• ক্রিকেট

'ছাই' নিয়ে ছাইপাশ

পোস্টটি ৪৯৬৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

“দু’পাতা লিখলেই কেউ কি লেখক হয়ে যায়?” কটাক্ষের সুরটা কোন নরাধমের দিকে তা না-বোঝার মতো হাঁদারাম নই। তাই বন্ধুকে আস্তে করে বলি, “একদমই না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তোর মতো মুখের উপর সত্যি বলার সৎ সাহস তো সবার থাকে না। তাই পাতার পর পাতা ছাইপাশে ভর্তি হয়ে যায় হয়তো।” প্রতিউত্তরে বন্ধু কেবল মুচকি হাসি দেয়। এছাড়া আর কিই-বা করার আছে তাঁর? বক্সিং রিংয়ের ভেতর দাঁড়িয়ে কেউ যদি অকপটে হার মেনে নেয়, তাহলে কি আর তাঁর নাক-মুখ ফাটিয়ে তাঁকে পরাজিত করার দরকার পড়ে, বলুন?

তা আজকের আলেখ্যটাতে ‘ছাই’-ই যখন মূখ্য তখন আমার সেই বন্ধুর ভাষায় এটাকে ‘ছাই নিয়ে ছাইপাশ’ তো বলাই যায়! কি বলেন?

***

ন’বছর বয়স তখন। ড্রয়িং রুমের খাটে আয়েশ করে শুয়ে আব্বু খেলা দেখেন। আমি পাশে বসি, কখনো শুইয়েও পড়ি। আব্বু ‘সুইচ অন’ মুডে থাকলে গল্পের ঝাঁপি খুলে বসেন। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনি সেসব। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ চলছে। আব্বু জানালেন, এই সিরিজকে বলা হয় এ্যাশেজ। আমি প্রতিবাদ করি, সেখানে যে এনপাওয়ার টেস্ট সিরিজ দেখায়! আব্বু বলেন, ‘আরে বোকা, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড সিরিজ মানেই হচ্ছে এ্যাশেজ।’
ও আচ্ছা, বুঝলাম।

যদ্দুর মনে পড়ে সেই প্রথম এ্যাশেজের সাথে পরিচয়। বরাবরের মতো আব্বুর মাধ্যমে।

 

****

এ্যাশেজ নিয়ে আগ্রহী হওয়ার মতো কিছু পাইনি তখনো। নাসের হোসেইনরা আছেন, খেলছেন। স্টীভ ওয়াহ বিশ্বজয় করছেন, এ্যাশেজকেও বানিয়েছেন নিজের সম্পত্তি। আমার তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট মানেই বিশেষ কিছু, এক অন্যরকম অনুভূতি। দুধ সাদা কবুতরদের উড়ে যাওয়া, ফজরের নামাযের পর ক্রিকেট দেখতে বসা, সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। তবে সেসব থেকে শতবর্ষী ‘ছাই-চাপা’ আগুনের উত্তাপ টের পাওয়ার সুযোগ কই?

প্রথমবারের মতো এ্যাশেজের উত্তাপ আঁচ হলো কৈশোরে এসে। আঠারো বছর ধরে ভস্মধারের মালিকানাহীন হয়ে ঘুরছে ইংল্যান্ড। শৈশব থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিজয় পতাকা পতপত করতে উড়তে দেখেছি বলেই হয়তো কেমন এন্টি-অস্ট্রেলিয়া একটা অনুভূতি ছিলই। সাথে যোগ হলো, ইংল্যান্ডের আঠারো’র হাহাকার। আমিও যেন হাহাকার করে উঠি। যে করেই হোক এবার ইংল্যান্ডকে জিততেই হবে।
সেসবের জন্য কি না কে জানে, সেবারের ইংলিশ-গ্রীষ্মে এ্যাশেজে আমার সমর্থন পেল ইংল্যান্ড!

শুধুই কি সেবারের জন্য? বরাবরের জন্যও কি নয়?

 

***

এই একটি সিরিজ নিয়ে কত লেখা, কত ইতিহাস, কত তর্ক-বিতর্ক আর মুগ্ধতা! যেমন তার ঝাঁজ, তেমনি তার তাপ, তেমনি তার তেজ।

ভস্মধার ঘরে ফেরাতে ইংলিশদের সে কী মরণপণ চেষ্টা!

যে কৌশলকে বরাবর বাঁকা চোখে দেখেছে, যে কারুকাজকে তাঁরা অন্যায্য বলেছে, ছল-চাতুরী আর প্রতারণার মোড়কে যে শিল্পকে অস্বীকার করে এসেছে, সেই ‘রিভার্স-সুইং’কেই আমদানী করে চিরশত্রু ঘায়েলের মাস্টার প্ল্যানে নেমেছিল তাঁরা।

এজবাস্টনে সে কী মহাকাব্যিক টেস্টের মঞ্চায়ন! দুটি দলই বুঝি ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সুচাগ্র মেদিনী’ আত্মস্থ করে নেমেছিলেন। এক টুকরো জায়গা পর্যন্ত ছাড়তে নারাজ। সে এক লড়াই বটে! চোখ জুড়ায়, মন জুড়ায়, শিহরণ ছড়ায়, লোম দাঁড়ায়...। কেউ জেতে, কেউ কাঁদে, কেউ হাসে, কেউ বসে... অভাবনীয় দৃশ্যের চিত্রায়ন যেন! রেকর্ড জানাবে, এদিন এক দল জিতেছে আর এক দল হেরেছে; কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী বলবে, উঁহু, এমন ম্যাচে কেউ হারতেই পারে না!

 

পরের গল্পটি যেন আরো বেশী হৃদয়ছোঁয়া। সে ম্যাচে আক্ষরিক অর্থেই কেউ জেতেনি, কেউ হারেনি। কিন্তু পন্টিং নামের একজন যে জিতে নিয়েছিলেন হৃদয়-মন-প্রাণ সব।

১-১ এ সমতা সিরিজে। ইংল্যান্ডের নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে দারুণ খুশী। সেই সময় পন্টিংয়ের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ে যেন রোমাঞ্চিত হলাম খুব। এই না হলে অধিনায়ক! ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ পাড়ি দেয়ার সে কী দৃঢ়-কঠিন সংকল্প! ইংল্যান্ডের সমর্থক হয়েও ম্যাচশেষে খুব একটা খারাপ লাগেনি, একটুও মনে হয়নি জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গেল। বরং পন্টিং-মুগ্ধতা যেন পেয়ে বসেছিল খুব।

 

পেঁয়াজ দেখেছেন না? এই সিরিজও যেন পেঁয়াজের মতো। পরতে পরতে লুকিয়ে নতুন রোমাঞ্চ, সাথে যেন বাড়তে থাকে ঝাঁজটাও। ট্রেন্ট ব্রিজেও ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন শেন ‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’ ওয়ার্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।

দেড় যুগ পর এ্যাশেজ খোয়ানোর শংকায় শঙ্কিত হয়ে লন্ডনে ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া।

শেষে গিয়ে কেমন যেন মমত্ববোধ উথলে উঠেছিলো অস্ট্রেলিয়ার জন্য। আফতাবের সেই ছক্কায় ঘোর অমানিশাময় পন্টিংয়ের যে মুখাবয়ব দিয়েছিল অপার আনন্দ, সেটাই তখন কেমন ব্যথা দিচ্ছে। আঠারো বছর যখন ইংল্যান্ড জেতেনি, তখন এবারও না-হয় না-ই জিতল। কি দরকার পন্টিংকে এ্যাশেজ খোয়ানো অধিনায়ক করার?

আমি কি দল পাল্টেছিলাম? মোটেই না। পন্টিংয়ের অমন বিধ্বস্ত মুখখানা দেখে বড্ড খারাপ লেগেছিল, এই যাহ! শেষ টেস্টটা ড্র হলো। ভস্মধার ফিরল তার নীড়ে।

 

সেই ‘ছাই’ ইংল্যান্ডে ফেরার সাথে, আমাদেরও চোখে-মুখে এঁকে দিল ক্রিকেটীয় অনিশ্চয়তার রোমাঞ্চ আর ক্রিকেটের অপার সৌন্দর্য্যের সব মুগ্ধতা।

আমরা বুঝতে পারি, পৃথিবীতে ‘এ্যাশেজ’ নামে অনিন্দ্য সুন্দর এক ক্রিকেট লড়াই আছে।

215015

                                                      আহা, কি আনন্দ! ১৮ বছর পর এই আনন্দ। বাঁধনছাড়া তো হতেই পারে।

 

***

বিরক্ত হচ্ছেন? হওয়ারই কথা। ‘আরে ব্যাটা! কত শত গল্প পড়েছি, শুনেছি, দেখেছি এই এ্যাশেজ ঘিরে। আর তুই এসেছিস মায়ের কাছে নানাবাড়ির গল্প নিয়ে!’

ক্ষমা করবেন, পাঠক। এতটুকু যখন ধৈর্য্য ধরলেন, আরেকটু সহ্য করলেন না হয়!

 

ফ্লিনটফের কাঁধে সওয়ার হয়ে তাসমান পারে পাড়ি দিল ইংল্যান্ড। এ্যাশেজ ধরে রাখার কঠিন মিশন। দেড় যুগ ধরে হন্য হয়ে ‘বোথাম’ খোঁজা ইংলিশ ক্রিকেট, অবশেষে তাঁর ছায়া খুঁজে পেয়েছে ফ্লিনটফে। তা বোথামের মান রক্ষার্থেই কি না কে জানে, নেতৃত্বের পরীক্ষায় ‘ঠাশ’ করে থাপ্পর খেলেন ইংলিশদের ‘প্রিয় ফ্রেডি’। প্রায় ৮৭ বছর পর ধবল ধোলাইয়ের কলঙ্ক মেখে ইংল্যান্ডে ফিরেছিলেন ফ্লিনটফরা।

প্রতিশোধপরায়ন অস্ট্রেলিয়া কত ভয়ংকর আর বিধ্বংসী হতে পারে তার একটি নমুনা হতে পারে এই সিরিজ। সম্ভব সব উপায়ে ইংলিশ ক্রিকেটের রক্ত ঝরিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্রিকেট মাঠে কতটা নিষ্ঠুর ও নৃশংস হতে পারে অস্ট্রেলিয়া!

ফ্লিনটফের মতো আমার জন্যও কঠিন ছিল এই সিরিজ। আব্বুর বদলির সুবাদে ক্যাবলের লাইন বিচ্ছেদ করে দিয়েছিলেন আম্মু। একই সাথে ঘটিয়েছিলেন ক্রিকেটের সাথে আমার অবাধ সম্পর্কের খানিক বিচ্ছেদও। কিছুটা পত্রিকা কেন্দ্রিক হয়ে পড়লেও, ইংল্যান্ডের এ্যাশেজ-লজ্জায় শামিল ছিলাম আমিও।

এ্যাশেজে তখনও যে এটাই আমার দল।

***

নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটের ভার তখন স্ট্রাউসের সাদাসিদে কাঁধে। আমারও কৈশোর প্রায় শেষের পথে। ইংল্যান্ডের মাঠে পন্টিং সিরিজ জিততে পারবেন কিনা তা-ই আলোচ্য। অজি-দলনায়কের জন্য সহানুভূতি থাকলেও, চাইছিলাম ‘ছাই’ ফিরুক ইংল্যান্ডে।

বছরের শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শেষ ঘন্টার রোমাঞ্চে খুব কাছে গিয়েও ইংল্যান্ডের জেতা হয়নি এন্টিগা টেস্ট। সেদিনের পাওয়েল-এডওয়ার্ডস জুটিই যেন ভর করলেন পানেসার আর এন্ডারসনের উপর। কার্ডিফের শেষ বিকেল উপহার দিল অভাবনীয় এক সন্ধ্যার। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে অস্ট্রেলিয়াকে জয় বঞ্চিত করে, ইংল্যান্ড পেয়ে গেল জয়ের মতো এক ড্র।

সেই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়েই হয়তো লর্ডসে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। ৪র্থ টেস্টে সমতায় ফিরলেও, শেষ টেস্টে আর পারল না অস্ট্রেলিয়া। পারলেন না পন্টিং। ২-১ এ সিরিজ জয়ে ‘এ্যাশেজ’ ফিরল ইংল্যান্ডেই।

ইংলিশ-গ্রীষ্ম দূর্বোধ্য ধাঁধা হয়েই থেকে গিয়েছিল রিকি পন্টিংয়ের জন্য। আহা পান্টার, আহা পুল মাস্টার!  

 

***

তখন বড় হয়েছি আরো। সকালে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞানের কোচিং থাকে। মেন্ডেলিফের পর্যায় সারণিতে ধাতস্থ হচ্ছি, ভেক্টর-গতিবিদ্যা বোঝার চেষ্টা করছি। সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার আগে টিভি ছেড়ে দেখে যাই খেলার অবস্থা।

অস্ট্রেলিয়াকে সেবার রীতিমতো অপদস্থ করে ছেড়েছিলেন স্ট্রাউসরা। কুক, ট্রট, পিটারসেনরা রানের ফোয়ারা ছোটালেন, এন্ডারসন-সোয়ানরা বল দিয়ে শাসালেন। যেন বছর চারেক আগের সেই লজ্জারই জবাব দিচ্ছিলেন।

আহা রে, পন্টিং! এবারে এ্যাশেজ হারালেন নিজের মাঠেও!

 

***

পরপর তিন এ্যাশেজের শুরুটা ভালোই হয়েছিল ইংলিশদের। কুক জিতেছিলেন, ক্লার্ক হেরেছিলেন।

মাস-পাঁচেকের মধ্যেই ক্লার্কি মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। পূর্বসূরীর মতোই জবাবটা দিয়েছিলেন বড় নিষ্ঠুরভাবে। পাঁচ টেস্টেই গুড়িয়ে গিয়ে অজি-নৃশংসতা কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা আরো একবার বড় প্রকটভাবে টের পেয়েছিল ইংলিশ ক্রিকেট।

196467.5

                                   চিত্তে তাদের এ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের মহা আনন্দ। সুখ-রঙে রাঙায়িত মন। সেই রঙ বুঝি উঠে এলো রঙ-বেরঙের টুপিতে।

প্রায় সাড়ে চার বছর পর ‘এ্যাশেজ’ গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়।

সেই ‘এ্যাশেজ’ ফেরত নিতে মোটেই সময় নেয়নি ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো পর্যদুস্ত করে ছাড়ে সেবার। প্রায় এক দশক ধরেই ইংলিশ-গ্রীষ্ম বড্ড কঠিন অস্ট্রেলিয়ার জন্য, তারপরও ৬০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার মতো ছিল না নিশ্চয়?

ইঞ্জুরী তো ছিলই, সাথে যোগ হলো লজ্জা। ক্লার্কের জন্য সময়টা বুঝি বড় কঠিন আর বড় অসহায় ছিল! অজি-অহং লূটিয়ে দেওয়ার বেদনায় নীল হয়ে বিদায় নিলেন তিনি।

প্রিয় খেলোয়াড়ের বিদায়ে ইংল্যান্ডের এ্যাশেজ-পুনরুদ্ধার মিশনটা আমার জন্য কেন যেন খুব একটা জমলো না।

আহা ক্লার্কি! পন্টিংয়ের মতো তাঁরও ইংলিশ-গ্রীষ্মের সঙ্গে আজন্ম বৈরীতা থেকেই গেল!

 

***

অনেক তো ফ্ল্যাশব্যাক হলো। এবার তবে বর্তমানে ফেরা যাক।

সময়ের শ্রেষ্ঠ দুই ব্যাটসম্যান খেলছেন দুই দলে, দিচ্ছেন নেতৃত্বও। তাঁরা ব্যাট হাতে নামলেই ব্যাটিং-শিল্পের সমস্ত কারুকাজ এসে ভর করে ওই কাঠখন্ডে। প্রথমবারের মতো নামছেন ‘এ্যাশেজ’ পরীক্ষায়। ছোট কাঁধ শতবর্ষী চাপ-উত্তাপ সওয়ার জন্য তৈরী নিশ্চয়!

ফলাফল সে অনেক পরের ব্যাপার। আপাতত ডুব দেবো ক্রিকেটানন্দের টুকরো টুকরো সব আনন্দের খোঁজে। পরতে পরতে রঙ বদল, সেশনে সেশনে উত্থান-পতন, জনে-জনে স্লেজিং, কথায় কথায় কথা কাটাকাটি, বিদ্রুপ-ব্যঙ্গ, চাপান-উতোরে মাপা-চাপা উত্তেজনা... ক্রিকেট-বুভুক্ষের মতো সব ভোগ করতে চাই। সব।

লড়াইটা ‘ছাই’ নিয়ে হলেও, উত্তাপে কিন্তু কেউ ছাই-ঢাকা দেয়নি। বরং সেখানে অপেক্ষা করছে আগুনে রোমাঞ্চের অদ্ভুত সব সমাহার।

 

আহ, এ্যাশেজ!

কি তার ঝাঁজ, কি তার তেজ!