপক্ষে। এতেই অনাকাঙ্খিত এক রেকর্ড গড়েছেন মাশরাফি বিন মোর্তজা। দুবার হ্যাটট্রিক শিকারের মধ্যে আছেন তিনি। দুবারই ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। অন্যদিকে অলক কাপালি আবার হ্যাটট্রিকের শিকার একমাত্র হ্যাটট্রিকম্যান (টেস্টে ২০০৩ সালে পেশোয়ারে)।
- 0 মন্তব্য