• ফুটবল

পাগলাটে ইব্রাহিমোভীচ; ইব্রাহিমোভীচের পাগলামি!

পোস্টটি ৯৬৪৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

সুইডেনের রোজ্যনবার্গের এক পড়ন্ত বিকেল। গ্রামের বিশাল মাঠের একপাশটায় ফুটবল খেলছে একঝাক ক্ষুদে ফুটবলার।  ডাগআউটে এক দলের কোচ খুবই রাগান্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তার দল হারতে চলেছে এবং তা বিশাল ব্যবধানে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ থেকে একজনকে তুলে নিলেন তিনি। যাকে সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নামালেন তার বয়স মাত্র দশ। দশ বছর বয়সী ছেলেটা সবাইকে অবাক করে দিয়ে একের পর এক গোল করেই যাচ্চে! ম্যাচ শেষে স্কোরকার্ড দেখে আপনাকেও অবাক হতে হবে। ৫-০ গোলে হারতে থাকা দলটি জিতেছে ৮-৫ গোলের ব্যবধানে! সবগুলো গোল ই এসেছে বদলি হয়ে মাঠে নামা প্লেয়ারটির পা থেকে!  ভাবা যায়? 

ক্যারিয়ারে আছে ৩৩টা ট্রফি, দেশের হয়ে অলটাইম সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব, সর্বোচ্চ এবং একমাত্র প্লেয়ার হিসেবে ১১ বার দেশের সেরা খেলোয়াড়ের তকমা লাগিয়েছেন, পিএসজির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটাও তার নামে, ২০১৩ সালে জিতেছেন বর্ষসেরা গোলের জন্য পুস্কাস এওয়ার্ড, সুইডিশ নিউজপেপার 'ডিগেন্স ন্যাইহেটার' এর মতে 'বর্ন ব্রগ' এর পরে সুইডেনের সেকেন্ড গ্রেটেস্ট স্পোর্টপার্সন তিনি!

প্রিয় পাঠকশ্রোতা এতক্ষণে নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন আমি কার কথা বলছি। ইয়েস, আইএম টকিং এভাউট দ্যা কিং, মাইটি জ্বলাতান ইব্রাহিমোভীচ। তার প্রতিটি কথা আর বেফাঁস মন্তব্যে নজর কেড়েছে বিশ্ব মিডিয়ার, একজন গ্রেট প্লেয়ার হিসেবে আলোচনায় এসেছেন বারবার, এরচেয়ে বেশি মিডিয়ার লাইম-লাইটে এসেছেন শুধুমাত্র তার উল্টোপাল্টা কথাবার্তার জন্যে! বিভিন্ন সমালোচনার জন্ম দেয়া ইব্রাকে নিয়ে কেউ কখনো সমালোচনা করেনা, সমালোচিত হওয়ার মতো মানুষই না ইব্রা!

ইব্রাহিমোভীচ ফুটবল ফ্যানদের কাছে এক মজার চরিত্র। আমার ধারণা, ফুটবল ফ্যানরা তার খেলা যতটা না পছন্দ করে, তারচেয়ে বেশি পছন্দ করে তার পার্সনালিটি। পাগলাটে চরিত্রের এ প্লেয়ারকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছি, তুলে ধরতে চেয়েছি তার চরিত্রের মজার দিকগুলো আর মজার সব ঘটনা। জানি, যতটা না লিখতে পারবো তারচেয়ে শতগুন পাগলাটে এ ইব্রাহিমোভীচ।

প্রথমেই শুরু করতে চাই ইব্রার প্রিয় একটা উক্তি দিয়ে। ইন্সটাগ্রামে ইব্রা একবার পোস্ট করেন-

'আমার নতুন কিছু হেটার্স প্রয়োজন। আগের সব হেটার্স অলরেডি আমার ফ্যান হয়ে গেছে।'

স্টকহোমের রাজপ্রাসাদে একবার ডাক পড়লো ইব্রার। রাণীর সাথে আপ্যায়ন করবেন তিনি। রানীর সাথে সেদিনের একটা ছবি ইন্সটাগ্রামে আপ্লোড দেন তিনি। ছবির ক্যাপশন এরকম ছিলো-

'দ্যা কিং এন্ড দ্যা কুইন।'

জানা যায় ইব্রা তার গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ের আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন,
'বেবি, মি ওর মি?'...কারন জ্বলাতান নাকি কাউকে কখনো সেকেন্ড অপশন দেননা।

ফরাসি ক্লাব ছেড়ে হঠ্যাৎ ই যোগ দিলেন ইংলিশ ক্লাব ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাটেডে। এ খবর পাওয়ার পর ইউনাইটেড লেজেন্ড এরিক ক্যান্টোনা বললেন, ইব্রা আর যাইহোক ইউনাইটেডের কিং হতে পারবেন না। কথাটা কানে গেলো ইব্রার। পালটা প্রতিক্রিয়ায় বললেন-

'ক্যান্টোনার কথাগুলো আমি শুনেছি। তাকে বলবো আমি ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড এর কিং  হতে আসিনি। আমি ম্যাঞ্চেষ্টারের গড হবো।'

ব্রাজিলের রিকার্ডো কাকার পর থেকে মেসি- রোনাল্ডো ছাড়া আর কেউই ব্যালন ডি'ওর জয়ের স্বাদ পান নি। দেখা গেলো টপ থ্রির দুজন হচ্চেন মেসি- রন। আর বারবার ব্যালন জিতে নিচ্চেন মেসি! সে প্রসঙ্গে ইব্রার মন্তব্য বেশ রসালো ছিলো..

'রোনাল্ডো আসলেই ভাগ্যবান। সে সবসময় ই ব্যালন ডি'ওর অনুস্টানে প্রথম সারিতে বসতে পারে, মেসির এওয়ার্ড নেয়া দেখার জন্যে।'

ইব্রাকে নিয়ে জন ক্রেইউ একবার বলেছিলেন-  ইব্রাহিমোভিচের ক্লাব ছাড়াছাড়ি পয়েন্টলেস ব্যাপার। এর পালটা জবাবে ইব্রাহিমোভীচ বললেন-
জন ক্রেইউ ফুটবল দিয়ে যেটা করতে পারেন তা আমি একটা কমলালেবু দিয়ে করতে পারি।

একবার ম্যাচশেষে বার্সা তারকা জেরার্ড পিকে'কে 'হাগ' করছিলেন ইব্রা। সেই ছবিটি আসলো এক মহিলা রিপোর্টারের কাছে। তিনি ছবির প্রসঙ্গ তুলে ইব্রা 'গে' নাকি বলে মজা নিছিলেন। ইব্রা তখন গাড়ির কাচ তুলে তার ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। হাতের ইশারায় ডাকলেন ওই তরুণী রিপোর্টারকে। তারপর বললেন-

'বেবি আমার বাসায় এসো, তোমার বোনকে সাথে নিয়ে। আমি দেখিয়ে দেবো কে আসলে 'গে'।'

ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিতে হঠ্যাৎ করে যেমন এসেছিলেন, বিদায়ও নিলেন হুট করে। যাবার সময় বলে গেলেন-

'আমি এসেছিলাম রাজা হয়ে। চলে যাচ্ছি লেজেন্ড হয়ে।'

ম্যাচশেষে একবার ড্রেসিংরুম ত্যাগ করছিলেন ইব্রা। তার পিছনে পিছনে বাকি সব প্লেয়ার। পথিমধ্যে রিপোর্টার রা কথা বলতে চাইলেন তার সাথে। তিনি হেটে যেতে যেতে বললেন, নো টক। রিপোর্টার পালটা বললেন, 'হোয়াই নো টক? ইব্রার জবাব-
'বিকজ আইম দ্যা বস, ফলো মি।'

দিনদিন নিজের উন্নতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইব্রাহিমোভীচ বলেন-
'আমার মনে হয় আমি ওয়াইন'এর মতো, যত পুরোনো হয় তত ভালো হয়।'

নিজের সম্পর্কে তার আরো কয়েকটি বোম ফাটানো উক্তি-

★ 'আপনি যখন আমাকে ক্রয় করছেন, তখন আপনি একটি ফেরারি ক্রয় করলেন।'

★ 'আমরা সাধারণত বলি, আপনি মৃত্যুর আগে আপনি লেজেন্ড হতে পারবেন না। কিন্তু আমি একজন লিভিং লেজেন্ড।

★ 'নিজেক সেরা প্রমাণ করার জন্যে আমার ট্রফি জয়ের প্রয়োজন নেই। কারণ আমি জানি আমি বেস্ট।

২০১৬-১৭ সিজনের কথা। প্রিমিয়ার লীগের সেরা স্ট্রাইকার সম্পর্কে ইব্রাকে জিজ্ঞেস করছেন রিপোর্টার-

'জ্বলাতান, প্রিমিয়ার লীগের সেরা স্ট্রাইকার কে?'
-ম্যাভি লুকাকু, আগুয়েরোও ভালো।
'আপনার কথা বললেন না যে?'
-সিংহরা কখনোও নিজেদেরকে মানুষের সাথে তুলনা করেনা।'

তখন নতুন ক্লাব আয়াক্সে যোগ দিয়েছেন ইব্রাহিমোভীচ। রিপোর্টার জানতে চাইলেন নতুন ক্লাবে নিজর পরিচয় কিভাবে দেন? ইব্রাহিমোভীচ বলেছিলেন-
'আমি ইভ্রা, হু দ্যা হেল আর ইউ? এভাবে নাকি পরিচয় দেন!

বার্সালোনায় থাকাকালীন সময়ে মেসির সঙ্গে বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন ইব্রাহিমোভীচ। কিন্তু তাকে মেসির শেডো স্ট্রাইকার হিসেবে মনে করা শুরু করে দিলেন অনেকেই! ব্যস, ক্লাব ছেড়ে দিলেন। পরে এ প্রসঙ্গে বলেন-
'ফিয়েট গাড়ির মতো চালানোর জন্যে আপনি একটা ফেরারি কিনেন নি।'

ইব্রাহিমোভীচকে একবার এক রিপোর্টার জিজ্ঞেস করেছিলেন, তার ওয়াইফ সেগের'কে  বার্থডেতে কি গিফট দিয়েছেন?
ইব্রা বলেন, 'কিছুই না। তার এম্নিতেই জলাতান আছে।'

'আপনার দেখা বেস্ট লুকিং মহিলা কে?' এমন অদ্ভুত প্রশ্ন করে ইব্রাহিমোভীচ'কে ভড়কে দিতে চেয়েছিলেন এক সাংবাদিক। হাস্যেজ্জল ইব্রা এই প্রশ্নের উত্তরও দিলেন অদ্ভুতভাবে! তিনি বলেন,
'আমি চিনিনা সে কে। কিন্তু যেদিন তাকে খুঁজে পাবো অবশ্যই তার সাথে ডেট করবো।' লাইক আ বস।

ফর্মের তুঙ্গে থাকা ইব্রাহিমোভীচকে একবার আর্সেনাল বস আর্সেন ওয়েঙ্গার অফার করলেন সে যেনো আর্সেনালে ট্রায়াল দিয়ে যায়। ইব্রা দাদুকে স্ট্রেইটকাট বলে দিলেন- 

''জলাতান কখনো ওডিশন দেয় না।'

অনেকগুলো লাক্সারিয়াস গাড়ি থাকার পরও নতুন আরেকটি পোরশে গাড়ি কিনার গুঞ্জন শুনা গেলো। রিপোর্টার ইব্রাকে জিজ্ঞেস করলেন-

'পোরশে কিনছেন শুনা যাচ্চে!' উত্তরে বিস্তৃত হাসি হেসে ইব্রা বললেন- অবশই না, আমি একটা প্লেন অর্ডার করেছি, এটা আরো বেশি দ্রুত।'

সদ্য বার্সা থেকে পিএসজিতে এসেছেন ইব্রাহিমোভীচ, ফ্যামেলি সাথে নিয়ে। থাকার জায়গা তখনো খুঁজে পাচ্ছেন না। থাকেন একটা হোটেলে। অবস্থা কি জানতে চাইলে ইব্রা বলেন-

'আমরা একটা এপার্টমেন্ট খুজছি। যদি না পাই তাহলে গোটা হোটেলটাই কিনে ফেলবো।'

২০০২ ইউরো কাপ থেকে বাদ পড়ে সুইডেন। ম্যাচশেষে ইব্রা এরকম ই জবানবন্দি দিলেন- 'আমি কেয়ার ই করিনা কে জিতলো। আমি হলিডে'তে যাচ্চি।'

২০১৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। শেষ ম্যাচ। মুখোমুখি পর্তুগাল- সুইডেন। যে দল জিতবে তারা জায়গা করে নিবে বিশ্বকাপে। এমন সমীকরণে দাঁড়িয়ে এক সাংবাদিকের মুখোমুখি ইব্রাহিমোভীচ।

'প্লে অফ কে জিতবে?'
-একমাত্র গড জানেন।
'তাকে (গড) জিজ্ঞেস করা কঠিন..'
-কেন আপনি ত এখন উনার দিকে তাকিয়ে আছেন।'

সদ্য প্যারিসে এসেছেন ইব্রা। লীগ ওয়ানে খেলবেন। লীগ ওয়ান সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হলো। তিনি বললেন-

'আমি লীগ ওয়ান সম্পর্কে খুব একটা জানিনা। কিন্তু আমি নিশ্চিত, লীগ ওয়ানের প্লেয়াররা জানে আমি কে।'

ম্যাঞ্চেষ্টার থেকে ৪ বছর আগে জুভেন্টাসে গিয়েছিলেন ফ্রান্সের পল পগবা। তাও লোনে, ফ্রি ট্রান্সফারে। ৪ বছর পরে যখন আগের ক্লাবে ফিরলেন তখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্লেয়ার হয়েই ফিরেছিলেন পগবা। বেশ কিছুদিন বিশ্ব মিডিয়া তাকে নিয়ে মাতোয়ারা থাকে, গুঞ্জন প্রেডিকশন হয়- ম্যাঞ্চেষ্টারে আসছেন নাকি অন্যে কোথাও যাচ্চেন পগবা। এর কিছুদিন আগে ইব্রাহিমোভীচকে দলে ভিড়িয়েছে 'লাল শয়তান'রা। পগবার ট্রান্সফার নিয়ে বেশ বিরক্ত হলেন ইব্রা। পগবা প্রসঙ্গ তোলায় ইব্রা বল্লেন-

'আমি যতটুকু শুনছি- পগবা নাকি খুব দামি! শুধুমাত্র আমার জার্সি বিক্রি করেই তো পগবা'কে কিনা যাবে।'
এই মন্তব্যর কিছুদিনের মাথায় পগবাকে সাইন করিয়ে ফেলে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড। ইব্রা পগবার সাথে একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন। ক্যাপশনটা ছিলো এরকম-
'ফাইনালি আমার জার্সি বিক্রি করে পগবা'কে কিনে ফেললো ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড!'

২০০২ ইউরো কাপের কথা। ইব্রাহিমোভীচের শেষ বিশ্বকাপ। মুখোমুখি ডেনমার্ক- সুইডেন। ইব্রাকে প্রচুর ফাউল করা হলো। সে ম্যাচে সুইডেনকে জয় এনে দিয়েছিলেন ইব্রা। আসর থেকে বাদ পড়ে যায় ডেনমার্ক। ম্যাচশেষে বললেন-

'ডেনমার্ক আমাকে রিটায়ার্ডমেন্টে পাঠাতে চেয়েছিলো। আমি পুরো ডেনমার্ক কে রিটায়ার্টমেন্টে পাঠিয়ে দিয়েছি!'

'ফুটবলের যাযাবর' খ্যাত জ্বলাতান ইব্রাহিমোভীচ হঠ্যাৎ করেই যেমন পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন, তেমনি হঠ্যাৎ করেই চলে এলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ মাতাতে। তাকে ঘিরে আলোচনা ঊৎকন্ঠা আর উৎসাহের শেষ ছিলোনা ম্যাঞ্চেষ্টারের ফ্যানদের মধ্যে। সেসময় এক ক্রীড়া সাংবাদিক ইব্রাকে প্রশ্ন করলেন-

'ইব্রা, স্পেশাল কিছু কি ঘটছে যাচ্চে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডে?'
-আমি যে এসেছি এটাই স্পেশাল। 

এরকম আরোও শত সহস্র বিদঘুটে মজার আর সমালোচিত উক্তি করে বারবার মিডিয়াকে গরম করে রেখেছেন ইব্রাহিমোভীচ। কখনো কখনোও মনে হয় তার জন্মই হয়েছে উল্টাপাল্টা সব কথাবার্তা বলার জন্যে। আর্টিকেল শুরু করেছিলাম ১০ বছর বয়সী ক্ষুদে প্রতিভা ইব্রাকে দিয়ে, শেষ করবো ৩৪ বছর বয়সী অতি পরিপক্ব ইব্রাকে দিয়ে! বলতে ভুলে গেছি, '৩৪ বছর বয়সী ফুটবলার- খেলা বাদ দেয়ার সময়টা কি এসে গেছেনা? জানতে চাওয়া হয়েছিলো।'পালটা জবাব ইব্রার- 'আমি জন্মেছিলাম বুড়ো হয়ে, আর দিনদিন ইয়াং হচ্চি।'...  এর পরে আর কোনো কথা হয়? ব্যস, এবার ক্ষান্ত দিন।

© আহমদ আতিকুজ্জামান।